নাজিরপুর (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা
পিরোজপুরের নাজিরপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের ছোট ভাইকে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হত্যাকা-ে জড়িত থাকার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে থানা-পুলিশ। ঘটনার পরপরই পুলিশ সুপার ও সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামি করে নাজিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত ছলেমান শেখের দু’ছেলে সরোয়ার শেখ ও মোশারেফ শেখের মধ্যে বসতবাড়ির সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল। উক্ত বিরোধ মীমাংসার লক্ষ্যে গতকাল রোববার সকালে স্থানীয় মাতুব্বর মোবাশ্বের শেখের নেতৃত্বে বাড়ির জমি মাপজোখের কাজ চলছিল। সকাল পৌনে ৯টার দিকে সীমানা নির্ধারণ নিয়ে সরোয়ার শেখের ছেলে সুরুজ শেখের (২৫) সাথে মোশারেফ শেখের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মোশারেফ শেখ, তার স্ত্রী মেরী বেগম ও তার ছেলে মেহেদী শেখ (২৩) মিলে সুরুজ শেখকে লাঠি দিয়ে এলোপাথারিভাবে মারপিট করে। ওই সময় মেরী বেগম ঘর থেকে ধারালো দাও এনে তার ছেলে মেহেদী শেখকে দিলে মেহেদী দাও দিয়ে সুরুজ শেখকে এলোপাথারি কোপাতে থাকে। তখন সুরুজের ছোট ভাই বাদল (২২) সুরুজকে রক্ষা করতে আসলে তাকেও কুপিয়ে জখম করে মেহেদী। স্থানীয়রা জখমী দু’ভাইকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে সুরুজ মারা যায়। নিহত সুরুজ শেখ উপজেলার খেজুরতলা বাজারের একজন বিকাশ ও ফ্লেক্সিলোডের এজেন্ট ব্যবসায়ী। তার ৮ মাস বয়সী অন্তিকা নামের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ঘটনার বিষয়ে নাজিরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাসেল সরোয়ার বলেন, এ ঘটনায় নিহতের পিতার অভিযোগের ভিত্তিতে একটি হত্যা মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনায় জড়িত মেহেদী শেখ ও মেরী বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন