দক্ষিণ কোরিয়ার মহামারী করোনাভাইরাসে শনিবার সকাল পর্যন্ত আরও ১৪২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশটির করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৪৬। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছে ২ জন।
কোরিয়া সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন এক বিবৃতিতে জানায়, সর্বশেষ নিহত ব্যক্তির বয়স ৯২ বছর। তিনি একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সদস্য। দক্ষিণাঞ্চলীয় নগরী চিয়ংদু’র এক হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। সিনসহিওনঝি চার্চ অব জেসাস এর ১৫০ জনের বেশি করোনাভাইরাস আক্রান্ত।
প্রথমে ৬১ বছর বয়সী এক নারী গত ১০ ফেব্রæয়ারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। তিনি চিকিৎসা নেওয়ার আগে কমপক্ষে চারটি চার্চ সফর করেন।
এদিকে শুক্রবার নাগাদ চীনে করোনোভাইরাসে আরও ১০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৩৯৭ জন। এনিয়ে চীনে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৩৪৫ জনে দাঁড়িয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৬ হাজার ২৮৮ জনে।
চীনের বাইরে ২৬টি দেশে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে। এসব দেশে মোট আক্রান্ত ১ হাজার ১৫২ জনের মধ্যে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। দেশ হিসেবে চীনের পর দক্ষিণ কোরিয়ায় সবচেয়ে বেশি লোকজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
এছাড়া জাপানের ইকোহামা বন্দরে নোঙর করা ডায়মন্ড প্রিন্সেস নামের একটি প্রমোদতরীর ৩৭০০ যাত্রীর মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন কমপক্ষে ৩৫০ জন। আক্রান্ত দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের স্থান হিসেবে এটি চীনের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
করোনাভাইরাস শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সংক্রমণ। এই রোগের কোনো প্রতিষেধক এবং ভ্যাকসিন নেই। মৃতদের অধিকাংশই বয়স্ক যাদের আগে থেকেই শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত জটিলতা ছিল।
সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়া এই রোগের লক্ষণ হলো- শুকনো কাশির পর জ্বর আসে। সপ্তাহখানেক পর শ্বাস-প্রশ্বাস কমে যায়। এরপর আক্রান্তদের মধ্যে কিছু লোককে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন দেখা দেয়। প্রতি চারজনের একজনের অবস্থা খুবই খারাপ হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন