তানোর (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা
রাজশাহীর তানোরের কামারগা ইউপির শ্রীখন্ডা ও কামারগা গ্রামে কথিত সমিতির আড়ালে চলছে জমজমাট দাদন ব্যবসা। জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ব্যতীত কোনো প্রতিষ্ঠান আর্থিক লেনদেন করতে পারবেন না। কিন্তু এসব কথিত সমিতি বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন না দিয়ে অবৈধভাবে আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তারা চড়া সুদে ঋণ প্রদান ও সঞ্চয়ের নামে আমানত সংগ্রহ করছে। এসব দাদন ব্যবসায়ীদের খপ্পড়ে পড়ে গ্রামের অনেক কৃষক পরিবার নিঃস্ব হতে চলেছে। কেউ আবার ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। সমিতির নেতৃবৃন্দ সমিতির সদস্যদের কাছে চড়া সুদে ঋণ দিয়ে জমজমাট সুদের ব্যবসা করছেন। কেউ সুদাসলে টাকা ফেরত দিতে ব্যর্থ হলে জোরপূর্বক তাদের কাছে থেকে ফাঁকা ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে পরবর্তিতে তাদের কাছে থেকে চারগুণ টাকা আদায় করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। কামারগা বাজারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মুদি দোকানি বলেন, কামারগা আদর্শ গ্রাম উন্নয়ন সমিতি থেকে ১০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে তাকে সুদাসলে প্রায় ৪০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হয়েছে। কিন্তু সমাজের প্রভাবশালীরা এসব অবৈধ সমিতির কর্মকা-ের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় সাধারণ মানুষ কোনো প্রতিবাদ করতে পারছেন না বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়াই তানোরের কামারগা ইউপিতে শ্রীখন্ডা গ্রাম উন্নয়ন সমিতি ও কামারগা আদর্শ গ্রাম উন্নয়ন সমিতি অফিস খুলে চড়া সুদে ঋণ বিতরণ ও আমানত সংগ্রহ করছে। এসব সমিতির নিজস্ব দালাল রয়েছে দালালদের কাজ হচ্ছে গ্রামের কোনো সাধারণ মানুষের আর্থিক সংকট রয়েছে এমন মানুষ খুঁজে সমিতির কাছে নিয়ে আসা ও চড়া সুদে ঋণ পাইয়ে দেয়া। এসব দালালদের খপ্পড়ে পড়ে চড়া সুদে সমিতির ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে সাধারণ মানুষকে পথে বসতে হচ্ছে। এলাকাবাসী এসব কথিত সমিতি বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে শ্রীখন্ডা গ্রাম উন্নয়ন সমিতির পরিচালক ও পূবালী ব্যাংকের দারোয়ান আলমগীর হোসেন বলেন, মানুষ বিপদে পড়ে তার সমিতি থেকে স্বল্প সুদে ঋণ নেয় এটা দোষের কি তিনি তো বরং মানুষের উপকার করছেন। এ ব্যাপারে কামারগা আদর্শ গ্রাম উন্নয়ন সমিতির পরিচালক ও বিএনপি নেতা সেলিম উদ্দীন বলেন, স্থানীয়ভাবে তারা অফিস খুলে সাধারণ মানুষের কাছে ঋণ দিয়ে আসছেন এটার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিতে হবে বলে তার জানা নেই। এ ব্যাপারে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ বলেন, এ বিষয়ে তিনি কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি। তবে এসব বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে দেখা হবে বলে তিনি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন