বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানউল্লাপুর ইউনিয়নে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও পূর্ব বিরোধের জের ধরে ছাত্রলীগ- শিবির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ২জন গুলিবিদ্ধসহ ৭ জন আহত হয়েছে। ঘটনায় ৪ শিবির কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার ভোরে পৃথকস্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে পুলিশ। এরআগে রোববার রাতে আমানউল্লাপুর বাজারে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতরা হলো মো. হাবিব, রাকিবুল ইসলাম, রায়হান, মো. রনি ও মনুসহ ৭জন।

আটককৃত শিবিরের নেতাকর্মীর হলো, কৃষ্ণারামপুর গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে ফারুক আহমদ (৪২), একই এলাকার নূর নবীর ছেলে মাসুদ আলম (৩০), রসুলপুর এলাকার তোফায়েল আহমদের ছেলে ইব্রাহিম (৩০) ও জয়নারায়ণপুর গ্রামের আনোয়ার উল্যার ছেলে আকরাম হোসেন (২৪)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক মাস আগেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও পূর্ব বিরোধের জের ধরে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও জামায়ত শিবিরের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর সূত্রধরে রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আমান উল্যাহপুর বাজারে আড্ডা দিচ্ছিলেন কয়েকজন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। এসময় শিবিরের কর্মীরা বাজারে এসে তাদের ওপর হামলা চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে গুলবিদ্ধসহ ছাত্রলীগের অন্তত ৭ নেতাকর্মী আহত হয়। আহতদের উদ্ধার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বেগমগঞ্জ থানার ওসি হারুন উর রশিদ চৌধুরী জানান, জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা আমানউল্লাপুর বাজারে এসে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর অর্তকিত হামলা চালায়। এসময় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীকে তারা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। রাকিব ও হাবিব নামের দুই ছাত্রলীগে কর্মীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। এদের দুই জনের শরীরে কোপের জখম ছাড়াও গুলি লেগেছে বলে জানা গেছে।

ওসি আরও জানান, ঘটনায় ৪ জামায়ত শিবিরের কর্মীকে আটক করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনায় আহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার সাথে জড়িত অপর আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যহত রয়েছে।