কাদিয়ানী সাম্প্রদায়কে (আহমদীয়া মুসলিম জামায়াত) রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফ্ফুজে খতমে নবুওয়াত বাংলাদেশের উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জে মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে নগরের জামতলায় কেন্দ্রীয় ঈদগাহে মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। মহাসম্মেলনের কারণে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-পোস্তগোলা সড়ক বন্ধ করে দেয়ায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। মহাসম্মেলনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা কাউসার আহমেদ পলাশ এবং নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল সভাপতি ও নাসিকের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। সম্মেলনের এক পর্যায়ে মঞ্চের একাংশ ভেঙ্গে পড়লে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সম্মেলনে। মহাসম্মেলনের প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফি।
সমাবেশ কেন্দ্র করে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় সে জন্য শহরের বিভিন্ন সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে আইন শৃঙ্খলা-বাহিনী। মহাসম্মেলনের কারণে নগরের মিশনপাড়ায় আহমদীয়া মুসলিম জামায়াতের একমাত্র মসজিদের সামনে পুলিশি নিরাপত্তা বসানো হয়।
এদিকে নগরের চাষাঢ়ায় বাঁশের লাঠি হাতে অবস্থান নেয় মজলিসে তাহাফ্ফুজে খতমে নবুওয়াত বাংলাদেশের জেলা শাখার নেতা কর্মীরা। মহাসম্মেলনে আল্লামা শফি বলেন, আমরা সরকারের সঙ্গে আছি। সরকারের কোন ভয় নেই। তবে আমাদের দাবিও রয়েছে। কাদিয়ানীরা রাসূল (সা.) কে শেষ নবী মানে না। তাই আমরা তাদের কাফের ঘোষণা করেছি। আমরা চাই সরকারও তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করুক। এ দাবি না মানলে আমরা সরকারের সঙ্গে নাই। সম্মেলনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল-হাবীব বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে আন্দোলন শুরু হলো। এ আন্দোলন বাংলাদেশে ছড়িয়ে যাবে। আমরা চাই কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে। আর যারা কাদিয়ানীদের পক্ষে কথা বলবে তারাও কাফের।
মহাসম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন, হেফাজতে ইসলামীর মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী, হেফাজতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর সভাপতি নূর হোসাইন কাশেমী, সাইদুর রহমান, আব্দুল হামিদ, আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী, মিজানুর রহমান চৌধুরী, নূরুল ইসলাম জিহাদী, আবদুল্লাহ মুহাম্মদ হাসান, প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন