শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

পদ্মা পাড়ে মিলন মেলা

প্রকাশের সময় : ১৪ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা
ঢাকার দোহার উপজেলায় কোনো পর্যটক ও শিশু-কিশোরদের বিনোদনের জন্য নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় পদ্মার পাড়, মৈনটঘাট এলাকা যেন নবীন-প্রবীণ ও শিশু-কিশোরদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। এ যেন আরেক কক্সবাজারেরই দৃশ্যপট। ঈদের দিন থেকে এখানে জমে উঠেছে ঈদ আনন্দের এক মিলনমেলা। ঢাকার অতি কাছের উপজেলা দোহারের কার্তিপুর বাজার থেকে মাত্র ২ কিঃমিঃ দূরে পদ্মার পাড়ে মৈনট খেয়াঘাট। দোহার নবাবগঞ্জসহ ফরিদুপর, রাজবাড়ী, মাদারীপুরের অংশ ও শরিয়তপুরের অনেক লোকজনই এ ঘাট দিয়ে রাজধানী ঢাকায় যাতায়াত করে। ঘাটের দুই পাশে জেগে উঠা চরের অংশ বিশেষ নিয়ে বিশাল এলাকা যেন অনেকটা সাগর সৈকতের মতোই বিস্তৃত রূপ নিয়েছ। প্রতিদিন বিকাল হলেই এখানে ভিড় জমায় হাজারও নারী-পুরুষ ও তরুণ-তরুণী। নদীর পাড়ে ঘুরে যেন অনেকেই সাগর সৈকতের তৃষ্ণা মেটায়। সরেজমিন দর্শনার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পদ্মার পাড়ের এসব দৃশ্য দেখতে ভালো লাগে। মনটা কিছুটা প্রফুল্ল হয়। তাই পরিবারের সবাইকে নিয়ে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে বয়সের কোন ভেদাভেদ না রেখে ঘুরতে আসা হয়। এমনটা ব্যক্ত করেন ঢাকা প্রবাসী নজরুল ইসলাম। দোহারের বাসিন্দা আবুল হাশেম ফকির বলেন, ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতেই পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘুরতে আসা হয়েছে। অনেক ভালো লাগে। নির্বিঘিœ ইচ্ছা মতো ঘুরে পদ্মার ঢেউ, পাল তোলা নৌকা, মাঝির গান, গ্রামীণ ঐতিহ্যের ঘোড়ার গাড়ি কোন কিছুরই কমতি নেই এখানে। এ এলাকাকে পর্যটন স্পট ঘোষণা করা হলে বিনোদনের জন্য চমৎকার দৃশ্য হবে। দোহারের ইউসুফ পুরের নববধূ তন্নী আক্তার বলেন, এটাকে ছোট কক্সবাজার বললেও ভুল হবে না। এ অঞ্চলকে পদ্মা পর্যটন এলাকায় পরিণত করলে চিত্তবিনোদনের এক অভয়ারণ্যের সৃষ্টি হবে। বিকাল হলেই বসে হরেক রকমের দোকান। সন্ধ্যার সূর্যাস্ত যেন সকলকে পুলকিত করে তোলে। তাই আমরা দ্রুত এটাকে পর্যটন এলাকায় রূপান্তর দেখতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আবু নাইম বলেন, সীবোটে, ট্রলারে ও হেঁটে হেঁটে পানিতে ঘুরে বেড়ানোর আনন্দ যেন অনেক লোভনীয়। অনেক লোকের সমাগম দেখে আমার খুবই ভালো লাগছে। সারা বছরজুড়ে এমন হলে অনেক ভালো লাগবে। বিকেলের হিমেল হাওয়ায় চরের কাঁশবনের দোল খাওয়া যেন সবুজ সমারোহের এক অনাবিল আনন্দ মনে দোলা দেয়। দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম আল-আমীন বলেন, দোহারের পদ্মা পার দিয়ে পর্যটন ও রির্সোট গড়ে তোলার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এটা করলে আনন্দ বিনোদনের পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিকাশ ঘটবে। এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানানো হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন