মুহিউস্ সুন্নাহর আহ্বান
সমগ্র বিশ্বে বিশেষত মুসলিম বিশ্বে এমনকি আমাদের প্রিয় স্বাধীন বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদের বিস্তারে যে ধরনের ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তা অত্যন্ত অকল্পনীয় এবং হুমকি স্বরূপ। এর সমাধানে অনতিবিলম্বে ঐক্যের ভিত্তিতে মতামত ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন অত্যাবশ্যক। মনে রাখতে হবে যে, এর জন্য সকলকেই আল্লাহপাকের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করতে হবে, এর কোন বিকল্প নেই।
এ ছাড়া বস্তু জগতে সকলকে সচেতনতার সাথে তাদের কর্মসূচি অব্যহত রাখতে হবে। আর দলমত নির্বিশেষে দেশের সর্বস্তরের নাগরিককে সরকারকে সহায়তা করতে হবে। আন্তর্জাতিক জঙ্গী ও এ জাতীয় সমস্যার মোকাবেলা করা কেবল সরকারের পক্ষে অথবা ব্যক্তি, দল- উপদলের পক্ষে সম্ভব নয়। সুতরাং উভয়ে তাদের ঐক্যমতের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নে স্বচেষ্ট হলে, আল্লাহপাকের রহমতে এর সমাধান পাওয়া যাবে বলে আমি আশা করি।
সর্বপরি এই জঙ্গী কর্মসূচি ইসলামের নামে করা হচ্ছে, অথচ ইসলাম সর্বসম্মত শান্তির ধর্ম, ইসলাম চায় শান্তি। তাই ইসলামের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদীতার নামে যা ঘটে গেল এবং ঘটে চলেছে তা যেন আর না ঘটে, সে ব্যাপারে মুসলমান আর বিশেষ করে উলামা-মাশায়েখ, খতীব-ইমাম এবং ইসলামী বিশেষজ্ঞদেরকে সচেতন ভূমিকা রাখতে হবে ও তাদেরকে বক্তৃতা, বিবৃতি এবং লেখার মাধ্যমে জাতীয় ঐতিহ্য রক্ষায় দেশের সার্বভৌমত্ব সুসংহত করণে অগ্রণী ভূমিকায় অবতীর্ণহতে হবে।
নিজের অপকর্ম এবং গুনাহ থেকে তাওবা করা ও অধিক এস্তেগফার এবং দোয়ায় কান্নাকাটি করতে হবে। নিজের পরিবার-পরিজন এবং সন্তানদের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে তারা যেন কোন ক্রমেই ইসলামের নামে বিভ্রান্তের শিকার না হয়, তাদের মধ্যে দেশত্ববোধ এবং ধর্মীয় অনুশীলনের স্পৃহা সৃষ্টি করণে সঠিক ব্যবস্থা নিতে হবে। আল্লাহ পাক আমাদের প্রতি তার বিশেষ রহমত নাযিল করুন। আমীন।
-মাওলানা মাহমূদুল হাসান
খতীব, গুলশান সেন্ট্রাল জামে মসজিদ
আমীর, মজলিসে দাওয়াতুল হক বাংলাদেশ।
নেজামে ইসলাম পার্টি
বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি ও ইসলামী ঐক্যজোট কক্সবাজার জেলা শাখার ২০ দলীয় জোটের নেতারা বলেছেন, ‘জাতির এই ক্রান্তিকালে মাহে রমজানের শিক্ষায় উজ্জীবিত হয়ে মানবতার কল্যাণে রাজপথের সংগ্রামকে বেগবান করতে হবে।’
তারা মনে করেন, জাতি এখন জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী শক্তির আন্দোলনের দিকে তাকিয়ে আছে, কখন তারা আবারও রাজপথ কাঁপিয়ে মহান আল্লাহর অপার করুণায় এই জালিম সরকারের অনৈতিক কর্মকা-ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘আলেম সমাজই বৃটিশবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। দেশের দুঃসময়ে এই আলেম সমাজকেই নেতৃত্ব দিতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘দেশে এখন ইসলামবিরোধী শক্তির রাজত্ব চলছে। তৌহিদী জনতাকেই এই সরকারের পতনে ভূমিকা রাখতে হবে।’ আরেক অতিথি সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজল বলেন, ‘দেশের আলেম সমাজের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা রয়েছে। তাদের ডাকে সাধারণ মানুষ সাড়া দেন। তাই আলেম সমাজকে এই দুঃসময়ে সেই ডাক দিতে হবে, যার মধ্য দিয়ে সরকারের পতনঘণ্টা বেজে উঠবে।’
সংগঠনের কক্সবাজার জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা আ.হ.ম নুরুল কবির হিলালীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই ইফতার মাহফিলে অতিথি হয়ে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক হুইপ শাহজাহান চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্র্রীয় নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজল, খেলাফত মজলিসের জেলা সভাপতি মাওলানা হাফেজ নুরুল আলম আল মামুন, রামু রাজারকুল আজিজুল উলুম মাদ্রাসার নির্বাহী পরিচালক মাওলানা মোহছেন শরীফ, জেলা খেলাফত মজলিসের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শাইখুল ইসলাম, জেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক ইউসুফ বদরী ও স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি অধ্যাপক আজিজুর রহমান।
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা নেজামে ইসলাম পার্টি ও ইসলামী ঐক্যজোটের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াছিন হাবিব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন