নীলফামারী জেলা সংবাদদাতা
১৫ মাস বেতন-ভাতা না পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছে এক শিক্ষক পরিবার। জানা গেছে, নীলফামারী সদর উপজেলার নতিবচাপড়া মোহাম্মদ আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (নব্য জাতীয়করণকৃত) প্রধান শিক্ষক রশিদুল আলমকে ২০১৫ সালের শুরুতে অন্যত্র বদলি করা হয়। বিধি বহির্ভূতভাবে তাকে বদলি করায় তিনি বদলিকৃত বিদ্যালয়ে যোগদান করেনি। এই কারণে ২০১৫ সালের এপ্রিল মাস থেকে তার বেতন ভাতা বন্ধ করে দেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বেতন-ভাতা বন্ধ করে দেয়ার পর থেকে শিক্ষক রশিদুল আলম প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন স্থানে আবেদন-নিবেদনসহ ছোটাছুটি করতে থাকেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে একাধিক বার তার বেতন ভাতা প্রদানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ প্রদান করলেও অদ্যাবধি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তিনি জানান, আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে আবারও আমার বেতন-ভাতার প্রদানের বিষয়টি নিষ্পত্তি করার জন্য গত ২মে/২০১৬ তারিখে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে একটি পত্র প্রেরণ করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুলতান মিয়া। কিন্তু পরিচালকের নির্দেশ প্রদানের প্রায় দু’মাস অতিবাহিত হলেও এখনও বেতন-ভাতা প্রদানের ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার দিলীপ কুমার বণিক জানান, শিক্ষক রশিদুল আলমের বেতন-ভাতা প্রদানের ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ে একটি পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা পেলে তার বেতন-ভাতা প্রদান করা হবে বলে তিনি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন