শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

গফরগাঁওয়ে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে ঈদের বাজার

প্রকাশের সময় : ২ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মুহাম্মদ আতিকুল্লাহ, গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) থেকে
ঈদের আর কয়েকদিন দিন বাকি থাকলে ও গফরগাঁও উপজেলা সদরসহ ১৫টি ইউনিয়নে কাপড়রের দোকানসহ বিভিন্ন দোকানেগুলোতে শেষ মুহূর্তে বেচা কেনা ধুম পড়েছে। প্রতিটি দোকানে দোকানে নারী-পুরষ ও শিশুকিশোরদের উপচেপড়া ভিড় পরিলক্ষিত হয় । প্রতিটি শাড়ী কাপড়সহ বিভিন্ন দোকানে ঈদ কে কেন্দ্র করে গভীর রাত পর্যন্ত কেনাকাটা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবারের মেয়েদের হরেক রকমের নতুন নতুন ডিজাইনের কাপড় বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে সাড়া জাগানো ভারতের বিভিন্ন সিনেমার নায়ক/নায়িকাদের নামে ডিজাইনের কাপড় শোভা পাচ্ছে। অন্যদিকে বিভিন্ন নাটকের চরিত্রের নায়ক-নায়িকাদের নামে ছেলে-মেয়েদের পোশাকে ভরপুরে হয়ে উঠেছে। নতুন নতুন নাম করনের ফলে কাপড় মেয়েদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ঝিলিক, পাখীসহ বিভিন্ন ধরনের নামের পোশাক। ফলে এগুলো নি¤œ শ্রেণীর পরিবারদের মধ্যে তাদের সাধ্য অনুযায়ী কাপড় কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। জুতার দোকানে ও বিক্রি কমতি নেই। নতুন নতুন বিভিন্ন ধরনের ডিজাইনের জুতা দোকানে শোভা পেয়েছে। কাপড় ও জুতার দাম বহু গুণে বৃদ্ধি ফলে নি¤œ শ্রেণীর ক্রেতারা কিনতে সাহস পাচ্ছে না। গফরগাঁও কলেজ রোডের সরকার ম্যানসন মার্কেটের ঐতিহ্যবাহী স্বপন শাড়ীকালয় দোকানের মালিক স্বপন জানান, ঈদুল ফিতরের মধ্যে বেচা কিনা বেশী হয়ে থাকে। আনন্দ উৎসবের মেতে উঠে সারা দুনিয়ার মুসলমান সম্প্রদায়। এছাড়া বারী প্লাজা, বেলাল প্লাজা, সরকার ম্যানসন, মর্জিয়া মার্কেট, হেকিম টাওয়ার ও গোলন্দাজ মার্কেটসহ বিভিন্ন মার্কেটে উপচেপড়া ভিড় পরিলক্ষিত হয়। গফরগাঁও শহীদ বেলাল প্লাজা মার্কেটে আসা ক্রেতা মোঃ ফয়জুল্লাহ জানান, বছরের মধ্যে আমাদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে ঈদুল ফিতর। তাই এই ঈদকে কেন্দ্র করে কাপড়চোপর কেনা হয়ে থাকে বেশী। আনন্দ হয়ে থাকে বেশী। অন্যান্যবারের তুলনায় এবারে কাপড়েরর দাম অনেক বেশী। গ্রাম এলাকা ঘুরে দেখা গেছে যে, এবারের বিশেষ আমেজ হচ্ছে এটা হলো বর্ষাকালের রোজা ঈদ। গত কয়েকদিন ধরে গফরগাঁও উপজেলা সদরসহ ইউনিয়ন পর্যায়ের হাট-বাজারগুলোতে টেইলার্সের দোকানগুলোর শ্রমিক ও টেইলার্স মাষ্টার ঘুম বাদ দিয়ে নতুন নতুন ডিজাইনের কাপড় বানানোর ধুম পড়েছে। গফরগাঁও মধ্য বাজারের মেসার্স শফিক সুজ জুতার দোকানের মালিক মোঃ শফিকুল ইসলাম (শফিক) জানান, গত বছরের তুলনা এবারে জুতা বেশী বিক্রি হচ্ছে। সকলেই উন্নত মানের জুতা ক্রয় করছে। গ্রাম-এলাকার জনসাধারনের মধ্যে দিন দিনে রুচি বোধ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কালের-বির্বতনে আধুনিকতার ছোঁয়া বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশীয় বাজারে আন্তর্জাতিক ডিজাইনের কাপড় তৈরী করা হচ্ছে। এখনকার সময়ে মান্দাতার আমলের ডিজাইন বদলে গেছে। পুরাতনের বদলে প্রতিটি মুহূর্তে হরেক রকমের ডিজাইন শোভা পাচ্ছে। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কাপড় দোকান ছাড়া মনিহারী দোকানগুলোতে বেচাকেনা পিছিয়ে নেই। গফরগাঁও কলেজ রোডের বিশিষ্ট মনোহারীর দোকান মেসার্স মামুন ষ্টোরের মালিক মোঃ মোস্তফা জানান, এ বারের মাহে রমজানের শুরুতেই ডাল, ছোলা, চিনিসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমে যাওয়ার ফলে ব্যবসায়ীদের চরমভাবে আর্থিক (লস) দিতে হয়েছে । তবে জনসাধারণের জন্য ভালো হয়েছে। ফলে এবারের রোজা কোন কিছু দাম বাড়েনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন