বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) অধ্যাদেশ রহিত করে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইন-২০২০ বিল পাস করেছে সংসদ। ক্রীড়া ক্ষেত্রে প্রতিভা অন্বেষনে ¯œাতক ও ¯œাতকোত্তর ডিগ্রীসহ নিবিড় প্রশিক্ষনের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিকেএসপি প্রতিষ্ঠিত হয়।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করলে বিরোধী দলের কয়েকটি সংশোধনীসহ স্থিরিকৃত আকারে তা সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়। বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মো. ফখরুল ইমাম ও রওশন আরা মান্নানের আনীত দুটি সংশোধনী গ্রহণ করেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। অবশিষ্ট সংশোধনীগুলো কন্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
বিলে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রীকে বোর্ডের চেয়ারমান ও প্রতিমন্ত্রীকে ভাইস চেয়ারম্যান এবং ক্রীড়া সচিব, অর্থসচিবসহ ১৯ সদস্য বিশিষ্ট বিকেএসপি পরিচালনা বোর্ড গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। বিলে অধ্যাদেশ বলে প্রতিষ্ঠিত বিকেএসপিইর সকল কার্যক্রম এই আইনের অধীনে হয়েছে বলে গণ্য হবে। এছাড়া এই প্রতিষ্ঠানের সকল সম্পদ অধিকার ক্ষমতা, সকল ঋণ দায় ও দায়িত্ব, সকল চুক্তিসহ মামলার ধারাবাহিকতা একইভাবে বহাল থাকবে।বিলে ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সম্পর্কে বলা হয়, উন্নত মানের ক্রীড়া বিজ্ঞানী, কোচ, রেফারি এবং আম্পায়ার তৈরী, বিভিন্ন দেশীয় খেলাধূলার বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতার আয়োজন, আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্ক ও যোগাযোগ স্থাপন।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১৯৮২ সালে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের ঘোষণা বলে প্রতিষ্ঠিত হয়। সামরিক ফরমান বলে জারিকৃত অধ্যাদেশসমুহের অনুমোদন ও সমর্থন সম্বলিত সংবিধানের চতুর্থ তফশিলের ১৯ অনুচ্ছেদ আদালত কর্তৃক বিলুপ্ত হয়। একইসঙ্গে সংবিধানের সপ্তম সংশোধন আইন ১৯৮৬ বাতিল ঘোষিত হওয়ায় উক্ত অধ্যাদেশের কার্যকারিতা লোপ পায়। কিন্তু উক্ত অধ্যাদেশসমুহের মধ্যে বিকেএসপিসহ কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকর রাখতে ২০১৩ সালে প্রণীত আইন দ্বারা সুরক্ষা দেওয়া হয়। উক্ত অধ্যাদেশের আবশ্যকতা ও প্রাসঙ্গিকতা বিবেচনা করে বাংলা ভাষায় নতুনভাবে আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন