কলাপাড়া (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা
পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা-কলাপাড়া সড়ক পথের সেতু তিনটি এখন দর্শনার্থীদের বিনোদন কেন্দ্রে পরিনত হয়েছে। ভ্রমণ পিপাসুসহ ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসা হাজার হাজার তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সের লোকজন এখানে সময় কাটানোর সুযোগ পেয়েছে। প্রতিদিন সকল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ওইসব দর্শনার্থীরা উপজেলার আন্ধার মানিক নদীর উপর নির্মিত শেখ কামাল, সোনাতলা নদীর উপর শেখ জামাল ও শিববাড়িয়া নদীর শেখ রাসেল সেতু দেখতে আসেন। সেতুগুলো এখন নান্দনিক স্পট হিসেবে পরিনত হয়েছে। কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে এড়াতে সেতু তিনটিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।
কুয়াকাটা-কলাপাড়া সড়ক পথে তিনটি সেতু ঘুরে দেখা গেছে, দীর্ঘ ছুটির সুযোগে পরে নানা বয়সের মানুষ ওই সেতুতে ঘুরতে এসে একে অপরের সাথে গল্প আড্ডায় মেতে থাকেন। হাতের মোবাইল দিয়ে নানা ঢংয়ের সেলফি তুলে সাথে সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে পোস্ট করতে দেখা গেছে। আবার অনেক পাত্র-পাত্রী সেতুতে বসে সেরে নেয় তাদের পারস্পরিক বোঝাপাড়াসহ দেখাশোনার কাজটিও। ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের মধ্যে সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন বন্ধুত্বের। এছাড়া স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিদের রুটিন মাফিক সকাল-বিকাল দু’বার সেতুতে শরীর চর্চা করতে দেখা গেছে। এদিকে দর্শনার্থীদের পদচারণা বেড়ে যাওয়ায় ভ্রাম্যমান দেকানীরা ফুসকা, ছটপট্টি, ঝালমুড়ি, বাদাম, চানচুর, চা-সিগারেট ও মৌসুমী ফল নিয়ে সেতু তিনটির উভয় পাড়ে পসরা সাজিয়ে বসেছেন।
ঢাকার একটি বে-সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মো. রেজাউল করিম ঈদের লম্বা ছুটি পেয়ে বাড়িতে এসেছেন। ঈদের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার বিকালে স্ত্রী, ছেলে মেয়েদের নিয়ে কুয়াকাটায় যান। ফেরার পথে শেখ কামাল সেতুটির উপর দাঁড়িয়ে বলেন, কুয়াকাটার সাথে এখন যোগাযোগ সহজ হয়ে গেছে। মন চাইলে অল্প সময়ের মধ্যে কুয়াকাটায় যাওয়া যায়। অপর এক চাকরিজীবী মো.জাকির হোসেন জানান, অবসর সময় কাটানোর জন্য শেষ বিকেলে পেশাজীবী অনেকেই এ সেতুতে আসেন।
কুয়াকাটা খানাবাদ কলেজের প্রভাষক খান এ রাজ্জাক জানান, স্বাস্থ্য সচেতন লোকজনের জন্য বিশেষ কোন জায়গা না থাকায় তারা এ সেতু তিনটি শরীর চর্চার জন্য বেছে নিয়েছে। তবে মহিপুরের শিববাড়িয়া নদীর উপর নির্মিত সেতুতে আলোর ব্যবস্থা না থাকায় রাতে পথচারীদের চলাচলের ক্ষেত্রে ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
কলাপাড়া থানার ওসি মো.জি এম শাহনেওয়াজ জানান, সেতু তিনটিতে নিরাপত্তার জন্য টহল পুলিশ নিয়োজিত রাখা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) দিপক কুমার রায় জানান, পর্যটন জোন তৈরি হওয়ায় কুয়াকাটা সড়ক পথের তিনটি সেতুতে পর্যটক ও দর্শনার্থীদের যাতে কোন প্রকার অসুবিধা না হয় এজন্য পুলিশ নিয়োজিত রাখা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন