শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সম্পাদকীয়

রাজপথে বিএনপির আন্দোলনবিমুখতা বেগম জিয়ার কারামুক্তিকে কঠিন করে তুলেছে

মোবায়েদুর রহমান | প্রকাশের সময় : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০২ এএম

গত শনিবার ৭ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কারাবাসের দুই বছর পূর্ণ হয়। বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। দেশের কোটি কোটি মানুষ তার অন্ধ সমর্থক। বিদেশেও আমেরিকা, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি দেশেও যারা প্রবাসী আছেন তাদের মধ্যে ৯০ শতাংশই তার সমর্থক। তার সমর্থনের যে পরিমাণ আমি উল্লেখ করছি, সেটা আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি।

বাংলাদেশে যে তিনি কতখানি জনপ্রিয় সেটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুলের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে বোঝা যায়। ঐ স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, খালেদা জিয়ার বন্দিত্বের দু’বছর পূরণ হলো। এক অর্থে বাংলাদেশও বন্দি আজ বহু বছর ধরে।

‘তিনি যদি মুক্ত থাকতেন বাংলাদেশ বন্দি থাকত না, থাকত না এতটা দুর্বল আর নতজানু হয়ে।’ ঢাবির এ অধ্যাপক আরও বলেন, এ দেশে লক্ষ কোটি টাকা লোপাট আর পাচার হয়। বহু চোর থাকে মহাদাপটে। জিয়ার নামে ট্রাস্টে দু’কোটি টাকা বেড়ে চার-পাঁচ কোটি টাকা হয়েছে। তবু খালেদা জিয়া শান্তি পেয়েছেন। সেটিও মূলত তার কর্মকর্তাদের গাফিলতি আর ভুলের কারণে।

তিনি বলেন, এক টাকাও আত্নসাৎ করেননি খালেদা জিয়া। তবু তার নামে অপপ্রচার হয় এতিমের টাকা মেরে দেয়ার। কিন্তু কোনো অপপ্রচার মুছতে পারবে না তার অতুলনীয় জনপ্রিয়তা, মুছে দিতে পারবে না তার আত্মত্যাগ। ‘বেগম খালেদা জিয়া, বাংলাদেশের মানুষ ভুল বুঝবে না আপনাকে।’

খালেদা জিয়ার কারাবাস নিয়ে চিন্তিত যেমন দেশের মানুষ, তেমনি চিন্তিত আন্তর্জাতিক নামাজাদা মহল। অথচ এমন একজন অসাধারণ জনপ্রিয় নেত্রীর মুক্তি তো দূরের কথা, দুই বছরে তার মুক্তির কোনো আলামতই দেখা যাচ্ছে না। আলামত বলবো কেন, বেগম জিয়ার মুক্তির কোনো প্রচেষ্টাই লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। বিএনপি নেতারা হয়তো বলবেন যে, তারা তো নি¤œ আদালত থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ আদালত অর্থাৎ আপীল বিভাগ পর্যন্ত দৌড়াদৌড়ি করেছেন। কিন্তু তার পরেও তার মুক্তি মেলেনি। সুতরাং তার মুক্তির ব্যাপারে তাদের কোনো শৈথিল্য নাই।

আদালতে দৌড়াদৌাড়ি করে তার যে মুক্তি মিলবে না, এমনকি জামিনও মিলবে না সেই কথাটি দেশের সাধারণ মানুষ, যাকে বলে আনপড়, তেমন মানুষও বুঝেছে। কিন্তু বুঝতে পারেননি বিএনপির বিজ্ঞ আইনজীবীরা ও বিজ্ঞ স্ট্যান্ডিং কমিটির মেম্বাররা। নি¤œ আদালত থেকে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সব কিছুই সরকারের কুক্ষিগত। এই কথাটি একজন দোকানদারও জানে। আমি তো নিজে কাঁচা বাজারের কয়েকজন বিক্রেতা এবং মুদি দোকানের কয়েকজন মালিককে বলতে শুনেছি, বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে দুই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তাকে দশ বছরের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। অথচ তার সেই দুই কোটি টাকা আজ ফুলে ফেঁপে আট কোটি টাকা হয়েছে। এই রকম কেসে জেল না দিয়ে তাকে তো পুরুস্কৃত করা উচিত। সেখানে তাকে প্রথমে দেওয়া হলো পাঁচ বছরের জেল। সরকারের মন ভরলো না। হাইকোর্টে আপিল করলো। সরকার আপিল করলে সেই জেলের মেয়াদ বাড়ানো হলো পাঁচ বছর। মোট ১০ বছর। এখানেই তো সরকারের রাজনৈতিক মতলব বোঝা গেছে।

দুই
বিএনপি যখন তার জামিন নিয়ে আপিল বিভাগে যায় তখন ইনকিলাবের এই কলামে আমি তার তীব্র বিরোধিতা করেছিলাম। আমার বক্তব্য ছিলো এই যে, আপিল বিভাগেও তার জামিন মিলবে না বরং হাইকোর্টের জামিন প্রদানে অস্বীকৃতি আপিল বিভাগ কনফার্ম করবে। আর তাই যদি হয় তাহলে বেগম জিয়ার জামিনে বেরিয়ে আসার সব রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে। তখন একমাত্র রাস্তা থাকবে দেশের প্রেসিডেন্ট। প্রেসিডেন্টের কাছে যেতে হলে দোষ স্বীকার করতে হবে এবং ক্ষমা চাইতে হবে। আমাদের বিশ^াস প্রাণ গেলেও বেগম জিয়া এই কাজটি করবেন না। কিন্তু বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব কারো কথা না শুনে আপিল বিভাগেই বিষয়টি নিয়ে গেলো। এবং যা ঘটবার তাই ঘটলো।
কেন দুই বছর ধরে আদালতে দৌড়াদৌড়ি করে বিএনপি মূল্যবান সময় নষ্ট করলো? এই আমি সহ সর্বশ্রেণীর মানুষ বলছেন যে, বেগম জিয়ার মুক্তি চাইলে বিএনপিকে রাজপথে নামতে হবে। কথায় বলে, গরীবের কথা নাকি বাসি হলে ফলে। তাই গত শনিবার নয়াপল্টন বিএনপি অফিসের সামনে অনুষ্ঠিত এক বিরাট জন সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন যে, আমরা অনেক কথা বলেছি। সভা করেছি, অনেক দাবি জানিয়েছি, নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। এখন আমাদের একটাই কথা- দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবোই। সরকারকে বাধ্য করবো তাকে মুক্তি দিয়ে জনগণের সব অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। এটাই এখন বিএনপির একমাত্র কাজ।

গত শনিবারের সমাবেশ সম্পর্কে দৈনিক ইনকিলাবের প্রথম পৃষ্ঠায় যে রিপোর্ট করা হয়েছে তার অংশ বিশেষ নিম্নরূপ। ‘খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে বজ্রকণ্ঠে স্লোগান তুলে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার নেতাকর্মীরা ছুটতে থাকেন। নির্ধারিত সময় বেলা দুইটার আগেই মিছিলে মিছিলে সমাবেশ জনসমুদ্রে রূপ নেয়। নেতা-কর্মীরা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্লোগানে স্লোগানে মুখর করে তুলে গোটা এলাকা। সমাবেশে উপস্থিত লাখো নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের কণ্ঠে উচ্চারিত হয় ‘মুক্তি মুক্তি মুক্তি চাই, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’। নানা স্লোগানের পাশাপাশি সিটি নির্বাচনে ভোটচুরির বিরুদ্ধে ‘শেখ হাসিনা ভোট চোর, শেখ হাসিনা ভোট চোর’ স্লোগানও দেয়।

বেলা ২টায় কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয় সমাবেশে বক্তৃতার পর্ব। বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা তাদের বক্তব্যে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য কঠোর থেকে কঠোরতর কর্মসূচি ঘোষণার দাবি জানান। রক্ত দিয়ে, জীবন দিয়ে হলেও তারা সেসব কর্মসূচি সফল করার অঙ্গীকারও করেন।’

একটি কথা আমাদের মাথায় আসেনা যে আওয়ামী সরকার যখন বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে এবং মামরা করতে করতে তাকে জেলেও ঢুকায় তখন নিশ্চয়ই তাকে মুক্তি দেওয়ার জন্য জেলে ঢুকায়নি।

আওয়ামী লীগ যখন বিএনপির সাথে রাজনৈতিক গেম খেলছে তখন বিএনপিও তো আওয়ামী সরকারের সাথে রাজনৈতিক গেম খেলতে পারতো। বিএনপির পক্ষেও তো রাজনৈতিক তাস খেলায় আওয়ামী লীগকে টেক্কা দেওয়ার সুযোগ ছিলো। প্রধানমন্ত্রীর সাথে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক হলো। কোনো রকম শর্ত ছাড়াই ড. কামাল হোসেন বৈঠকের প্রস্তাব দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখলেন কেনো? বেঠক অনুষ্ঠানের পূর্বশর্ত হতে পারতো বেগম জিয়ার মুক্তি। অর্থাৎ বেগম জিয়াকে মুক্তি দিলে আমরা বৈঠকে যাবো। সেই সুযোগটি বিএনপি মিস করলো।

তারপর নিঃশর্তে ইলেকশনে গেলো। নিঃশর্তে গেলো কেনো? এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অনেকের নজর এড়িয়ে গেছে। সেটি হলো এই যে, বিদেশিরা সরকারকে বলেছিলো একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে। অর্থাৎ আওয়ামী সরকার এমন একটি নির্বাচন করুক যেখানে সব দল অংশগ্রহণ করে। এবার কিন্তু বিদেশিরা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বা সমতল মাঠের কথা বলেনি।

তিন
তো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলতে বিএনপির অংশ গ্রহণ ছিলো মাস্ট। কারণ বিএনপি না গেলে ২০ দলও যেতো না এবং ঐক্যফ্রন্টও যেতো না। তাহলে তো আর সেটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতো না। এটি ছিলো বিএনপির কাছে তুরুপের তাস। নির্বাচনে যাওয়ার আগে তারা বেগম জিয়ার মুক্তিকে পূর্বশর্ত করতে পারতো। অর্থাৎ তারা নির্বাচনে যাবে যদি বেগম জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়। তখন আওয়ামী লীগ পড়তো গ্যাড়াকলে। কারণ ২০১৪ সালে বিএনপিসহ বিরোধী দল ইলেকশন বয়কট করেছিলো। ২০১৮ সালেও তারা যদি ইলেকশন বয়কট করতো তাহলে ৩০ ডিসেম্বরের বদলে ২৯ ডিসেম্বর মধ্যরাতে প্রশাসন দিয়ে ব্যালট পেপারে সিল মারা সম্ভব ছিলো না। সেক্ষেত্রে বেগম জিয়াকে মুক্তি না দিয়ে কোনো উপায় ছিলো না। এমন একটি তুরুপের তাস হাতছাড়া করে তারা শর্তহীনভাবে নির্বাচনে গেলো কেন?

অথচ তারা সংলাপের সময় ৭টি পূর্বশর্ত এবং আরো ৯টি দফা দিয়েছিলো। মানুষ ধারণা করেছিলো যে, এই সব পূর্বশর্ত এবং দফার অধিকাংশ পূরণ না করলে বিরোধী দল ইলেকশনে যাবে না। সরকার পূর্বশর্ত ও দফাগুলোর একটিও মানলো না। তারপরেও বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্ট কেনো এবং কোন কারণে বিনা শর্তে সুড় সুড় করে নির্বাচনে গেলো? এখানে তো তারা বেগম জিয়াকে মুক্ত করার দ্বিতীয় সুযোগটি হারায়।

বেগম জিয়াকে কারামুক্ত করার জন্য বিএনপির সামনে তৃতীয় আরেকটি সুযোগ এসেছিলো। সেটি হলো, বিনাশর্তে যখন বিএনপি ইলেকশনে গেলোই তখন তারা দেখলো যে, তাদেরকে মাত্র ৬টি আসন দেওয়া হয়েছে। অথচ বাজারে এই মর্মে একটি গুজব ছিলো যে বিএনপির সাথে নাকি সরকারের একটি গোপন সমঝোতা ছিলো যে বিএনপি ইলেকশনে এলে তাকে ৭০টি আসন দেওয়া হবে। ৭০ টি আসন তো দূরের কথা দিলো মাত্র ৬টি আসন। এইখানে আওয়ামী লীগ বিএনপির কাছে দ্বিতীয়বার ওয়াদা ভঙ্গ করে। এতদ্বসত্বেও বিএনপিকে যখন মাত্র ৬টি আসন দেওয়া হয় তখন তো বিএনপি বলতে পারতো যে তাদের এমপিরা সংসদ সদস্য হিসাবে শপথ গ্রহণ করবে না যদি বেগম জিয়াকে মুক্তি দেওয়া না হয়। আসন মাত্র ৬টি হলেও শর্তটি ছিলো কিন্তু বিশাল। এই জন্য যে যদি বিএনপি শপথ গ্রহণ না করতো তাহলে ৩০০ সদস্যই আওয়ামী লীগের হতো। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন নজির খুব কমই পাওয়া যায় যেখানে সংসদের ৩০০টি আসনের মধ্যে ৩০০টিই ক্ষমতাসীন দল পায়।

চার
ইলেকশনের পর বিএনপির নেতারা গরম গরম কথা বললেন যে, তারা ইলেকশন মানেন না, জাল ভোটের সংসদ মানেন না এবং সরকারও মানেন না। তারা ইলেকশন বাতিল করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পুনর্নির্বাচন চান। কিন্তু সরকার তাদের দাবিকে কোনো পাত্তাই দিলো না। তারপরেও বিএনপি সুড় সুড় করে শপথ গ্রহণ করে এমপি বনে বসলো।

বেগম জিয়াকে যদি জীবন্ত জেল থেকে বের করে আনতে হয় তাহলে দুর্বার গণ আন্দোলন ছাড়া বিএনপির সামনে আর কোনো পথ খোলা নাই। কিন্তু গত দুই বছরে দুর্বার গণ আন্দোলন তো দূরের কথা, বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য তারা কোনো মিছিল বা জনসভাও করতে পারেনি। এখন বোঝা যাচ্ছে এই বিএনপি এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে বেগম জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি নয়। এখনকার বিএনপি নেতৃত্বের মধ্যে কোনো ফাইটিং স্পিরিট নাই। নেতারা সব সময় বিদেশি সমর্থনের দিকে তাকিয়ে থাকে। এই রকম দুর্বল অপজিশনকে বিদেশিরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সাহায্য করবে কেন?

সোজা আঙ্গুলে ঘি ওঠে না। একথা বলতেন শেখ মুজিব। আঙ্গুল বাঁকা করে ঘি তুলতে হয়। এখন বিএনপি আঙ্গুল বাঁকা করে তবেই বেগম জিয়ার মুক্তি আসতে পারে। এই পথ ছাড়া সপ্ততিপর বৃদ্ধ জননেত্রী বেগম জিয়ার সামনে গাঢ় অন্ধকার।
journalist15@gmail.com

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
S M Kabir ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ২:০৩ এএম says : 0
ঈদের পরে।এইবার দেখাই দিমু! কোন বছরের ঈদের পর সেটা বলবো না কারন তাহলে কৌশল প্রকাশ হয়ে যাবে।
Total Reply(0)
Zahid Hossain ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ২:০৪ এএম says : 0
That’s why illegal government running the country.
Total Reply(0)
MD Mizan ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ২:০৪ এএম says : 0
হায়! বিএনপি'র আন্দোলনের জন্যে আওয়ামীলীগ মুখিয়ে আছে। কিন্তু আন্দোলন করতে অনেক ত্যাগ আর সাহসের প্রয়োজন তা বিএনপির আছে কি ?
Total Reply(0)
Md Mubarak ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ২:০৫ এএম says : 0
বি এন পি আন্দোলন করলে তো আপনারা বোমা মেরে বলবেন বি এন পি বোমা মেরে মানুষ মারে। দেশে শান্তির রাজনীতি আওয়ামীলীগ চায় না, যদি চাই তো তাহলে আন্দোলন আন্দোলন করে গলা ফাটাই তো না,
Total Reply(0)
Pankaj Kumar Mutsuddi ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ২:০৬ এএম says : 0
অতীতে অতিরিক্ত শক্তি ক্ষয়ের ফল, তাই বোধদয়।
Total Reply(0)
** হতদরিদ্র দীনমজুর কহে ** ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৯:৪৮ পিএম says : 0
আপনার হক কথার জন্য ধন্যবাদ।এমন কোন আন্দলন বিএনপি করতে পারেনাই যাতে মুক্তি পেতে পারে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন