মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী জীবন

ইসলামী কর্মতৎপরতা

প্রকাশের সময় : ২ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইসলামী ঐক্য আন্দোলন
ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমির ড. মওলানা মুহাম্মদ ঈসা শাহেদী বলেছেন, গুলশানের আর্টিজান রেস্টুরেন্ট ও শোলাকিয়ার ঈদগাহ মাঠে পরিচালিত সন্ত্রাসী হামলার সাথে দেশের মাদ্রাসা শিক্ষা বা আলেম সমাজ এবং ইসলামের কোনোরূপ সম্পর্ক নেই। সেখানে বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, ঊর্ধ্বতন মহল থেকে এর জন্য ইসলামকে দায়ী করা হচ্ছে। কেননা, এ ঘটনার পরপর সরকার দলীয় লোকদের মুখ থেকে জুমার খুতবার ওপর নজরদারি করার কথা উচ্চারিত এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ হতে দেশের সব মসজিদে একই খুতবা চালু করার আহ্বান জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, ইসলামের নির্দেশ অনুযায়ী সৎকাজের আদেশ দান ও অসৎ কাজে নিষেধের দায়িত্ব মুসলমান হিসেবে প্রত্যেকের ওপর অর্পিত এবং এই দায়িত্ব কেউ অস্বীকার করতে পারে না। আলেম সমাজ, বিশেষ করে মসজিদের ইমামগণ শত সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও সেই দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এখন যদি সব জুমা নামাজের জন্য একই খুতবা চালু করা হয়, তাহলে এর অর্থ হবে, সৎকাজের আদেশ দান ও অসৎ কাজে বাধাদানের দীনি দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়া এবং আলেম সমাজের কণ্ঠ চেপে ধরা। কাজেই সম্মানিত ইমাম ও মুসল্লিগণ এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেন না। তিনি বলেন, এর দ্বারা অপর যে বার্তাটি বহির্বিশ্বে দেয়া হবে তা হলো, এদেশের মসজিদগুলো বুঝি জঙ্গিবাদ তৈরির কারখানা। দেশের মানুষ এ ধরনের পদক্ষেপকে মোটেও ভালোভাবে নেবে না। বরং তাতে ধর্মপ্রাণ মানুষকে জোরপূর্বক সরকারের প্রতিপক্ষের কাতারে ঠেলে দেয়া হবে।
তিনি ২০ জুলাই সংগঠনের মজলিসে আমলের (কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ) মাসিক সভায় সভাপতির ভাষণে এ কথা বলেন, পুরানা পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা মুহাম্মদ রুহুল আমীন, সেক্রেটারি জেনারেল ড. মাওলানা এনামুল হক আজাদ, জয়েন্ট সেক্রেটারি মোস্তফা তারেকুল হাসান, অর্থ-সম্পাদক মোস্তফা শহীদুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হুসাইন, মাওলানা ফারুক আহমাদ, মাওলানা মাহফুজুর রহমান, মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ ভূঞা।
ইসলামী আন্দোলন ঢাকা
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, বিতর্কিত ও নাস্তিক্যবাদী-হিন্দুত্ববাদী শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। তিনি বলেন, নাস্তিক-মুরতাদ গোষ্ঠী আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ইসলাম থেকে দূরে সরাতে পাঠ্যসূচি হতে ইসলাম বাদ দিয়ে নাস্তিক্যবাদী ও হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠায় মরিয়া হয়ে উঠছে। এই সিলেবাস বাতিলে মুসলমানরা প্রয়োজনে জীবন ও রক্ত দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
২১ জুলাই বিকলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ-এর ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ঈদ পুনমির্লনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ও নগর সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েথ উদ্দিন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, দক্ষিণ সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুর রহমান ও আলহাজ্ব মো. আলতাফ হোসেন, উত্তর সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, দক্ষিণ সেক্রেটারি মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, উত্তর সেক্রেটারি মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, মাওলানা বাছির উদ্দিন মাহমুদ, এইচ এম সাইফুল ইসলাম, শেখ মু. নুর-উন-নাবী, ডা. শহিদুল ইসলাম, এডভোকেট মুহিবুল্যাহ, নজরুল ইসলাম খোকন, হুমায়ুন কবীর, ছাত্রনেতা এহতেশামুল হক পাঠান, নূরনবী তালুকদার, হাজী আঃ ওহাব খান, হাজী মানোয়ার খান, বেলাল হোসেন হাজী রুহুল আমীন মজুমদার, দেলাওয়ার হোসেন, ডা. মুজিবুর রহমান, মাওলানা কামাল হোসেন।
মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ইসলাম ধ্বংস করার চেষ্টা করলে নিজেরা ধ্বংস হয়ে যাবেন। ইমামদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করলে ঈমানদার ছোবলে জ্বলেপুড়ে ছাই হবে। ইসলাম ও মুসলমানের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। ইসলামবিরোধী শক্তিগুলো সন্ত্রাসবাদ ও জিহাদকে এক করে মুসলমানদের সন্ত্রাসী বানানোর চক্রান্তে মেতে উঠেছে। ইসলাম সন্ত্রাস, উগ্রতা বা চরমপন্থাকে সমর্থন করে না তা জানার পরও অপব্যাখ্যা করে ষড়যন্ত্র করছে। ইসলামের বিরুদ্ধে যে কোন ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন