কুমিল্লায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ডিবি ও থানা পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে খোকন (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। কুমিল্লা জেলা পরিষদ সদস্য ও মুরাদনগর উপজেলা যুবলীগ আহবায়ক খাইরুল আলম সাধন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি খোকন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ১টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনার ছয়ঘড়িয়া এলাকায় ডিবি পুলিশ ও চান্দিনা থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত খোকন বরগুনা সদর উপজেলার ফুলতলা গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নিয়মিত টহলের সময় গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে, সংঘবদ্ধ একটি ডাকাতদল মহাসড়কের চান্দিনার ছয়ঘড়িয়া এলাকায় ডাকাতি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং ওই দলে মুরাদনগর উপজেলা যুবলীগ নেতা সাধন হত্যা মামলার অন্যতম পলাতক আসামি খোকন রয়েছে। সশস্ত্র ডাকাত দল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। ডিবি ও চান্দিনা থানা পুলিশের যৌথটিম আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়ে। এ সময় পুলিশ ও ডাকাত দলের মধ্যে প্রায় ২৫ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়। এতে ডিবি পুলিশের কনস্টেবল মোল্লা আব্দুস সবুর ও সুমন আহত হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় খোকনকে আটক করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গত ৮ জানুয়ারি মুরাদনগর উপজেলা যুবলীগ আহবায়ক ও জেলা পরিষদ সদস্য খায়রুল আলম সাধন নারায়গঞ্জের চিটগাং রোড থেকে একটি মাইক্রোবাসে কুমিল্লার উদ্দেশ্যে রওনা হন। মাইক্রোবাসটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের হওয়ায় তারা তাকে হত্যা করে তার মালামাল লুট করে। পরে তার মরদেহ কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলাধীন মোস্তফাপুর এলাকায় ফেলে যায়। পরদিন বৃহস্পতিবার মরদেহ উদ্ধার করে সদর দক্ষিণ থানা পুলিশ। পরে মামলাটির তদন্তভার নেন কুমিল্লা ডিবি পুলিশ। ডিবি পুলিশ যুবলীগ নেতা হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন