শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

তিন সেঞ্চুরিতে দুর্দান্ত দক্ষিণাঞ্চল সিলেটে তাসকিনের পাঁচ উইকেট

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

পাকিস্তান সিরিজের বিবেচনায় ছিলেন তাসকিন আহমেদ। ইনজুরির কারণে শেষ পর্যন্ত যাওয়া হয়নি। ম‚লত ম্যাচ ফিটনেসের অভাবে বাদ পড়ে যান তিনি। তবে সে ঘাটতি খুব করে পুষিয়ে নিচ্ছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল)। গতকাল একাই তুলে নিয়েছেন পাঁচটি উইকেট। তার তোপে পড়েই এদিন মাত্র ১৬৯ রানে গুটিয়ে গেছে মধ্যাঞ্চল। দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম দিন শেষে মধ্যাঞ্চলের চেয়ে ৮০ রানে পিছিয়ে আছে উত্তরাঞ্চল।

লম্বা সময় ধরে জাতীয় দলের বাইরে তাসকিন। ছন্দে থাকলে পড়েন ইনজুরিতে। ইনজুরি কাটিয়ে ছন্দ খুঁজে পেতে পেতে আবার পড়েন ইনজুরিতে। বেশ বাজে সময়ই যাচ্ছে তার। তবে বিপিএলের মাঝ পথ থেকেই ছন্দ খুঁজে পেয়েছেন তিনি। যদিও ইনজুরির ধকল এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি। তারপরও এদিন দুর্দান্ত বোলিং করেছেন এ পেসার।

তবে সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথম বোলিং নিয়ে প্রতিপক্ষ চাপে ফেলার কাজের শুরুটা করেন সালাহউদ্দিন শাকিল। মোহাম্মদ নাঈমকে ফিরিয়ে দেন খালি হাতে। এরপরই তোপ দাগান তাসকিন। মাত্র ৮ রানেই পড়ে যায় ৪টি উইকেট। এরপরও নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকে মধ্যাঞ্চল। এক রকিবুল হাসান ছাড়া আর কোন ব্যাটসম্যানই দায়িত্ব নিতে পারেননি। পঞ্চম উইকেটে শুভাগত হোমের সঙ্গে তার করা ৪৭ রানের জুটিটিই ইনিংসে সর্বোচ্চ। ফলে ১৭০ রানেই গুটিয়ে যায় দলটি।

দলের পক্ষেও সর্বোচ্চ ৭০ রানের ইনিংসটি খেলেন রকিবুল। ১২৭ বলের ইনিংসটি সাজান ১০টি চার দিয়ে। এছাড়া নয় নম্বরে নামা আরাফাত সানির ব্যাট থেকে আসে ২৫ রান। উত্তরাঞ্চলের পক্ষে ৫৪ রানের খরচায় ৫টি উইকেট পান তাসকিন। ৩৫ রানের বিনিময়ে ২টি শিকার শাকিলের। ১টি করে উইকেট নেন সুমন খান, আরিফুল হক ও এনামুল হক জুনিয়রও।

নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে খুব ভালো ভালো অবস্থানে নেই উত্তরাঞ্চলও। যদিও শুরুটা ছিল দারুণ। দুই ওপেনার রনি তালুকদার ও জুনায়েদ সিদ্দিকি ব্যাট থেকে ৬৯ রানের জুটি। কিন্তু এরপর স্কোরবোর্ডে ১০ রান যোগ করতে ৩টি উইকেট হারালে চাপে পড়ে যায় দলটি। দিনশেষে ৩ উইকেটে ৮৯ রান তুলেছে তারা। নাঈম ইসলাম ১৮ ও মুশফিকুর রহিম ১ রানে ব্যাট করছেন।

এদিকে রেজাউর রহমানের তোপে পরে শুরুটা হলো বিভীষিকাময়। কিন্তু এরপরই ঘুরে দাঁড়ায় দক্ষিণাঞ্চল। রীতিমত রান উৎসবে মাতে দলটি। সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনজন ব্যাটসম্যান। এনামুল হক বিজয়, নুরুল হাসানের পর তরুণ মেহেদী হাসানও পৌঁছান তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে। ফলে বড় সংগ্রহের পথেই আছে তারা। প্রথম দিন শেষে তাদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৪৪৩ রান।

কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমী মাঠে টস জিতেছিল প‚র্বাঞ্চল। বেছে নেয় বোলিং। আর তার শুরুটাও ভালো করে তারা। রেজাউরের বোলিং তোপে ১৬ রানেই শেষ টপ অর্ডারের তিন উইকেট। এরপর দলীয় ৬১ রানে চতুর্থ উইকেট তুলে নেয় তারা। তখন মনে হচ্ছিল দিনটা হতে যাচ্ছিল প‚র্বাঞ্চলেরই।

কিন্তু এরপর ওপেনার এনামুল বিজয়ের সঙ্গে ইনিংস মেরামতের কাজে নামেন নুরুল হাসান সোহান। গড়েন ১৯০ রানের দারুণ এক জুটি। তাতেই সব চাপ সামলে নেয় দলটি। এরপর বিজয় আউট হলে মেহেদী হাসানকে নিয়ে আরও দারুণ জুটি গড়েন সোহান। স্কোরবোর্ডে ১৭৫ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটসম্যান। ফলে বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় দলটি।

দারুণ ব্যাট করে চলেছেন সোহান। ১৫৫ রান করে অপরাজিত রয়েছেন তিনি। ১৯টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে নিজের এ ইনিংস সাজিয়েছেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। ১২৯ রানের ইনিংস খেলে রানআউটে কাটা পড়েন বিজয়। ১৫৫ বলে ১৪টি চার ও ৪টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তিনি। মেহেদী অবশ্য ব্যাট করেছেন ওয়ানডে স্টাইলে। ১২১ বলে খেলেন ১১২ রানের ইনিংস। ১০টি চার ও ৮টি ছক্কার সাহায্যে নিজের ইনিংস সাজান এ তরুণ। প‚র্বাঞ্চলের হয়ে ৭৯ রানের খরচায় ৩টি উইকেট তুলে নিয়েছেন রেজাউর। এছাড়া হাসান মাহমুদ ও সাকলাইন সজীবের শিকার ১টি করে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন