শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

চাঁদপুর লঞ্চঘাটে হাজারো যাত্রীর ভিড় ঝুঁকি নিয়েই কর্মস্থলে ছুটছে মানুষ

প্রকাশের সময় : ১২ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চাঁদপুর জেলা সংবাদদাতা
পরিবার পরিজনের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি শেষে সারা দেশের মতো চাঁদপুরের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ ছুটতে শুরু করেছে নিজ নিজ কর্মস্থলে। যে যেভাবে পারছে, লঞ্চ-ট্রেন কিংবা বাসে করে ছুটছেন। মানুষ জীবন-জীবিকার তাগিদেই প্রিয়জনদের ছেড়ে আবারো দূর-দূরান্তে কর্মস্থলে ফিরছেন। চাঁদপুরের লঞ্চঘাট ও রেল স্টেশনে শনিবার থেকেই হাজারো যাত্রীর উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এরপরও জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ছুটছে মানুষ কর্মস্থলে। ঈদের পরদিন থেকে যাত্রীদের তেমন ভিড় না থাকলেও শনিবার থেকেই লঞ্চ ও ট্রেনগুলোতে যাত্রীদের ভিড় বাড়তে শুরু করে।
এদিকে, শনিবার চাঁদপুর শহরের মাদরাসা রোড লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায়, মানুষের উপচেপড়া ভিড়। অনেকেই লঞ্চ না পেয়ে বাড়ি ফিরে যায়। এ সময় যাত্রীরা অভিযোগ করেন, ঈদ মৌসুমে লঞ্চে দ্বিগুণ ভাড়া আদায়, লঞ্চের সময়সূচির বিপর্যয়, যাত্রী হয়রানি, চাঁদপুর রুটের লঞ্চ রেখে অন্য স্থানের লঞ্চ চলাচল এবং যাত্রী নিয়ে টানা-হেঁচড়াসহ বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়। তারপরও ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষ শত কষ্ট ও দুর্ভোগ শিকার করে কর্মস্থলে ফেরার চেষ্টায় চাঁদপুর লঞ্চঘাটে অপেক্ষার প্রহর গুণছেন।
একাধিক যাত্রী অভিযোগ করেন, লঞ্চ ছাড়ার ১ থেকে দেড় ঘণ্টা আগে এসেও উঠতে পারিনি। নির্ধারিত সময়েরও অনেক আগেই লঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছে। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে লঞ্চগুলো অতিরিক্ত যাত্রী তুলছে। এ ব্যাপারে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ জানায়, ঈদ মৌসুমে পূর্বের সময়ের সাথে মিল রেখে লঞ্চ চালানো সম্ভব হয় না। কারণ, অতিরিক্ত যাত্রী নিয়েও সময়ের অনেক আগে লঞ্চ ছেড়ে দিতে বাধ্য হই। চাঁদপুর নদীবন্দর কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, কর্মস্থলে ফেরা মানুষের ভিড় গত বছরের তুলনায় এবার দ্বিগুণ হওয়ায় লঞ্চগুলো নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। যাত্রীরা নিরাপদে ঢাকা যেতে পারেন এজন্য ঈদ উপলক্ষে কয়েকটি স্পেশাল লঞ্চ দেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের চাহিদামতো সেবা দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন