কূটনৈতিক সংবাদদাতা : গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার ঘটনায় আহতদের নিয়ে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা ত্যাগ করেছে। গতকাল সোমবার রাত ৮টার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি যাত্রা করে। অন্যদিকে হামলায় নিহত ৭ জাপানির লাশ নিয়ে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে অপর একটি ফ্লাইট ঢাকা ত্যাগ করেছে। লাশবাহী বিমানে আছেন ঢাকায় আগত জাপানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সেইজি কিহারা। বিমানবন্দরের নির্ভরযোগ্য সূত্র বিষয়টি জানিয়েছেন।
শাহজালালের এক নিরাপত্তা সুপারভাইজার জানান, ৮টার দিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে আহত জাপানিদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে কতজন ছিল তা তিনি নিশ্চিত করতে পারেননি। এ সময় বিমানবন্দরে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১ জুলাই গুলশান ২ এর ৭৯ এর নম্বর রোডের হোলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় সংঘটিত জঙ্গি হামলার ঘটনার ১৭ বিদেশি নিহত হন। নিহত বিদেশিদের মধ্যে জাপানের নাগরিক ছিলেন সাতজন। এই সাত জাপানির মধ্যে ছয়জনই ঢাকায় মেট্রোরেল প্রকল্পের পরিদর্শক ছিলেন বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। জাপানের মুখ্য মন্ত্রিপরিষদ সচিব ইয়োশিহিদে সুগা এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, নিহত সাত জাপানির মধ্যে পাঁচজন পুরুষ, দুইজন নারী।
নিহত জাপানিদের ব্যক্তিগত তথ্য গণমাধ্যমে নয়
এদিকে গুলশানে জঙ্গি হামলায় নিহত জাপানিদের ব্যক্তিগত তথ্য ও ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশ না করতে অনুরোধ করেছেন তাদের স্বজনরা। গত রোববার একটি ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছার পর সেনানিবাসের ভেতরে একটি জায়গায় নিহত সাত জাপানির প্রতি শ্রদ্ধা জানান তারা। জাপানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সেইজি কিহারা ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম রাতভর নিহতদের স্বজনদের সঙ্গে থেকে তাদের সান্ত¡না দিয়েছেন।
জানতে চাইলে শাহরিয়ার আলম বলেন, জাপানিদের পরিবার ও সরকারের অনুরোধের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে কোনো তথ্য প্রকাশ করব না এবং বাংলাদেশের গণমাধ্যমও একই ওই অনুরোধের প্রতি শ্রদ্ধা রাখবে।
প্রসঙ্গত, গত বছর রংপুরে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশিকে হত্যার পরও তার পরিবারের পক্ষ থেকে ছবি না প্রকাশ করতে অনুরোধ করা হয়েছিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন