কুমিল্লার বরুড়ায় ফরিদ আহাম্মেদ নামে এক ব্যবসায়ীকে গাঁজা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগে দুই এএসআইকে ক্লোজড করা হয়েছে। গত রোববার রাতে বরুড়া থানা পুলিশের এএসআই ইব্রাহিম খলিল এবং ইসমাঈল হোসেনকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়। অভিযোগকারী ব্যবসায়ী উপজেলার শাকপুর গ্রামের মৃত আলী মিয়ার ছেলে।
অভিযোগে জানা যায়, গত ২০ জানুয়ারি রাত নয়টার দিকে উপজেলার শাকপুর গ্রামের ব্যবসায়ী ফরিদ উদ্দিন নিজ কর্মস্থল থেকে বাড়ী ফেরার পথে এএসআই ইব্রাহিম খলিল ও ইসমাইল হোসেন ওই ব্যবসায়ীকে সন্দেহমূলক আটক করে। এ সময় একই এলাকার শিপন নামে আরেক কিশোরকেও আটক করা হয়। ব্যবসায়ী ফরিদ ও কিশোর শিপনকে তল্লাশী করে কোন প্রকার অবৈধ কিছু না পাওয়া গেলেও ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা তাদেরকে আটক করে রাখে। পরে ফরিদ উদ্দিনকে গাঁজা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে দালালের মাধ্যমে তার পরিবারের কাছ থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। পরদিন সকালে পুলিশের নিযুক্ত ওই দালাল ফরিদের কাছে আরো ৩০ হাজার টাকা দাবি করে। আর আটককৃত দরিদ্র পরিবারের অপর কিশোর টাকা জোগাড় করতে না পারায় তার বাড়ী থেকে একটি ছাগল নিয়ে যাওয়া হয়। দুই পুলিশ কর্মকর্তার এমন অমানবিক আচরনের প্রতিকার চেয়ে ২২ জানুয়ারি বিকেলে কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করে ব্যবসায়ী ফরিদ উদ্দিন।
এ ঘটনায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ের তদন্ত টিম ঘটনার সত্যতা পেয়ে প্রতিবেদন দিলে রোববার রাতে বরুড়া থানার এএসআই ইব্রাহিম খলিল ও ইসমাইল হোসেন ক্লোজড করা হয়। এ বিষয়ে বরুড়া থানার পরিদর্শক ইকবাল বাহার জানান প্রশাসনিক কারণে ওই দুই এএসআইকে ক্লোজড করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন