গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা
গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগ দলীয় ইউপি চেয়ারম্যান ঈদের স্পেশাল ভিজিএফের ৬ টন চাল কালোবাজারে বিক্রি করে দুস্থদের চাল ওজনে কম দিয়েছেন। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে। ঈদ উপলক্ষে ওই ইউনিয়নের দুস্থ ১০২০ পরিবারের ভিজিএফ ২০ কেজি করে মোট ২০ টন ৪০০ কেজি চাল সরকার বরাদ্দ প্রদান করে। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শরীফ আমিনুল হক লাচ্চু গত শুক্রবার গোপালগঞ্জ খাদ্য গুদাম থেকে ২০ মেঃ টন ৪০০ কেজি চাল উত্তোলন করেন। এ চাল থেকে ১২০ বস্তা মোট ৬ মেঃ টন খাদ্য গুদামের সর্দারের কাছে বিক্রি করে দেন। তিনি গোপীনাথপুরে ১৪ মেঃ টন ৪০০ কেজি চাল নিয়ে যান। গত শুক্রবার ও শনিবার চাল বিতরণের সময় ২০ কেজির স্থলে ১৫/১৬ কেজি করে বিতরণ করেন। গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের শরীফপাড়া গ্রামের আলীম শরীফের স্ত্রী রতœা বেগম, একই গ্রামের মৃত আহম্মদ শরীফের ছেলে এমদাদুল শরীফ ও ই¯্রাফিল শরীফ অভিযোগ করে বলেন, ঈদের ভিজিএফের চাল ২০ কেজির স্থলে ১৫/১৬ কেজি করে প্রদান করা হয়েছে। এ বছর মাপে চাল খুবই কম দিয়েছে। তিনি আগের টার্মেও চেয়ারম্যান ছিলেন। তখন ওজনে চাল কম দেননি। আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন পেয়ে এ বছর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েই ঈদের ভিজিএফ চাল ওজনে কম দিলেন। গোপালগঞ্জ খাদ্য গুদামের একাধিক শ্রমিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, গোপীনাথ ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ আমিনুল হক লাচ্চু ৫০ কেজি ওজনের ১২০ বস্তা মোট ৬ মেঃ টন চাল উত্তোলনের পরই শুক্রবার গুদামের শ্রমিক সরদারের কাছে বিক্রি করেন। তিনি ১৪ টন ৪০০ কেজি চাল গোপীনাথপুর ইউনিয়নে বিতরণের জন্য নিয়ে যান। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মিরান হোসেন মিয়া বলেন, চাল বিক্রি ও ওজনে কম দেয়ার ব্যাপারে আমাদের কাছে মৌখিক অভিযোগ এসেছে। আমরা ওই চেয়ারম্যানকে ফোন করে সাবধান করেছি। তারপরও ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান। অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ আমিনুল হক লাচ্চু ভিজিএফের চাল বিক্রি ও ওজনে কম দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, স্থানীয় একটি প্রতিপক্ষ আমর মানসম্মান ক্ষুণœ করতেই অপপ্রচার করছে। আমি কখনই ভিজিএফের চাল ওজনে কম দেইনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন