মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

তানোরে কাজ না করেই বিল উত্তোলনের অভিযোগ

আপত্তি করায় উপ-সহকারী প্রকৌশলী স্ট্যান্ডরিলিজ

প্রকাশের সময় : ৫ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

তানোর (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা

রাজশাহীর তানোরে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে স্কুলের নির্মাণ কাজ শেষ না করেই বরাদ্দের সিংহভাগ টাকা উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বছরের ৩০ জুন চৈতপুর গ্রামবাসি ডাকযোগে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে। জানা গেছে, উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল-মামুনকে আর্থিক সুবিধা দিয়ে অনিয়মের মাধ্যমে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বরাদ্দের সিংহভাগ অর্থ উত্তোল করেছে। এদিকে বিল উত্তোলনের খবর ছড়িয়ে পড়ায় সংশ্লিষ্ট বিভাগে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। উপজেলা এলজিইডি’র নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এসও কর্মকর্তা বলেন, সরেজমিন পরিদর্শন করা হলে এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, এক প্রতিমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে প্রকৌশলী এসব অনিয়ম করছে তাই তারা প্রকাশ্যে কেউ প্রতিবাদ করতে পারছেন না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তানোরের চান্দুড়িয়া ইউপির দেওতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কলমা ইউপির চৈতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের জন্য প্রায় এক কোটি ৩৩ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়। চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে এসব ভবন নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করার কথা বলা হয়েছে। রাজশাহীর ঠিকাদার সেলিম রেজা ভবন দুটি নির্মাণের কার্যাদেশ পেয়েছেন। এদিকে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দুটি ভবনের মাত্র ১০ শতাংশ নির্মাণ কাজ করে প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন দেখিয়ে প্রকৌশলীর যোগসাজশে বরাদ্দের সিংহভাগ ৮০ লাখ টাকা উত্তোলন করে নিয়েছেন। আবার যেটুকু নির্মাণ কাজ করা হয়েছে সেটা নিয়েও অনিয়মের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। আর এই অনিয়মের প্রতিবাদ করায় উপ-সহকারী প্রকৌশলী রেজাউন নবীকে তড়িঘড়ি অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে দেওতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আনসার আলী বলেন, সবেমাত্র স্কুলের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে এরই মধ্যে কিভাবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এতো টাকা বিল উত্তোলন করেছেন সেটা তার বোধগম্য হচ্ছে না। এ ব্যাপারে দেওতলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাসুদ রানা বলেন, তার স্কুলের এখন পর্যন্ত মাত্র ১০ শতাংশ কাজ হয়েছে। এ ব্যাপারে চৈতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, তার স্কুলের মাত্র ১০ শতাংশ কাজ হয়েছে, এ অবস্থায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে এতো টাকা পরিশোধ করা ঠিক হয়নি। তিনি বলেন, যদি কোনো কারণে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ সম্পন্ন না করে চলে যায় তাহলে তার দায় নিবে কে?। এ ব্যাপারে তানোর উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল-মামুন সব অভিযোগ অস্বীকার বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে নিয়মানুযায়ী বিল প্রদান করা হয়েছে। তিনি বলেন, কাজ সম্পন্ন না করে ঠিকাদারের পালিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নাই। এ ব্যাপারে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ঠিকাদার সেলিম রেজা মুঠোফোন রিসিভ না করায় তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন