॥ মোবায়েদুর রহমান ॥
আমি নাম দিয়েছি গুলশান ম্যাসাকার। সরকার এটির নাম দিয়েছে অপারেশন থান্ডার বোল্ট। এই অপারেশন থান্ডার বোল্টের আগে পুলিশ বাহিনীর যেসব অফিসার শাহাদতবরণ করেছেন আমরা তাদের সাহসিকতার প্রশংসা করছি এবং তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। একই সঙ্গে তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। অপারেশন শুরুর আগে রাতে যে ২০ জন জিম্মিকে হত্যা করা হয়েছে সেই বীভৎস এবং নারকীয় হত্যাকা-ের আমরা তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছি। ৩ জন বাংলাদেশিসহ যে ২০ জন জিম্মি নিহত হয়েছেন তাদের জাতি, ধর্ম ও বর্ণ মোতাবেক আমরা তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাদের প্রত্যেকের পরিবারের ব্যথায় আমরা সমবেদনা জানাচ্ছি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যে অদম্য সাহস, ক্ষিপ্রতা এবং যোগ্যতার সাথে মাত্র ১৩ মিনিটের মধ্যে এত বড় এবং ঝুঁকিপূর্ণ অপারেশন সুনিপুণভাবে সম্পন্ন করা হলো তার জন্য আমরা অপারেশন লিডার আর্মি, নেভি, বিমান বাহিনী, র্যাব, পুলিশ এবং সোয়াতসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আন্তরিক প্রশংসা করছি এবং তাদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এই অপারেশনের মাধ্যমে একটি জিনিস প্রমাণিত হলো যে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন একটি যোগ্য, প্রশিক্ষিত এবং দুর্ধর্ষ সেনাবাহিনী। জাতির সামনে যখনই কোনো সংকট দেখা দেবে তখনই সেই সংকট সাফল্যের সাথে আমাদের সেনাবাহিনী মোকাবিলা করতে পারবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।
যে ২০ জন জিম্মি মারা গেছেন তাদের সবার নামধাম এবং জাতি-ধর্মসহ পরিচয় রবিবারের পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। তবে যারা এই হামলা চালিয়েছিল সরকারিভাবে তাদের নামধাম এবং পরিচয় এখন এই লেখার সময় পর্যন্ত (রবিবার) প্রকাশ করা হয়নি। তাই এটিও জানা দরকার যে কারা এই জঙ্গি হামলা চালাল। টেলিভিশন সংবাদে দেখলাম, তিনটি দল এই হামলার দায়দায়িত্ব স্বীকার করেছে। এরা হলোÑ আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেট বা আইএস। বিগত ৪৫ বছরে আমাদের পুলিশ এবং গোয়েন্দা বাহিনীও দক্ষতা অর্জন করেছে। আমাদের বিশ্বাস, কারা এই হামলা করেছে তাদের ঠিকই শনাক্ত করতে পারবে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে এক শ্রেণীর পত্র-পত্রিকার বক্তব্য অনুযায়ী, যে ছয়জন জঙ্গি নিহত হয়েছে তাদের মধ্যে পাঁচজনের ছবি পুলিশ প্রকাশ করেছে।
গত রবিবার ‘দৈনিক কালের কণ্ঠ’-এ নি¤েœাক্ত সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদের অংশবিশেষ তুলে দেওয়া হলো: “গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে আক্রমণের সাথে জড়িত পাঁচ জঙ্গির সংক্ষিপ্ত পরিচয় প্রকাশ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বা ডিএমপি। রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিএমপি নিহত পাঁচ জঙ্গির মৃতদেহের ছবি এবং তাদের সংক্ষিপ্ত নামগুলো প্রকাশ করে। নামগুলো হলোÑ আকাশ, বিকাশ, ডন, বাঁধন ও রিপন। তবে বিজ্ঞপ্তির সাথে সংযুক্ত মৃতদেহগুলোর কোনোটি কার সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। ওদিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আইএসপিআর রেস্টুরেন্টে হামলার ঘটনায় জিম্মি উদ্ধার অভিযানে নিহত ২০ জনের জাতীয়তা প্রকাশ করেছে।”
গত রবিবার ‘বাংলাদেশ প্রতিদিনের’ শেষ পৃষ্ঠায় প্রথম কলাম থেকে পাশাপাশি পরপর ৫ ব্যক্তির ছবি প্রকাশিত হয়েছে। তার নিচে চার ব্যক্তির ছবি প্রকাশিত হয়েছে। ছবির ক্যাপশন দেওয়া হয়েছে ‘হামলাকারী’। ক্যাপশনের বিস্তারিত বর্ণনায় বলা হয়েছে, “গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোরাঁয় সশস্ত্র হামলাকারী নিহত পাঁচজনের (নিচে) ছবি প্রকাশ করেছে আইনশৃঙ্খলা আহিনী। এরা হলেনÑ বিকাশ, ডন, রিপন, আকাশ ও বাঁধন। তাদেরই হাস্যোজ্জ্বল ছবি প্রকাশ করেছে কথিত আইএসের অনলাইন ‘সাইট’ (ওপরে)। -সংগ্রহ”।
॥ দুই ॥
একই দিন অর্থাৎ ৩ জুলাই ‘দৈনিক মানবজমিনের’ প্রথম পৃষ্ঠায় ফলাও করে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদটির শিরোনাম, ‘৫ হামলাকারীর ছবি প্রকাশ আইএসের’। শিরোনামের ওপর ৫ জন যুবকের ছবি দেওয়া হয়েছে। সংবাদটির অংশবিশেষ হুবহু তুলে দেওয়া হলো: “গুলশানের হলি আর্টিজান ক্যাফেতে সন্ত্রাসী হামলা চালানো ৫ জঙ্গির ছবি প্রকাশ করেছে আইএস। মধ্যপ্রাচ্যের এ জঙ্গি গোষ্ঠীটির নিজস্ব সংবাদ সংস্থা ‘আমাকের’ বরাত দিয়ে সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ ছবিগুলো টুইট করেছে। জঙ্গি তৎপরতা নজরদারি করা মার্কিন এই সংগঠনটি বলছে, এই ৫ তরুণই হামলা চালিয়েছে। গতকাল রাতে সাইটের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে করা টুইটে ৫ জনের আলাদা আলাদা ছবি প্রকাশ করা হয়। বলা হয়, এরাই গুলশানের রেস্তোরাঁয় হামলা চালিয়েছে। ছবিতে প্রত্যেকের পরনে কালো রঙের পাঞ্জাবি দেখা যায়। কালো একটি ব্যানারের সামনে হাতে বন্দুক নিয়ে তারা দাঁড়িয়ে আছে। সবার মুখে হাসি। সাইটের টুইটার অ্যাকাউন্ট ছাড়াও সংগঠনটির পরিচালক রিটা কার্টজ ছবিগুলো তার টুইটে প্রকাশ করেছেন। রিটা কার্টজ তার টুইটে বলেছেন, ‘আইসিস ঢাকার হামলায় অংশ নেয়া ৫ হামলাকারীর ছবি প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, হামলায় ২২ জন ‘ক্রুসেডর’ এবং ২ জন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে তারা।’
তবে ‘হামলাকারীদের’ নাম উল্লেখ করা হয়নি। ওদিকে, বিশ্বব্যাপী উগ্রপন্থি গোষ্ঠীগুলোর তৎপরতা নজরদারি করা আরেকটি সংগঠন ‘টেরর মনিটর’ তাদের টুইটারে ঢাকার হামলাকারী হিসেবে একই তরুণদের ছবি প্রকাশ করেছে। এতে ৫ তরুণের নাম আবু ওমর, আবু সালমাহ, আবু রহিম, আবু মুসলিম ও আবু মুহারিব আল বেঙ্গলি বলে উল্লেখ করা হয়।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে ছবিগুলোর সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। এর আগে গত শনিবার সকালে অপারেশন থান্ডার বোল্ট পরিচালনা করার পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ৬ হামলাকারী তাদের অভিযানে নিহত হয়েছে, একজন সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের তরফ থেকে নিহত ৫ জনের লাশের যে ছবি প্রকাশ করা হয়েছে তার সঙ্গে সাইট ও টেরর মনিটরের টুইটারে প্রকাশ হওয়া অন্তত দুটি ছবির মিল দেখা যায়। পুলিশ প্রধান এ কে এম শহীদুল হক জানিয়েছেন, এরা চিহ্নিত জঙ্গি। তাদের খোঁজা হচ্ছিল। পুলিশ ৫ জনের নাম জানিয়েছেÑ আকাশ, বিকাশ, ডন, বাঁধন ও রিপন। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানানো হয়নি।”
॥ তিন ॥
সরকারের তরফ থেকে যে ৬ জন নিহত হয়েছে তাদের এবং যে সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকেসহ সেই ৭ জনের বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশ করা উচিত। কারণ ঢাকায় মানুষের মুখে মুখে এ কথা ছড়িয়ে গেছে যে, নিহত জঙ্গিরা স্কলাস্টিকা, মানারাত, স্যার জন উইলসন, সানি ডেল ও নর্থ সাউথে পড়েছে। আরো গুজব রটেছে যে, এরা সকলেই নাকি ইংলিশ মিডিয়াম ‘এ লেভেলের’ ছাত্র। কেউ কেউ এ লেভেল পাস করে বেরিয়ে গেছে। ধনাঢ্য পরিবারে জন্ম নেওয়া এবং অত্যন্ত ব্যয়বহুল ইংলিশ মিডিয়ামে পড়া এই ছেলেগুলো কীভাবে ইসলামী জঙ্গি হলো সেটি একটি গোলক ধাঁধার মতো ব্যাপার। এরাই যদি ওই ৬ জন জঙ্গি হয়ে থাকে তাহলে সেটা বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক ব্যাপার। কারণ এতদিন ধরে প্রচার করা হচ্ছে যে, জঙ্গি মানেই ইসলামী জঙ্গি। তাদের মাথায় থাকবে টুপি, মুখে থাকবে দাড়ি, পরনে থাকবে লুঙ্গি পাঞ্জাবি অথবা পাজামা পাঞ্জাবি। এরা সব মাদ্রাসার ছাত্র বা মাদ্রাসা থেকে বেরিয়েছে। কিন্তু যাদের ছবি দেওয়া হয়েছে, তারা সব ইংলিশ মিডিয়ামের ব্রিলিয়ান্ট ছাত্র, ছিল অথবা আছে। তাদের পরিচয় নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি থাকা উচিত নয়। তাই সরকারের প্রতি আমাদের অনুরোধ, সরকার অফিসিয়ালি এদের নামধাম, বয়স, লেখাপড়া ইত্যাদি প্রকাশ করবে।
এর আগে একাধিকবার বিভিন্ন খবরের কাগজে এই মর্মে খবর বেরিয়েছিল যে, সাম্প্রতিককালে ইসলামী জঙ্গিবাদের দিকে ঝুঁকে পড়ছে ধনী পরিবারের শিক্ষিত সন্তানরা। দরিদ্র পরিবার থেকে আসা যেসব ছেলে মাদ্রাসায় পড়ে তারাই নাকি ওইসব জঙ্গি সংগঠনের কর্মী বা নেতা হয়। ওই সময় একাধিক সমাজ চিন্তক এবং নিরাপত্তা বিশ্লেষক এই মর্মে মন্তব্য করেছিলেন যে, সফিস্টিকেটেড এবং ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত ছেলেদের এ ধরনের সংগঠন এবং সন্ত্রাসী তৎপরতায় ঝুঁকে পড়াটা দেশের ভবিষ্যতের জন্যও উদ্বেগের। কারণ এরা যদি পড়াশোনা করে এবং বুঝেশুনে ইসলামী জঙ্গিবাদের প্রতি আকৃষ্ট হয় তাহলে তাদেরকে আর ফেরানো যায় না। যারা এখনও ভাবেন যে, জঙ্গিবাদ দমনের শ্রেষ্ঠ উপায় হলো মিলিটারি সলিউশন, তাদের সাথে অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকই আর একমত হতে পারছেন না। কারণ খবরের কাগজে এ ধরনের ছেলেদের গ্রেফতারের খবর প্রায়শই দেখা যায়। তার পরেও খবরের কাগজের রিপোর্ট মোতাবেক তাদের সংখ্যা তো কমছে না, বরং দিন দিন বাড়ছে। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন ‘ডেইলি স্টারকে’ বলেছেন, দুই সপ্তাহ আগেই জঙ্গিবিরোধী সাঁড়াশি অভিযানে ১৫ হাজারেরও বেশি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারপরেও আলোচ্য ৬ জন জঙ্গি এলো কোথা থেকে? ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহেদুল আনাম বলেছেন, শুধু অস্ত্র দিয়ে বা শক্তি প্রয়োগ করে জঙ্গিদেরকে দমানো যাবে না। ভুল হোক আর শুদ্ধ হোক, ওদের ভাবনা অনুযায়ী ওরা একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য খুনখারাবির পথ বেছে নিয়েছে। সেই আদর্শ হলো, ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। এয়ার কমোডর (অব.) ইশফাক ইলাহী চৌধুরীও বলেছেন, একটি উন্নততর ও মহত্তর আদর্শ দিয়ে ওদের মোকাবেলা করতে হবে।
তাই বলে এরা কেউই শক্তি প্রয়োগের বিরোধিতা করেননি। তারা বলেছেন যে, শক্তি প্রয়োগের আগে গোয়েন্দা শাখাকে আরো দক্ষ এবং শক্তিশালী করতে হবে। গত বছর থেকে এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক টার্গেট কিলিং বা গুপ্তহত্যা ঘটেছে। কোনো ক্ষেত্রেই গোয়েন্দা বাহিনী ঘটনা ঘটার আগে সরকারকে জানাতে পারেনি। সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাঈম আশফাক চৌধুরী গত শনিবার প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, এবার জঙ্গিদের দমন করার জন্য সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী, নৌ বাহিনী, বর্ডার গার্ড, পুলিশ ও সোয়াত বাহিনীকে নিয়োগ করা হয়েছিল। তার পরেও দেখা গেল ২০ জন জিম্মিকে, যাদের ১৭ জন বিদেশি এবং ৩ জন বাংলাদেশি (এই তিনজনের একজন বাংলাদেশি আমেরিকান) অপারেশন শুরুর আগেই হত্যা করা হয়েছে। যদি সরকার মনে করে থাকে, এবার যে রকম সর্বশক্তি নিয়োগ করে জঙ্গিদেরকে নিমূর্ল করা হয়েছে তার ফলে ভবিষ্যতে আর বাংলাদেশে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটবে না তাহলে সেটি খুবই ভালো কথা। কিন্তু তার কি কোনো গ্যারান্টি আছে?
॥ চার ॥
সবাই বলছেন, আমিও বলছি, আমাদের জীবদ্দশায় এ রকম ভয়াবহ ঘটনা এদেশে আর দেখিনি। ভবিষ্যতেও আর দেখতে চাই না। কিন্তু আমরা সেই পুণ্য আশা পোষণ করলেই কি সেটি আর ঘটবে না? সেটি যেন আর না ঘটে তার জন্য আজ সরকারকে খুব সিরিয়াসলি ভাবতে হবে, কেন এই সামাজিক এবং সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। যেভাবে একের পর এক গুপ্তহত্যা হচ্ছে সেগুলো তো অতীতে এদেশে ছিল না। আজ কেন সেগুলো ঘটছে? গুলশানে যে বীভৎস হত্যাকা- ঘটে গেল সেটি কিন্তু ইতোপূর্বে ঘটেছে ইরাকে, ঘটেছে আফগানিস্তানে, ঘটেছে সিরিয়ায়, ঘটেছে পাকিস্তানে এবং সাম্প্রতিককালে ঘটছে তুরস্কে। বাংলাদেশ তো এসব দেশের তুলনায় অনেক শান্ত ছিল। সেই দেশে এক রাতের ঘটনায় জিম্মি, পুলিশ এবং জঙ্গিসহ অন্তত ২৮ ব্যক্তি নিহত হলেন। এই নিহতের তালিকায় পুলিশের ওসি এবং পুলিশের সহকারী কমিশনারও রয়েছেন। এ ধরনের হত্যাকা-ের লোমহর্ষক ঘটনা আমরা অতীতে কখনো শুনিনি। কিন্তু আজ আমরা সেসব ঘটনা শুধু শুনছি না, চর্ম চক্ষে দেখছিও। কেন ঘটছে এসব ভয়াবহ, ভয়ঙ্কর, বীভৎস ও লোমহর্ষক ঘটনা? সরকারকে সেটি গভীরভাবে ভাবতে হবে। সেনাবাহিনী এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে হয়তো এ ধরনের অপরাধ দমন করা যাবে। কিন্তু তাই বলে তার দীর্ঘস্থায়ী সমাধান পাওয়া যাবে না। তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার পাশাপাশি একজন সমাজবিজ্ঞানীর দৃষ্টি নিয়েও সরকারকে বিষয়গুলো ভাবতে হবে। ভাবার পর একটি সুষ্ঠু সমাধান বের করতে হবে। সেই সমাধানে রাজনৈতিক দলসহ সমাজের সব শ্রেণী এবং পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে। শুধু আমরা নই, এদেশের মানুষ গুলশানের নারকীয় হত্যাযজ্ঞের পুনরাবৃত্তি আর দেখতে চায় না।
Email: journalist15@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন