শিশির রঞ্জন দাস বাবু
নদীর পানি সরিয়ে নেবে ভারত। ১৭ মে ২০১৬ প্রথম আলোর সংবাদ। সম্প্রতি খরা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারত গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্রসহ বিভিন্ন নদীর পানিপ্রবাহ ভিন্ন পথে সরিয়ে নিতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির পানিসম্পদ মন্ত্রী উমা ভারতী। বিবিসিকে তিনি বলেছেন, নদীর পানি অন্যদিকে প্রবাহিত করার জন্য আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ৩০টি সংযোগের পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের। দেশটির পরিবেশবাদীরা বিতর্কিত এ উদ্যোগের বিরোধিতা করেছেন। তাদের অভিযোগ এটি পরিবেশগত বিপর্যয় ডেকে আনবে। উমা ভারতী ভারতের পানি সম্পদমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আন্তঃনদী সংযোগের মাধ্যমে খরাপীড়িত অঞ্চলের দিকে পানি সরিয়ে নেয়া এখন তার সরকারের প্রধান অগ্রাধিকার। ওই মন্ত্রীর মতে, ভারতে ৩৩ কোটি লোক খরায় আক্রান্ত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আন্তঃনদী সংযোগ সরকারের অন্যতম প্রধান কর্মসূচি। তা বাস্তবায়নের পক্ষে আমরা জনসমর্থন পেয়েছি। এ পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য আমি সংকল্পবদ্ধ। ভারত সরকারের দাবি, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে সেচকাজ করা যাবে। ৩৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। গত দুই বছরে বর্ষা মৌসুমে কম বৃষ্টিপাত হওয়ায় ভারতে খরা তীব্র আকার ধারণ করেছে। এবারের শুকনো মৌসুমে ২৯টি রাজ্যের মধ্যে প্রায় অর্ধেক খরায় আক্রান্ত হয়েছে।
অন্যদিকে ভারতের পরিবেশবাদীরা বলছেন, অর্থনৈতিক সামাজিক ও পরিবেশগত দৃষ্টিকোণ থেকে আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়ন যোগ্য নয়। এ ছাড়া ভারত সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, প্রকল্পটি যথাযথ পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ ছাড়াই পরিবেশ ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ড্যাম রিভার অ্যান্ড পিপলের হিমাংশু ঠাক্কার বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বাস্তবতায় এ প্রকল্প আরো কঠিন হয়ে উঠেছে। কারণ এ প্রকল্পের ফলে নদীর স্বাভাবিক গতিপথের কী অবস্থা হবে আপনি তা জানেন না। হিমাংশু বলেন, প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য হলো, যে অঞ্চলে পানি প্রবাহ বেশি, সেখান থেকে সরিয়ে খরাপীড়িত অঞ্চলে পানি পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা কিন্তু কোথায় পানি বেশি আর কোথায় কম তা নিয়ে নিশ্চিত হতে ভারতে এখনও কোনো বিজ্ঞানসম্মত গবেষণা করা হয়নি। পানির অপর নাম জীবন। এ পানিকেই মারণাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ভারতের মৌলবাদী বিজেপি সরকার। আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প দিয়ে হত্যা করতে চায় ভাটিতে অবস্থিত বাংলাদেশের ষোল কোটি মানুষকে। এদেশের মানুষকে হত্যা করে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চায় এদেশ ও এ জনপদকে। তারা এ ধ্বংসলীলার প্রথম ঘোষণা দিয়েছিল ২০০৩ সালে সে দেশের রাষ্ট্রপতি। পরে ২০০৩ সালের স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ী পরিকল্পনার কথা জনসমক্ষে ঘোষণা করেছেন। এ মরণ ফাঁদের কাজ বহু আগেই শুরু হয়েছে। ৭০০ কোটি ডলার ব্যায় করে সমীক্ষা চালিয়েছিল ওই সময়ে।
১৯৫০ সাল থেকে ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পানি অস্ত্র ব্যবহার করে আসছে। ফারাক্কা বাঁধ দিয়ে গঙ্গার পানি প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু হয়। ফারাক্কার পরে যে মরণ ফাঁদ তৈরি করছে তা হবে বাংলাদেশের জন্য ভয়াবহ। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার দেশের অভ্যন্তরে খাল কেটে সারা দেশে সর্বমোট ৩০টি নদী সংযুক্ত করার বৃহৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এ ত্রিশটি সংযোগের মধ্য দিয়ে সে দেশের সরকার তাদের এ বৃহৎ পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন করতে বদ্ধপরিকর। ভারত ২০০৩ সাল থেকে প্রচার করছে প্রকল্পটি ধারণাগত অথচ দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করে পরিকল্পনার সমীক্ষা শেষ করেছে। প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় ধরে চলতে থাকা সমীক্ষায় প্রচুর অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। পরিকল্পনার আওতায় ৩২টি গ্রোয়েন বাঁধ নির্মাণ করা হবে। এ বাঁধ নির্মাণ করে একশ তিয়াত্তর মিলিয়ন কিউসেক মিটার পানি পরিকল্পিতভাবে কৃষিকাজে ব্যবহার করবে। ভারত তাদের অভ্যন্তরে সেচ ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রায় চার কোটি হেক্টর জমিতে উন্নত চাষাবাদ করে কৃষিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে। দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলোতে প্রায় একশ শহরের পানি সমস্যার সমাধান করবে।
ভারত বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থার সাথে অতিরিক্ত ৩৪ হাজার মেগাওয়াট পানি বিদ্যুৎ সংযোজন করার ব্যবস্থা নিয়েছে। ২০০৩ সালে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় পাঁচ লাখ ষাট হাজার কোটি রুপি। ভারতের নয়, সারা বিশ্বের সর্ববৃহৎ প্রকল্পগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। এ সময় পর্যন্ত ভারত নদী খাতে ব্যয় করেছিল ৫৮ হাজার কোটি রুপি। ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সমগ্র দেশবাসীকে এর সুফল দেয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি এসকে কাপাডিয়া।
ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি সে সময় ঢাকায় এসেছিলেন। তখন তিনি অর্থমন্ত্রী ছিলেন, বাংলাদেশের রবীন্দ্রনাথের সার্ধশততম জন্মবার্ষিকীর সমাপনীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন, তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর ও সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নে ভারত আন্তরিক। টিপাইমুখ ও ভারতের নদী সংযোগ প্রকল্পের ব্যাপারে বলেছেন, “আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পে বাংলাদেশের কোনো ক্ষতি হবে না।” ১৯৬০ সালে, ভারত ও পাকিস্তানের ডধঃবৎং ঞৎবধঃু স্বাক্ষর হয়। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে গঙ্গা নদীর পানি নিয়ে কোনো সমঝোতা ছাড়াই ভারত গঙ্গার ওপর ফারাক্কা-ব্যারেজ নির্মাণ শুরু করে। ১৯৭৫ সালে এই ব্যারেজ চালু করলে বাংলাদেশ মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। ১৯৭৭ সালে প্রথম পানি বণ্টন চুক্তিতে পানির যে ভাগাভাগি হয় তা ভারতের কাছে চূড়ান্তভাবে গ্রহণযোগ্য ছিল না। কারণ ওই চুক্তিতে শুকনো মৌসুমে বাংলাদেশের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ পানির সরবরাহের গ্যারান্টি দেয়া ছিল। এর পরই ভারত ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে পানি এনে গঙ্গা নদীতে ফেলে তথা আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পের প্রস্তাব করতে থাকে। ভারতের প্রস্তাব ছিল বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে একটি খাল কেটে ফারাক্কার উজানে ফেলতে হবে। কিন্তু এতে লাখ লাখ মানুষকে ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে হতো এবং পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় ঘটত। ফলে চুক্তির মেয়াদ পাঁচ বছর পার হলে আর নতুন চুক্তি হয়নি।
পাকিস্তান আমলের শুরুতে হার্ডিঞ্জ সেতুর কাছে শুকনো মৌসুমে গঙ্গা নদীর ঐতিহাসিক গড় প্রবাহ ছিল প্রায় এক লাখ কিউসেক। ১৯৭৭ সালে গঙ্গা পানি বণ্টন চুক্তিতে বাংলাদেশের জন্য ন্যূনতম ৩৪ হাজার ৫০০ কিউসেক পানি সরবরাহের গ্যারান্টি ছিল। ১৯৯৬ সালের চুক্তিতে সর্বনি¤œ ২৭ হাজার ৬৩০ কিউসেক পানি দেয়ার কথা বলা হলো কিন্তু কোনো গ্যারান্টি দেয়া হলো না। ১৯৯৯ সালে বিজেপি ক্ষমতায় এলে ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ পরিকল্পনাটি নিয়ে আবার তৎপরতা শুরু করে। ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের অখ- ভারতের বুদ্ধিজীবীদের উৎসাহে পরিকল্পনাটি অচিরেই সরকারের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। বাধ সাধলেন বিহার, আসাম, পশ্চিমবঙ্গসহ অনেক রাজ্যের জনগণ ও বুদ্ধিজীবীরা। মোট ৩০টি চ্যানেল সিস্টেমের এই পরিকল্পনা। তাদের তো কোনো উপকার নেই-ই বরং আছে কোটি কোটি মানুষের উচ্ছেদ আর পরিবেশ বিপর্যের আশঙ্কা। ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ উন্নত বিশ্বের ২৫টি দেশের প্রায় একশ বিশিষ্ট পানি বিজ্ঞান ও বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক পানি ব্যবস্থাপনা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ে ছিল। ওই সম্মেলনের বিশেষ আলোচ্য বিষয় ছিল ভারত কর্তৃক ৩৪টি অভিন্ন নদীর পানি একতরফাভাবে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা। তারা এর তীব্র প্রতিবাদ করেছিলেন। ২০০৩ সালে নয়াদিল্লির তাজ প্যালেসে জেআরসির ৩৫তম বৈঠকে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গোপন করার চেষ্টা করে। ভারতের তৎকালীন পানিমন্ত্রী অর্জুন শেঠি প্রথমে এটাকে ধারণাগত বলে এজেন্ডা নিতে চাইলেন না। ১২ ঘণ্টার এ ম্যারাথন বৈঠকে বাংলাদেশের তৎকালীন পানিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিনের চাপের মুখে নদী সংযোগ প্রকল্প এজেন্ডায় আনতে বাধ্য হয়েছিল। সে সময় ভারতের বিশিষ্ট পানি বিজ্ঞানী ড. প্রাঞ্জপায়ী ওহফরধহ ঘধঃরড়হধষ ডধঃবৎ উবাবষড়ঢ়সবহঃ অমবহপু-তে এক রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। এতে বলা হয়েছে, ছয়টি নদীর সংযোগ সম্পূর্ণ হয়েছে এবং আরো আটটি নদীর সংযোগ সম্পর্কিত রিপোর্টের কাজ অত্যন্ত দ্রুততার সাথে এগিয়ে চলছে। ড. প্রাঞ্জপায়ীর মতে, অবশিষ্ট ১৬টি নদীর কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। তার মতে, ওই রিপোর্ট প্রকাশিত হলে প্রকল্পের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, বিহার ও উড়িষ্যা থেকে প্রবল প্রতিরোধের সম্মুখীন হতে হবে। খোদ ভারতের মধ্যে বৃহৎ গণঅসন্তোষ থেকে রক্ষা পেতে কেন্দ্রীয় সরকার অত্যন্ত গোপনীয়তায় ও সতর্কতার সাথে নদী সংযোগ প্রকল্পটি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এ মানবতাবিরোধী পরিকল্পনার প্রথম টার্গেট বাংলাদেশ। পরবর্তীতে তাদের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোকে দাবিয়ে রাখার একটি মানবতা ও পরিবেশ ধ্বংসকারী সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নদী সংযোগ পরিকল্পনা।
বাংলাদেশে শুকনো মৌসুমে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ৮০ শতাংশ চাহিদা পূরণ করে যার ওপর নির্ভর করে বাংলাদেশের কৃষি ও জীব পরিবেশ গড়ে উঠেছে। এর একটি বিরাট অংশ পশ্চিমে চালান করলে বাংলাদেশের পরিবেশের বিশাল বিপর্যয় হবে। সমুদ্রের লবণাক্ততা পদ্মার গোয়ালন্দ, মধুমতির কামারখালি, ধলেশ্বরীর মানিকগঞ্জ এবং মেঘনার ভৈরব ছাড়িয়ে যাবে। সমগ্র যমুনা নদীর নাব্য হারিয়ে যাবে। সারা দেশের নদী ও অভ্যন্তরীণ জলাভূমির প্রায় অর্ধেক এলাকার জীববৈচিত্র্য। মহল ও জনসম্পদ বিপর্যস্ত হবে। ভারত যে সংযোগ খালের মাধ্যমে তিস্তা নদীর গজলডোবা ব্যারেজের কাছে আসা তিন হাজার পাঁচশ থেকে চার হাজার কিউসেক পানির সিংহভাগ সরিয়ে নিচ্ছে সে ব্যাপারেও তেমন কোনো উচ্চবাচ্য নেই। তিস্তার পানি সরিয়ে নেয়ার কারণেই আমরা ভাটিতে দোয়ানীর কাছে মাত্র এক হাজার থেকে চারশ কিউসেক পানি পাচ্ছি।
তাই প্রথমে যেটা দরকার তা হলো আমাদের জাতীয় ঐক্য। ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের অভ্যন্তরে একটা জনমত গড়ে তুলতে হবে। আজ আমাদের মাঝে ফজলুল হক, মওলানা ভাসানী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো নেতা নেই। যারা বর্তমানে আছেন জাতীয় নেতৃবৃন্দ সবাই মিলে দুর্বার প্রতিরোধ করতে হবে। আন্তর্জাতিক আইনে ভাটির দেশের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হয় পানির বিষয়ে। বাংলাদেশের অস্তিত্ব বিরোধী আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপ করার জন্য জাতিসংঘ, ওআইসি, ন্যাম, সার্ক, আন্তর্জাতিক নদী কমিশন, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল রিভার্স নেটওয়ার্ক ও ইংল্যান্ডভিত্তিক ওয়াটার ট্রাইব্যুনালসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংস্থার প্রতি আহ্বান জানানো প্রয়োজন। কেননা, আগামী দিনের পানি আগ্রাসনের করাল গ্রাস থেকে জাতিকে উদ্ধার করতে হবে।
ষ লেখক : সদস্য, বাংলা একাডেমি
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন