শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বন্দুকযুদ্ধে শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামি নিহত

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১:২৪ পিএম

শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামি তরিকুল ওরফে সাদ্দাম (৩৫) ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। নিহত তরিকুল চরবাগডাঙ্গা গ্রামের নোমানের ছেলে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়নের হরিশপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল ও পাঁচ রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) ফজল-ই-খুদা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সন্ধ্যা পরে ভারত পালিয়ে যাওয়ার সময় সদর উপজেলার আলাতুলী ইউনিয়নের বকচর সীমান্ত থেকে তরিকুলকে জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে তাকে থানায় নিয়ে আসার সময় রাত প্রায় ৮ টার দিকে শাহজাহানপুর ইউনিয়নের হরিশপুর এলাকায় তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে।আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এসময় তরিকুল গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে আধুনিক সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত ৯টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সদর উপজেলার চরবাডাঙ্গা গ্রামের রুহুল আমিনের  শিশুকন্যা প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী রিমাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে বাঁশঝাড়ের একটি গর্তে ফেলে দেয়া হয়। এ ঘটনায় নিহত রিমার বাবা গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বাদী হয়ে তরিকুলসহ অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচ ব্যক্তিকে আসামি করে নবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পলাতক তরিকুলের বাড়ি থেকে নিহত রিমার পরনের প্যান্ট উদ্ধার করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
হিরো সিকদার ১৫ জুন, ২০২০, ৭:১৬ পিএম says : 0
শিশু ধর্ষনকারী বন্ধুকযুদ্ধে নিহত হয় কিন্তু এই রাষ্ট্রের জনগণকে, গণতন্ত্রকে নিয়মিত ধর্ষন করে চলছে কিছু ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ আমলাতন্ত্রের সেবাদাস। তারা বহাল তবিয়তে আছে, আর দেশটাকে বানিয়েছে তাদের বাপ-দাদার জমিদারির লুটের রাজ্য। তারা জনগণের অন্ন খায়, বস্ত্র খেয়ে বিবস্ত্র করে জাতিকে, বাসস্হান খেয়ে উদ্ধাস্তু করে জাতিকে, শিক্ষা খেয়ে চেতনাকে করেছে বিষাক্ত, চিকিৎসা খেয়ে মানুষকে মারে বিনা চিকিৎসায়। যাদের দ্বারা এই দেশের ষোল কোটি জনগণ নিয়মিত ধর্ষিত হচ্ছে তাদের নিয়ে একবার ভাবুন। বিচার ব্যবস্হাকে খেয়ে দিয়েছে তারা তাই আইনের প্রতি তাদের নিজেদের আস্তাও উঠে গেছে। বিচারহীনতার সংস্কৃতিকে সমর্থন করা সভ্য জাতির কাজ নয়। So please raise your voice against extrajudicial killing. আমরা বিচার চাই আইনী ব্যবস্হায় ন্যায় বিচার। হ্যাঁ, হোক বিচারের মাধ্যমে তার ফাঁসিতে মৃত্যু। আর যদি রাষ্ট্রের বিচার ব্যবস্হা ভেঙ্গেগিয়ে থাকে, রাষ্ট্র যদি বিচারহীনতার সংস্কৃতিতে চলে তাহলে এই রাষ্ট্রর ভবিষ্যত নিয়ে আমি শংকিত।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন