জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ঢাকায় আমন্ত্রণ করায় সরকারের সমালোচনা করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে কিভাবে (সরকার) এই ঘৃণ্য ব্যক্তিকে প্রধান বক্তা হিসেবে আমন্ত্রণ করে আমি বুঝি না। মোদিকে আমন্ত্রণ করা মানে শেখ মুজিবকে অপমান করা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও’ আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, শেখ মুজিবের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন, আমরা মেনে নিতে পারি না। আমরা আশা করছি আমাদের প্রধানমন্ত্রী এই আমন্ত্রণ প্রত্যাহার করে নেবেন। আমন্ত্রণ প্রত্যাহার না করলে এদেশের জনগণ বাধ্য হবে ‘নরেন্দ্র মোদি ফিরে যাও’ আন্দোলন করতে।
নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মোদি ও অমিত শাহর সমালোচনা করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, হিটলারের উত্তরসূরি হল এ যুগের ইবলিশ অমিত শাহ। অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদি মিলে নাগরিক অধিকার আইনের নামে অযৌক্তিক অন্যায় করেছে। এতে ভারতের কিছু লোক প্রতিবাদে সরব হয়েছে। আমরা ভারতের জ্ঞানী মানুষদের ওপর আস্থা রাখতে চাই। ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, এই শয়তান এবং হিটলারের পরিকল্পনা সফল হতে দেয়া যাবে না। এরা মানবতার শত্রু। এরা ভারতকে ধ্বংস করে মানবতাকে অগ্নিসংযোগ করছে।
খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন প্রসঙ্গে জাফরুল্লাহ বলেন, গণতন্ত্রের নেত্রী আজকে ন্যায়বিচার পায় কি না, আমরা দেখতে চাই। খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে আমি আশা করছি, তারা জামিন দেবেন। বঙ্গবন্ধুকে সম্মান করলে আজকে দায়িত্ব হবে মানবিক দিক বিবেচনা করে খালেদা জিয়াকে জামিনে মুক্তি দেয়া। দেশে চিকিৎসা কিংবা বিদেশে চিকিৎসা এটা তার ব্যাপার। কিন্তু এই মুহূর্তে তার একমাত্র চিকিৎসা উন্মুক্ত আলো-বাতাস। বিচারকরা খালেদা জিয়াকে দেখলেই বুঝতে পারবেন যে, তার জামিন অত্যাবশ্যক।
সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে মানবন্ধনে মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদ খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহ-সভাপতি ফরিদ উদ্দিন, কল্যাণ পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন