কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে স্টেশন মাস্টারের ভুলে একই লাইনে দুটি যাত্রীবাহী ট্রেন মুখোমুখি হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে একটি ট্রেনের চালকের দক্ষতা ও তাৎক্ষণিক বুদ্ধিমত্তায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন যাত্রীরা। গত শনিবার সন্ধ্যায় ভৈরব-ময়মনসিংহ রুটে কটিয়াদী উপজেলার মানিকখালী স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় দুই ট্রেনের যাত্রীরা কান্নাকাটি শুরু করেন। এছাড়া ভয় পেয়ে অনেকে ট্রেন থেকে নিচে লাফিয়ে পড়েন। দুই ট্রেনের যাত্রীদের চিৎকারে এলাকার হাজার হাজার সাধারণ জনতা রেল স্টেশনে এসে জড়ো হন।
রেলওয়ে থানা পুলিশ জানায়, শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী ঈশাখাঁ ৪০ ডাউন লোকাল ট্রেনটি মানিকখালী স্টেশনের ২নং লাইনে অপেক্ষা করছিল। একই সময় ঢাকা থেকে ময়মনসিংহগামী ঈশাখাঁ ৩৯ আপ লোকাল ট্রেনটি মানিকখালী স্টেশনের দিকে আসছিল। এ সময় ট্রেনটিকে ১ নম্বর লাইনের পরিবর্তে ভুল করে ২ নম্বর লাইনে প্রবেশের সিগন্যাল দেন ওই সময় দায়িত্ব পালনকারী সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. আতাউল করিম।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষমান যাত্রী মো. সাদেক মিয়া জানান, স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনটির হেডলাইট নেভানো ছিল। স্টেশনের দিকে একই লাইনে একটি ট্রেন আসতে দেখে আশপাশের লোকজন চিৎকার করতে থাকেন। এ সময় দুই ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক দেখা দেয়। তবে লোকজনের চিৎকার শুনে এবং হেডলাইটের আলোয় সামনে একই লাইনে একটি ট্রেন দাঁড়ানো দেখে ব্রেক করে খানিকটা দ‚রেই ট্রেন থামাতে সক্ষম হন ঢাকা থেকে ময়মনসিংহগামী ট্রেনের চালক। ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে যাত্রীরা রক্ষা পান।
স্থানীয়রা জানান, এ ঘটনার পর ভুল সিগন্যাল পেয়ে একই লাইনে ঢুকে পড়া ৩৯ আপ ট্রেনটি উল্টো দিকে সরিয়ে নেয়া হলে, প্রায় ৪৫ মিনিট পর ট্রেন দুটি গন্তব্যের দিকে ছেড়ে যায়। মানিকখালী স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. আবদুস সালাম জানান, ঘটনার সময় আমি দায়িত্বে ছিলাম না, দায়িত্বে ছিলেন সহকারী স্টেশন মাস্টার আতাউল করিম। তবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি এবং ট্রেন দুটি স্টেশন ত্যাগ করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন