দীর্ঘ ৬ মাস পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে এই প্রথম পেঁয়াজের নতুন চালান বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর ভারত সরকার বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছিল।
গতকাল বিকালে ৩ টি ট্রাকে ৯১ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ভারত থেকে বাংলাদেশে আমদানি হয়েছে। দুটি কনসারমেন্টে এই পেঁয়াজ আমদানি হয়। যার আমদানি কারক প্রতিষ্ঠান হলো খুলনার হামিদ এন্টার প্রাইজ ও মাহি এন্ড মাহিবি এন্টারপ্রাইজ। এর মধ্যে হামিদ এন্টারপ্রাইজ ৬৩ মেট্রিক টন এবং মাহি এন্ড মাহিবি এন্টারপ্রাইজ ২৮ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করেছে। প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজ ভারত থেকে আমদানি হচ্ছে ৩০৫ ডলারে।
খুলনার হামিদ এন্টারপ্রাইজের মালিক আব্দুল হামিদ জানান, দেশে এবার প্রচুর পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। দাম ও অনেক কম। ছোট একটি এলসি দিয়েছি। যার বিপরীতে ৬৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ দেশে ঢুকেছে। বেনাপোল চেকপোস্ট উদ্ভিদ সংগনিরোধ কোয়ারেন্টাইনের উপ-সহকারী কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার ভারত থেকে ৯১ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার আকরাম হোসেন জানান, আমদানিকৃত পেঁয়াজ দ্রুত ছাড় করনের জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শূন্য ডিউটি দিয়ে এই পেঁয়াজ বেনাপোল বন্দর দিয়ে খালাশ দেওয়া হয়েছে। বেনাপোল বন্দরের ওপারে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে ৫৩ ট্রাক পেঁয়াজ বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে।
হিলি সংবাদদাতা : দীর্ঘ ৬ মাস আমদানি বন্ধ থাকার পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১৯টি পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করেছে। নানা জটিলতা শেষে গতকাল রোববার বিকেল পৌনে ৪টায় পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করতে শুরু করে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ১৯ ট্রাকে ৪২৮ মেট্রিক টন পেঁয়াজ হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে এসেছে। প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২২ থেকে ২৩ টাকায়।
পেঁয়াজ আমদানির কথা শুনে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা কিনতে আসতে শুরু করেছেন। গেলো বছর ২৮ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ সঙ্কট দেখিয়ে রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। যার ফলে আটকে যায় হাজার হাজার টন পেঁয়াজের এলসি। এতে ক্ষতির মুখে পড়তে হয় স্থানীয় পেঁয়াজ আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের।
ভারত সরকার ২৬ ফেব্রুয়ারি পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর ২৫ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি চেয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা। এর মধ্যে ৮ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া হয়।
হিলি বন্দরের আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুনুর রশিদ হারুন বলেন, ২৫০ মাকিন ডলারে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে।
আমদানির ফলে কমতে শুরু করেছে বাজারে পেঁয়াজের দাম। এখন প্রতিকেজি পেয়াজ ২২ থেকে ২৩ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এক সপ্তাহের মধ্যে আরও দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
হিলি অগ্রণী ব্যাংক ম্যানেজার আফতাবুজ্জামান বলেন, তার ব্যাংক থেকেও খান ট্রেডাস ২৫০ মাকিন ডলারে পেঁয়াজের এলসি করেছে।
হিলির খুচরা বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন জানান, পেঁয়াজের বাজার মনিটরিং না করা হলে আমমদানিকারকরা বেশি দামে বিক্রি করলে তাদেররকেও বেশি দামে খুচরা বাজারে বিক্রি করতে হবে। তাই তারা স্থানীয় প্রশাসনের নজররদারীর দাবি করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন