কক্সবাজারের টেকনাফে র্যাব ও বিজিবির সঙ্গে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৮ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৭ ডাকাত আর বিজিবি সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক মাদকপাচারকারী নিহত হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প জাদিমুড়া ও শালবাগানের পশ্চিমে দুর্গম পাহাড়ে এসব ঘটনা ঘটে। র্যাবের দাবি, ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতরা সবাই কুখ্যাত ডাকাত জকির গ্রুপের ৭ সদস্য।
সোমবার গভীর রাত থেকে হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুড়া-নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শিবির ২৬ নং ও ২৭ নং ক্যাম্পের পশ্চিমে পাহাড়ে থেমে থেমে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ এ ঘটনা ঘটে। সকালে র্যাব-১৫ এর কক্সবাজার অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এদিকে একই উপজেলায় বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক ইয়াবা পাচারকারী নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে দেড়লাখ পিস ইয়াবা ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত ব্যক্তি আকিয়াব জেলার মংডু চালিগ্রাম এলাকার জাফর আলমের ছেলে নুর আলম (৩০)। সোমবার ভোরে নয়াপাড়া জাদিখালের কিনারায় এ ঘটনা ঘটে।
বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন যে, নাফ নদী হয়ে ইয়াবার একটি বিশাল চালান প্রবেশ করবে। এ সংবাদে নয়াপাড়া বিওপির বিশেষ একটি টহল দল জাদিমোড়া খাল সংলগ্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর মাদকের চালান নিয়ে নৌকাযোগে কয়েকজন ব্যক্তি কিনারায় উঠে পালিয়ে যাওয়ার সময় বিজিবি সদস্যরা চ্যালেঞ্জ করলে মাদক কারবারীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। এ সময় বিজিবির ৩ জন সদস্য আহত হন। জানমাল রক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি ছোড়ে। উভয়পক্ষের মধ্যে ৪-৫ মিনিট গুলি বিনিময় হয়। এতে অস্ত্রধারীরা গুলি করতে করতে কেওরা বাগানের মধ্যে পালিয়ে যায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ঘটনাস্থল থেকে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন