কামরুজ্জামান টুটুল, হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর) থেকে
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার ইন্দনে মৎস শিকারীরা ডাকাতিয়া নদীতে আড়াআড়ি বাঁধ নিয়ে রাখা হয়েছে বলে স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে। বর্তমান সময়ে নদীর এই বিশাল অংশের ৮০ ভাগ অংশ চলে গেছে মৎস্য শিকারীদের দখলে রয়েছে। ডাকাতিয়া নদী বছরের পর বছর ধরে মৎস্য শিকারীদের দখলে থাকার বিষয়ে কোন অভিযান পরিচালিত হয়নি বলে স্থানীয়রা ইনকিলাবকে নিশ্চিত করেছেন। হাজীগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহবুব রশিদ বলছেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত ব্যতীত আমরা কোন ক্ষমতা নেই। জানা যায়, উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছ চলাচলে প্রতিবন্ধকতা করা যাবে না, নদীতে কোন কিছু দ্বারা আড়াআড়ি বাঁধ দেয়া যাবে না, স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না কিংবা নদীতে ভেসাল জাল দিয়ে মাছ ধরা মৎস্য আইনে সরাসরি নিষেধ থাকা সত্ত্বে¡ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। হাজীগঞ্জ উপজেলার মধ্যে ডাকাতিয়া নদীর অংশ রয়েছে ১০৩ হেক্টর যার হিসেব করলে দাঁড়ায় ২৫৪ একর পরিমাণ। সরজমিনে দেখা যায়, হাজীগঞ্জ উপজেলা পশ্চিমে অলিপুর থেকে শুরু হয়ে দক্ষিণ বলাখাল দিয়ে হাজীগঞ্জ বাজারের দক্ষিণ অংশ হয়ে খোর্দ্দ জগন্নাথপুর ব্রিজ হয়ে শাহরাস্তির উপর দিয়ে লাকসামের দিকে চলে গেছে। কিন্তু এর মধ্যে হাজীগঞ্জ অংশের পুরো ডাকাতিয়া নদীর দু‘পাড়ে বাঁশের কঞ্চি আর আস্ত বাঁশ দিয়ে আড়াআড়িভাবে বাঁধ দিয়ে মাছ চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রাখা হয়েছে। আড়াআড়ি বাঁধের পাশাপাশি প্রতিটি এলাকায় স্থানীয়রা নিজ নিজ ক্ষমতা বলে মাছ আটকে রাখার জন্য জাগ নিয়ে রেখেছে যার পরিমাণ কয়েক‘শ হবে বলে স্থানীয়রা ইনকিলাবকে জানিয়েছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে দক্ষিণ বলাখাল এলাকার একাধিক জেলে জানান আমরা মাছ ধরি নদীতে অথচ অনেক কথা বলতে পারিনি আর বলতে গেলে ভাত না খেয়ে থাকতে হয়। দক্ষিণ বলাখাল এলাকার ফরিদুল ইসলাম নামের একজন জানান, এখানে কোনদিন মোবাইল কোট (ভ্রাম্যমাণ আদালত) পরিচালিত হতে দেখেনি অথচ ডাকাতিয়া নদীর আমাদের এই অংশে কয়েক‘শ আড়াআড়ি বাঁধ দেয়া রয়েছে। ফরিদুল ইসলাম আরো বলেন আমরা শুনেছি উপজেলা মৎস্য কর্তকর্তাকে ম্যানেজ করেই এরা নদীতে মাছ চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রাখা হয়েছে। হাজীগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহবুব রশিদ ইনকিলাবকে বলেন মৎস্য আইনে কোথায় ও ভেসাল জালের বিধি নিষেধ নেই আর ভ্রাম্যমাণ আদালত ব্যতীত আমার কোন ক্ষমতা নেই। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে হলে ম্যজিস্ট্র্রেট ও পুলিশ দরকার আর এসবের ব্যবস্থা করতে হলে অনেক ঝামেলার বিষয়। আগে কতবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন এমন প্রশ্নে এই কর্মকর্তা বলেন অনেকবার করেছি কিন্তু কোন প্রমানপত্র দেখাতে পারেননি এই কর্মকর্তা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন