রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় বাংলাদেশ সীমান্তের ভেতরে প্রবেশ করে ৫ বাংলাদেশীকে বিএসএফ ধরে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।
গত মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় পবা উপজেলার গহমাবোনা এলাকাবাসী ও দামকুড়া মৎস্যজীবী জেলে সমিতির আয়োজনে পবা হরিপুর গহমাবোনা মহাসড়কের ওপর এ মানববন্ধন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
গত ৩১ জানুয়ারি বেলা ১১টার দিকে গোদাগাড়ী উপজেলার খরচাকা সীমান্ত থেকে রাজন হোসেন, মো. সোহেল, কাবিল, মো. শাহীন ও শফিকুলকে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। তাদের প্রত্যেকের বাড়ি পবা উপজেলার গহমাবোনা গ্রামে।
এ নিয়ে শনিবার সকালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) পতাকা বৈঠকের জন্য সীমান্তে গেলেও বিএসএফ প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে আসেনি। পরে বিকেলে দ্বিতীয় দফায় পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও শূন্য হাতে ফিরে আসতে হয়েছে বিজিবিকে। অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক ওই ৫ বাংলাদেশীকে ভারতের মুর্শিদাবাদ থানায় হস্তান্তরের মধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে বিজিবি’র ১ ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল ফেরদৌস জিয়াউদ্দিন মাহমুদ জানান, বিএসএফের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বিজিবি’র প্রতিনিধি দল সেখানে হাজির হলেও আসেনি বিএসএফ। ফলে শুন্যহাতেই ফিরে আসতে হয় বিজিবিকে। পরে আবারো তারা বিকেল সাড়ে ৪টায় পতাকা বৈঠকের বসার প্রতিশ্রুতি দেয়। পরে পতাকা বৈঠক হলেও বিএসএফ বিজিবিকে জানায়, অনুপ্রবেশের অভিযোগে বাংলাদেশী ৫ জেলে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
তবে বিজিবি’র পক্ষ থেকে কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে বিএসএফ ৫জনকে পদ্মা নদী থেকে ধরে নিয়ে গেছে। জবাবে কেবল দুঃখপ্রকাশ করেছে বিএসএফ।
এ বিষয়ে পবার হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বজলে রেজবী আল হাসান মুঞ্জিল জানান, যাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তারা সবাই রাখাল। নিজেদের বাড়িতে পালন করা গবাদিপশু পদ্মানদীর চরে চরাতে যান। তারা চরে গরু চরাতে গিয়েছিলেন। এসময় তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন