খাদ্য মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি কৃষি বিভাগে উপ-সহকারী কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে তাদের দায়িত্বের ৫০ ভাগ কাজও করেন না বলে অভিযোগ করেছেন। তাদের দেয়া ত্রুটিপূর্ণ তালিকার কারণে খাদ্য বিভাগের ধান-চাল সংগ্রহ কর্মসূচী সহ অনেক কর্মসূচী বাস্তবায়নে বিভ্রান্তিতে পড়তে হচ্ছে বলেও জানান তিনি। মিল মালিকদের সঙ্গে যোগসাজশ করে খাদ্য অধিদপ্তরের খাদ্য পরিদর্শক সহ মাঠ কর্মকর্তাদের অনৈতিক সুবিধা নেবারও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী। এসব গর্হিত কর্ম পরিহার করে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দ্রুত সঠিকপথে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে হুঁশিয়ারী উচ্চারন করেছেন খাদ্য মন্ত্রী।
বুধবার বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয় মিলনায়তনে আমন ধান সংগ্রহ অভিযান উপলক্ষে এক মতবিনিময় সভায় খাদ্য মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ঐ সভায় সভায় খাদ্য মন্ত্রাণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মত নাজমানারা খানুমও উপস্থিত ছিলেন । খাদ্য অধিদপ্তর ও কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, প্রান্তিক কৃষক, মিল মালিক ও জনপ্রতিনিধিরা মতবিনিময় তাদের মতামত দেন।
খাদ্য মন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালে কৃষি কার্ড তৈরীর দায়িত্বে ছিলেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা। তাদের গাফেলতির কারনে একই বাড়ির ৫ জনও কৃষি কার্ড পেয়েছেন। আবার অনেক প্রকৃত কৃষক কার্ড পাননি। ফলে ওই কার্ডের মাধ্যমে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি কর্মসূচীতে অনিয়ম হয়েছে। একই কার্ড দিয়ে ধান-চাল ক্রয়ে কৃষক তালিকাভুক্ত করতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। অনেক কৃষি কর্মকর্তা মাঠে না গিয়ে ঘরে বসে তালিকা করেন বলে খাদ্য মন্ত্রী অভিযোগ করেন।
খাদ্য মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার বিদেশে চাল রফতানি করবে এমন পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে। এজন্য ধান উৎপাদনে দেশ স্বয়ংসম্পুন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নেয়া হবে। গুটিকয়েক কর্মকর্তার দুর্নীতিতে তা বাঁধাগ্রস্ত হলে বরদাশত করা হবেনা বলেও হুশিয়ারী উচ্চারন করেন খাদ্যমন্ত্রী।
সভায় খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালক আমজাদ হোসেন, কৃষি বিভাগের উপ পরিচালক হরিদাস শিকারী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস, কৃষক লীগের জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন