জাপানের রাজধানী টোকিওতে আসন্ন অলিম্পিকস গেমস ২০২০ উপলক্ষে, টোকিওর এক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ইভেন্ট আয়োজক সংস্থা ‘ইয়াসু প্রজেক্ট’ শান্তি ও সাম্যের জন্য একটি ভ্রাম্যমাণ মসজিদ তৈরি করেছে।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসুহারু ইনোউ বলেছেন, ‘একটি উন্মুক্ত ও অতিথিপরায়ণ দেশ হিসাবে আমরা ওমোটেনশি (জাপানি আতিথেয়তা) ধারণাটি মুসলিম জনগণের সাথে ভাগ করতে চাই।’
গেমস চলাকালীন সময়ে ভ্রাম্যমাণ মসজিদ বিভিন্ন স্টেডিয়ামের সামনে রাখা হবে। এটি একটি ২৫ টনি ট্রাকের উপর নির্মিত। এতে রয়েছে ৪৮ স্কয়ার মিটারের নামাজ কক্ষ। এটি একটি চলামান ট্রাকে থাকবে। ওই ট্রাকটি নির্ধারিত জায়গায় পার্ক করার পর কয়েক সেকেন্ডে সয়ংক্রিয়ভাবে তার জায়গা করে নিতে পারে। ভ্রাম্যমাণ মসজিদ বানাতে চার বছর লেগেছে। ট্রাককে একটু বদলে সেটি নামাজের জন্য তৈরি করা হয়েছে। ওই জায়গায় একসঙ্গে ৫০ জন নামাজ পড়তে পারবেন। ভ্রাম্যমাণ মসজিদের ভেতর ওজুর জন্য পানি রয়েছে। কিবলার দিকও নির্দেশ করা আছে। এ প্রকল্পের জন্য জাপান সরকার ৯০ হাজার ডলার ব্যয় করেছে। এটিতে আরবি হরফে লেখা রয়েছে। প্রতিবার নামাজের আগে এটি পরিষ্কার করার ব্যবস্থা রয়েছে।
টোকিও অলিম্পিকে মুসলিমদের আমন্ত্রণ জানানোরও একটি বিশেষ উদ্যোগ এটি। অলিম্পিকে আগত মুসলিমরা যেন নামাজ পড়ার একটি উপযুক্ত পরিবেশ পায়, সে দিকে দেশটি গুরুত্ব দিয়েছে। জুলাইয়ের ২৪ তারিখ থেকে আগস্টের ৯ তারিখ পর্যন্ত অলিম্পিকের ভেন্যুর কাছাকাছি থাকবে এ ভ্রাম্যমাণ মসজিদটি।
এছাড়া জাপানে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ২০০টি মসজিদ রয়েছে। ১৯৩১ সালে জাপানে সর্বপ্রথম মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়। জাপানের মোট জনসংখ্যার মাত্র ২ শতাংশ মানুষ মুসলমান। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসী আসার কারণে জাপানে দিন দিন মুসলমানের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি বাড়ছে মসজিদের সংখ্যাও। তবে ভ্রাম্যমাণ মসজিদের মাধ্যমে যেমন অলিম্পিকের মতো বড় আসরের প্রচার ও প্রসারের কাজ চলছে, তেমনি এ ধারণা মুসলমানদের মধ্যে জনপ্রিয় করার চেষ্টাও করা হচ্ছে। সূত্র: পাকিস্তান ট্রিবিউন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন