সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা
সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর সীমান্ত দিয়ে আসা ভারতীয় নি¤œমানের ভাইরাসযুক্ত চিংড়ি পোনা আটক করেছেন বিজিবি সদস্যরা। গত শনিবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে কোমরপুরের হাজামন মোড় এলাকা থেকে তিনটি টমটমসহ (ইঞ্জিনভ্যান) বিপুল পরিমাণ চিংড়িপোনা আটক হয়। তবে মাছের মালিক, ভ্যানচালক এমনকি চোরাচালান সিন্ডিকেট এর হোতা ওই গ্রামের আবুল কাশেম সরদারের ছেলে আলফেরদৌস আলফা ও তার সহোদর আলিমসহ কাউকে আটক করতে পারেননি বিজিবি সদস্যরা। সাতক্ষীরা ৩৮ বিজিবির ভোমরা ক্যাম্পের গোয়েন্দা সদস্য আবদুল করিম জানান, তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আবুল কাশেম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে নীলডুমুর ৩৪ বিজিবির আওতাধীন কোমরপুর (শাখরা) ক্যাম্পের পাশ দিয়ে আধা পাকা সড়কের হাজামন মোড়ে অবস্থান নেন। ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে তিনটি টমটমে বস্তায় ভর্তি ভারতীয় চিংড়িপোনা (গলদা রেণু) অবৈধপথে নিয়ে এলে টমটমের চালকদের থামার নির্দেশ দিলে টমটমের চালকরা চিংড়িপোনা ভর্তি গাড়ি ফেলে পালিয়ে যায়। আটককৃত আনুমানিক চার লক্ষাধিক চিংড়ি পোনাগুলো কাস্টমস কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সকালে নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, আলফা-আলিম সিন্ডিকেট এলাকায় অবৈধভাবে ভারত থেকে চিংড়িপোনাসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে আসে বলে এলাকাসূত্রে জানতে পেরেছেন। বিষয়টি তিনি গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখছেন। তথ্য প্রমাণ পেলেই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরদিকে, সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলার দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ব্রিজের দুই পাশে বসেছে ভারত থেকে আসা ভাইরাসযুক্ত চিংড়িপোনার বাজার। প্রতিদিন ভারত থেকে অবৈধপথে নিয়ে আসা লক্ষ লক্ষ চিংড়ি পোনা প্রতি হাজার ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। খুলনার দাকোপ, বটিয়াঘাটা, রুপসা, বাগেরহাট, ডুমুরিয়াসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যবসায়ীরা এসব মাছ কিনে ঘের মালিকদের কাছে ২ হাজার থেকে ২২০০ টাকায় প্রতি হাজার বিক্রি করে। এই অবৈধ মাছের সেট থেকে প্রশাসনের বিভিন্ন শাখার নামে আদায়কারীরা প্রতিদিন মোটা অংকের টাকা তুলে থাকেন। এমনকি সাংবাদিক পরিচয়দানকারী কোনো কোনো ব্যক্তিও এখান থেকে আর্থিক সুবিধা পেয়ে থাকেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন