শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

ফুলপুরের দর্জি পাড়ার কারিগরদের কাটছে নির্ঘুম রাত

প্রকাশের সময় : ২ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মো. খলিলুর রহমান, ফুলপুর (ময়মনসিংহ) থেকে

মুসলমানদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে নতুন জামা কাপড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার দর্জিরা। দর্জি দোকানের কারিগরদের কাটছে নির্ঘুম রাত। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল হওয়ায় জেলা শহরের সাথে পাল্লা দিয়ে এ উপজেলায় বেশ কিছু নামি-দামি টেইলার্স প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ফুলপুর উপজেলা সদরে দি জুয়েল টেইলার্স, হাবিব টেইলার্স, জহির টেইলার্স, রতন টেইলার্স, তরী টেইলার্স, রুহুল টেইলার্স, রাজধানী টেইলার্স ও সেলই ঘরসহ প্রায় শতাধিক টেইলার্স গড়ে উঠেছে। এবার রোজার শুরু থেকেই উপজেলার টেইলার্সগুলোতে ছেলেদের শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবী, পায়জামা আর মেয়েদের থ্রি-পিস, কামিজ, পায়জামা, পেটিকুর্ট, বোরকা তৈয়রির অর্ডার আসতে থাকে। রোজার সাথে সাথে টেইলার্স দোকানগুলোতে অর্ডারের চাপও বেড়েছে। এবার টেইলার্স মালিক ও কারিগররা সেলাই মুজুরি বৃদ্ধি করেছে। এ ব্যাপারে কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা জানান, কারিগরদের (দর্জি) মুজুরি, দোকান ভাড়া, সুতার দাম বৃদ্ধিসহ বিদ্যুৎ ও জেনারেটরের জ্বালানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় মুজুরি কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে টেইলার্সের কাটিং মাস্টাররা গলায় ফিতা ঝুলিয়ে কাঁচি হাতে কাপড় কাটছে তো কাটছে। যেন দম ফেলারও সময় নেই। আর পেছনে বা কারখানাতে কারিগররা পোশাক সেলাইয়ে মহাব্যস্ত। সহস্রাধিক কারিগর সকাল থেকে কাপড় সেলাই শুরু করে তা সেহেরি পর্যন্ত চলে। তাদের মেশিনের খটখট শব্দে এলাকা মুখরিত থাকে। টেইলার্সের কয়েকজন মালিক ও কারিগর জানান সারা বছর কম কাজ হয়। এ রমজান মাসেই বেশি কাজ হয়। অনেক কারিগর রমজান মাস ও ঈদের সময়ের জন্য অপেক্ষায় থাকে। আর কিছু টাকা বেশি আয় করতেই একটু বেশি পরিশ্রম করছেন। যত পরিশ্রম করবে তত বেশি আয় হবে এ আশায় অনেক কারিগর নির্ঘুম রাতও পার করছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন