শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

বাসা ভাড়া নিয়ে ব্যবসা গৃহবধূ ও তিন তরুণীসহ ৬ জনকে গণধোলাই

প্রকাশের সময় : ৪ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা
কুমিল্ল­ার চৌদ্দগ্রাম বাজারে এক প্রবাসীর স্ত্রী বাসা ভাড়া করে সুন্দরী তরুণী দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দেহ ব্যবসা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার রাত ১০টায় অভিযুক্ত গৃহবধূ, তিন তরুণী ও দুই যুবককে গণধোলাই শেষে ছেড়ে দিয়েছে জনতা। অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের তারাশাইল গ্রামের এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী তিন সন্তানের জননী পান্না আক্তার চৌদ্দগ্রাম বাজারে বাসা ভাড়া করে থাকে। এ সুযোগে সুন্দরী তরুণীর দিয়ে সে দেহ ব্যবসা চালায়। বর্তমানে সে তারাশাইল গ্রামের মিনি যমুনা চালক ফারুককে স্বামী পরিচয় দিয়ে চৌদ্দগ্রাম বাজারের ‘কাঁচা বাজার’ সংলগ্ন বেতিয়ারা টাওয়ারের নিচ তলায় বাসা ভাড়া নেয়। দীর্ঘদিন ধরে সেখানে সুন্দরী তরুণীদের দিয়ে দেহ ব্যবসা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার রাত ১০টার দিকে স্থানীয় জনতা অভিযুক্ত গৃহবধূ পান্না, সুন্দরী তিন তরুণী ও দুই যুবককে অসামাজিক কাজের অভিযোগে গণধোলাই দেয়। একই অভিযোগে দুই মাস আগে পৌর এলাকার লক্ষীপুর গ্রামের কালাম মিয়াসহ স্থানীয় লোকজন গৃহবধূ পান্না ও স্বামী পরিচয়দানকারী ফারুককে গণধোলাই দেয়। ফারুকের এক ঘনিষ্ট বন্ধু জানান, ‘দুইজনের মাঝে শপথ হয়েছে- ঈদের পরে বিয়ে হবে’। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পান্নার বাড়ি মুন্সিরহাট ইউনিয়নের ফেলনা গ্রামে। সে ইতোপূর্বে চৌদ্দগ্রাম বাজারে একই অভিযোগের কারণে তিনটি বাসা পরিবর্তন করে। তার কারণে বড় মেয়েও অসামাজিক কাজে জড়িয়ে পড়ছে বলে কতিপয় যুবক জানান। অপরদিকে পান্নার বর্তমান স্বামী পরিচয়দানকারী ফারুকের বাড়িতে স্ত্রী রয়েছে।
স্থানীয় সচেতন মহল পান্নার অনৈতিক কার্যকলাপ বন্ধে প্রশাসনের নিকট জোরদাবি জানিয়েছেন।
মায়ের অভিযোগে ৩ মাসের জেল কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মাদক সেবনে অতিষ্ঠ মায়ের অভিযোগে ছেলেকে তিন মাসের সাজা শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাঈদুর রহমান এ রায় দেন। দ-প্রাপ্ত যুবকের নাম জাফর ইকবাল মিয়াজী(৩০)। সে পৌর এলাকার পশ্চিম ধনমুড়ি গ্রামের রুস্তম আলী মিয়াজীর ছেলে। জানা গেছে, জাফরের মাদক সেবনে অতিষ্ঠ হয়ে তার মা জাহানারা বেগম অভিযোগ দিলে রোববার পুলিশ তাকে আটক করে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিকট হাজির করলে তাকে তিন মাসের সাজা শেষে কারাগারে পাঠানো হয়। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেও মায়ের অভিযোগে আরেক মাদকসেবীকে ১০ মাস ১০ দিনের সাজা শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন