বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

আশুলিয়ায় উদ্ধার গলাকাটা লাশটি পাঠাও চালকের, আটক ৩

স্টাফ রিপোর্টার, সাভার | প্রকাশের সময় : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৭:৩০ পিএম

ঢাকার আশুলিয়ায় বাঁশঝাড়ের ভিতর থেকে উদ্ধার অজ্ঞাত (৩০) গলাকাটা লাশটি ‘পাঠাও’ চালক শামীম বেপারী বাবুর। এহত্যাকান্ডের সাথে জড়িত তিন জনকে আটক করেছে র‌্যাব।

শুক্রবার আশুলিয়া ইউনিয়নের কাঠগড়া পালোয়ানপাড়া এলাকার একটি বাঁশ ঝাড়ের ভিতর থেকে গলাকাটা লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। তখন লাশের পাশ থেকে রক্তমাখা মোটরসাইকেলের দুটি হেলমেট ও হত্যায় ব্যবহৃত একটি ছুরি উদ্ধার করে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশিদ।
নিহত শামীম বেপারী বাবু (৩০) রাজশাহী জেলার বাঘা থানাধীন চৌমুধিয়া গ্রামের মোঃ শাহিন বেপারীর ছেলে। সে রাজধানীর খিলগাঁও থানাধীন মেরাদিয়া মধ্যপাড়ায় তার স্ত্রীসহ বসবাস করে পাঠাও রাইড চালাতেন।
আটককৃতরা হচ্ছে- ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানার জোড়বাড়িয়া কালাকন্দা গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে মামুনুর রশিদ (২২) , ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন থানার চরটিটিয়া গ্রামের মৃত সিদ্দিক মুন্সির ছেলে মাহবুবুর রহমান (২০) ও লালমনিরহাট জেলার সদর থানার কুলাঘাট গ্রামের মৃত আছর উদ্দিনের ছেলে মোমিন মিয়া (২০)। তারা সবাই আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় আলাদা বাসায় ভাড়া থাকতো।
রবিবার দিবাগত গভীর রাতে আশুলিয়ার জামগড়া ও রূপায়ন মাঠ এলাকা থেকে তাদের আটক করা হলেও সোমবার র‌্যাব তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
র‌্যাব-১ সিপসি-২ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জানান, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সকালে আশুলিয়ার কাঠগড়া পালোয়ানপাড়া এলাকার একটি বাঁশ ঝাড় থেকে এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে এঘটনায় থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে নিহতের বাবা শাহীন বেপারী একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে ওই মামলার সূত্র ধরে প্রযুক্তির সহায়তায় রবিবার গভীর রাতে আশুলিয়ার জামগড়া ও রূপায়ন মাঠ এলাকা থেকে হত্যার ঘটনায় জড়িত তিন জনকে আটক করা হয়। এসময় নিহত পাঠাও চালকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও হত্যাকারীর রক্তমাখা প্যান্ট উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, আটকরা জিজ্ঞাসাবাদে পাঠাও চালক শামীমকে গাবতলী থেকে আশুলিয়ায় কৌশলে নিয়ে এসে জবাই করে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। এর আগেও সংঘবদ্ধ এই চক্রটি একাধিক ছিনতাইকাজ সংঘটিত করার পর ভিকটিমদের ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটিয়েছে।
এমনকি দিনের বেলা অন্য পেশায় তারা নিয়োজিত থেকে রাতের আঁধারে ছিনতাই করতো চক্রটি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন