ফান্দাউক দরবার শরীফের পীর ও বাংলাদেশ আঞ্জুমানে খাদেমুল ইসলামের আমীর আলহাজ মাওলানা মুফতি শাহ সূফী সৈয়দ ছালেহ আহমাদ মামুন আল হোসাইনী বলেছেন, সুদ-ঘুষ খাওয়া জঘন্য অপরাধ ও কবিরা গুনাহ। এটি সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সমাজকে রক্ষা করতে হলে ঐক্যবদ্ধভাবে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, ধর্ষণ ও ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে সরকার সংসদে অনেক আইন পাশ করেছেন। কিন্তু এর প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না। আমি মনে করি সংসদে সরকার পর্দার আইন করে সমাজে বাস্তবায়ন করতে পারলে ধর্ষক, ইভটিজিং ও অন্য অপরাধ নির্মূল করা সম্ভব। ভন্ড পীরের কাছ থেকে সকলকে দূরে থাকতে হবে। যে পীরে শরীয়ত মানে না, মুরিদদের সেজদা নেয় সেই ভন্ড পীর। সে সব ভন্ড পীরের মুরিদ হওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ও হারাম। আল্লাহ ছাড়া কাউকে সেজদা করা জায়েজ নেই। এটি শিরক। শিরকের গুনা আল্লাহ মাফ করবেন না। পীর সাহেব আরও বলেন, শরীয়তের হুকুম আহকাম সকলকে মানতে হবে। শরীয়তের দলিল ৪টি, কোরআন, সুন্নাহ, ইজমা ও কিয়াছ। এই ৪টি দলিল মেনে ও অনুসরণ করে সকল মুসলমানদেরকে চলতে হবে।
তিনি গত রোববার মাধবপুর উপজেলার সাহেববাড়ি মাজার প্রাঙ্গনে এক ইছালে ছাওয়াব মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। মাহফিলের আহবায়ক সৈয়দ রফিকুল ইসলাম ভালু মিয়ার তত্ত্বাবধানে এবং সৈয়দ আব্দুল আজিজ সাত্তারি ও ওয়াল মাছুমীর পরিচালনায় ওয়াজ করেন- মাওলানা হুমায়ুন কবীর, ডা. মাওলানা ছালাহ উদ্দিন, মাওলানা মুখলেছুর রহমান, মাওলানা ক্বারী মোস্তাক আহমেদ। দেশের কল্যাণ ও মঙ্গল কামনা করে নিকট পীর সাহেব মোনাজাত পরিচালনা করেন।
এদিকে, ফান্দাউক দরবার শরীফের পীরজাদা আলহাজ মাওলানা মুফতি শাহ্ সূফী সৈয়দ মঈনুদ্দিন আহমাদ আল হোসাইনি বলেছেন, বেপর্দা চলাফেলার কারণে দেশে ধর্ষণ, ইভটিজিং ও অনৈসলামিক কার্যকলাপ মারাত্মক বৃদ্ধি পেয়েছে। আল্লাহ পাক স্বয়ং নারী পুরুষের মাঝে পর্দা ফরজ করে দিয়েছেন। অবশ্যই সবাইকে পর্দা মানতে হবে। আদর্শ সমাজ গঠনে পর্দার কোন বিকল্প নেই। মা-বাবার খেদমত ও সেবা করতে হবে। নিজে নামাজ পড়তে হবে এবং পরিবার পরিজনের মধ্যে নামাজ কায়েম করতে হবে।
তিনি গতকাল মাধবপুর উপজেলার কড়রা গ্রামে এক ইছালে ছাওয়াব মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। মো. স্বপন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং মাহফিলের আহবায়ক মো. জালাল মিয়ার পরিচালনায় ওয়াজ করেন- মাওলানা ইব্রাহিম সিদ্দিকী, মাওলানা মুঞ্জুরুল ইসলাম, মাওলানা সৈয়দ জাকারিয়া আহমাদ, আলহাজ মাওলানা আবুল কালাম, মাওলানা মোস্তাক আহমেদ, মাওলানা শেখ গিয়াস উদ্দিন।
তিনি আগামী ১৩ ও ১৪ মার্চ ফান্দাউক দরবার শরীফের বার্ষিক ইছালে ছাওয়াব মাহফিলকে সফল ও সার্থক করার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন