মোহাম্মদ আবদুল গফুর
কতকগুলো সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটে গেল পর পর । প্রথমে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে। পরে সউদি আরবের পবিত্র মদিনা নগরীতে। সর্বশেষে বাংলাদেশের গুলশান ও শোলাকিয়ায়। লক্ষ করার বিষয়, সব সন্ত্রাসী ঘটনারই অকুস্থল মুসলিম বিশ্ব। ঘটনার জন্য দায়ী মনে করা হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক আইএস তথা ইসলামিক স্টেট নামের একটি জঙ্গি সংগঠনকে। তাই প্রথমেই প্রশ্ন উঠবে, এই আইএস তথা ইসলামিক স্টেট কি প্রকৃত প্রস্তাবেই কোনো মুসলিম বা ইসলামী সংস্থা? প্রশ্নটি তুলতে হচ্ছে এ কারণে যে, আইএস নামের এই জঙ্গি সংগঠনের সন্ত্রাসী কর্মকা-ের শিকার হচ্ছে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মুসলমানরা এবং যেহেতু ইসলামের নাম ভাঙিয়ে এসব অপকর্ম চালানো হচ্ছে, তাই এর ফলে পবিত্র ধর্ম ইসলামেরও দুর্নাম হচ্ছে।
সচেতনভাবে ইসলামে বিশ্বাসী কোনো মুসলমান এমন কাজ করতে পারে কি, যার ফলে মুসলমানরা দৈহিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং তাদের প্রিয় ধর্ম ইসলামের দুর্নাম হবেÑ এটা কি হতে পারে? অবশ্য পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট দৃষ্টে মনে হয় এমন অবিশ্বাস্য ঘটনাই দেশে সংঘটিত হচ্ছে। সুতরাং এই আইএস নামক ইসলামের নাম ভাঙিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকা- চালানো সংস্থাটির প্রকৃত পরিচয় উদ্ঘাটন করা বিশেষ জরুরি হয়ে পড়েছে বলে আমাদের বিশ্বাস। দুঃখের বিষয় এ সম্বন্ধে সরকারি বা বেসরকারি কোনো মহল তেমন গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করেছে বলেও মনে হয় না।
আমাদের দেশের কোনো গুরুত্বপূর্ণ দৈনিক পত্রিকায়ও এ সম্পর্কে কোনো সন্তোষজনক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়নি। তবে ৫ টাকা মূল্যের একটি ক্ষুদ্র দৈনিকে বেশ কিছু দিন আগে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে নাকি বলা হয়েছিল যে, এই আইএস তথা ইসলামিক স্টেট নামের সন্ত্রাসী সংস্থার আসল জন্মদাতা ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ-এর কিছু সংখ্যক সদস্য। এ কথা যদি সত্য হয়, তা হলে ইসলামের নাম ভাঙিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকা- চালিয়ে যাওয়া এ সংস্থার সন্ত্রাসী কর্মকা-ের ফলে মুসলমান ও ইসলামের চরম দুশমনী করার তাৎপর্য উপলব্ধি করা সম্ভবপর হয়। আমাদের মনে হয় এ ব্যাপারে মুসলিম বিশ্বের রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত চালিয়ে প্রকৃত সত্য উদ্ধার করা এবং তার আলোকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা মুসলিম উম্মাহর নিরাপত্তার স্বার্থেই আজ প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
কিন্তু তা না করে দেশের রাজনীতিকরা যা করছেন, তাতে এই ভয়াবহ সন্ত্রাস-সমস্যার কোনো সন্তোষজনক সমাধানের সম্ভাবনা তো দেখা যাচ্ছেই না, বরং তাদের ভুল কথাবার্তায় বিভ্রান্তি ক্রমেই বেড়ে চলেছে, আর দেশের জনগণ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। দেশের জনগণের কেউ বলতে পারছে না এ দুঃখজনক পরিস্থিতি থেকে তারা কবে মুক্তি পাবে বা আদৌ মুক্তি পাবে কিনা। সরকারি নেতানেত্রীরা এসব সন্ত্রাসী কর্মকা- বিরোধী দলের প্ররোচনায় সংঘটিত হচ্ছে বলে বিবৃতি দিয়েই তাদের দায়দায়িত্ব শেষ হচ্ছে বলে মনে করছেন। আর বিরোধী দল জনগণের নিরাপত্তা বিধানে সরকার ব্যর্থ হয়েছে, সুতরাং তাদের অবিলম্বে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ কর্তৃপক্ষের অধীনে দেশে নতুন নির্বাচন দেয়ার দাবি জানাচ্ছে।
বিরোধী দলের এই সর্বশেষ দাবির অবশ্য একটা যৌক্তিকতা আছে। কারণ বর্তমান সরকার সব দলের অংশগ্রহণে ধন্য কোনো নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়নি। তারা ক্ষমতাসীন হয় ৫ জানুয়ারির এমন একটি নির্বাচনের মাধ্যমে যাকে জনগণ ভোটারবিহীন নির্বাচন বলে আখ্যায়িত করে। অতীতে দেশে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সরকারের আমলে সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনের স্বার্থে প্রধানত তদানীন্তন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার দাবির কারণেই দেশে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে বিধান সংবিধানে বিধিবদ্ধ হয়, তার ভিত্তিতে দেশে বেশ কয়েকটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং তাতে দেশের দুই প্রধান দল পর পর নির্বাচনে জয়ী হয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে।
কিন্তু একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে তাঁর এককালের নিজের দাবি থেকে সরে গিয়ে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনের পরিবর্তে আওয়ামী লীগের দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করলে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ওয়াদা ভঙ্গের অভিযোগ এনে বিএনপি সে নির্বাচন বয়কট করে। একটি প্রধান দল নির্বাচন বয়কট করায় দেশের মানুষ ওই নির্বাচনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। আমাদের দেশে যেখানে মানুষ নির্বাচনের দিন সাধারণত সব কাজ ফেলে আগে ভোটের লাইনে দাঁড়াতে অভ্যস্ত, সেখানে বিরোধী দলের নেতাকর্মী তো দূরে থাক, সরকারি দলের অনেকেও ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার প্রয়োজন অনুভব করেননি। কারণ তারা জানতেন তাদের অনুপস্থিতিতে দলের নেতাকর্মীরা তাদের ভোটদানের ব্যবস্থা ঠিকই করবেন।
বাস্তবে ঘটেও তাই। ভোটের দিন অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রই ছিল ফাঁকা। বিরোধী দলের নেতানেত্রীদের অনুপস্থিতির সুযোগে সরকারি দলের অল্পসংখ্যক নেতাকর্মী ইচ্ছামতো ব্যালটপত্রে সিল মেরে সরকারি দলের প্রার্থীদের ভোটসংখ্যা অবিশ্বাস্যভাবে বাড়িয়ে তোলার সুযোগ গ্রহণ করেন। এ কারণে জনগণের পক্ষ থেকে এ নির্বাচনকে নাম দেয়া হয় ভোটারবিহীন নির্বাচন। এই ভোটারবিহীন নির্বাচনে জয়ী হওয়া প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে যে কোনো গ্লানি বোধ করেননি তার প্রমাণ পাওয়া যায় সংসদে তাঁর একটি ভাষণ থেকে। সে ভাষণে তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচন বয়কট করায় ভালোই হয়েছে। সংসদে তাদের খিস্তিখেউড় শুনতে হচ্ছে না। অর্থাৎ তিনি দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির সদস্যদের বক্তব্যকে খিস্তিখেউড়ের ঊর্ধ্বে কিছু মনে করেন না। এটা কিন্তু তাঁর গণতন্ত্রপ্রীতির প্রমাণ বহন করে না। যেমন প্রমাণ বহন করে না দেশে চলমান সন্ত্রাসের মূল কারণ খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে তাঁর আগ্রহের আন্তরিকতার।
এবার দেশে সম্প্রতি সংঘটিত বিভিন ভয়াবহ সন্ত্রাসীœ ঘটনা সম্পর্কে ফিরে আসি। দেশে প্রথম সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটে গুলশানে, যেখানে বেশ কয়েকজন বিদেশিও নিহত হন। বিশেষ করে জাপানি নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনায় আমাদের সরকারের তদন্ত কার্যক্রমে জাপান সরকার মোটেই সন্তুষ্ট হতে পারেনি। অথচ জাপান আমাদের প্রধান উন্নয়ন সহযোগীদের অন্যতম। উল্লেখ্য গুলশানের ঘটনার ফলে আমাদের দেশ সম্পর্কে বহু বিদেশি রাষ্ট্রের মধ্যেই বাংলাদেশ সম্বন্ধে নতুন করে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে।
তবে একটা কথা না বললেই নয়। দেশে কোনো সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটলেই আওয়ামী সরকার যেমন চোখ বুজে তার জন্য বিরোধী দলকে দায়ী ঘোষণা করেই তাদের দায়দায়িত্ব শেষ করে, এবার প্রধানমন্ত্রী তা করেননি। তাঁর অন্য সহকর্মীরা পূর্ব অভ্যাস মোতাবেক দোষারোপের রাজনীতির পুরনো পথ অবলম্বন করলেও প্রধানমন্ত্রীর এবারকার সন্ত্রাস সম্পর্কিত ভাষণ ছিল দোষারোপের রাজনীতির কুপ্রভাবমুক্ত এবং ইসলাম যে সন্ত্রাসের বিরোধী তার সুষ্ঠু বিশ্লেষণে সমৃদ্ধ। আমাদের মনে হয়, সন্ত্রাস সম্পর্কে এ ধরনের বিশ্লেষণধর্মী নৈর্ব্যক্তিক আলোচনা দেশে যত বেশি অনুষ্ঠিত হবে ততই দেশে সন্ত্রাসবিরোধী আবহ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা জোরদার হবে।
আরেকটি বিষয়ও এ সম্পর্কে বিশেষ উল্লেখের দাবি রাখে। অতীতে জঙ্গি কর্মকা-ের মূলে এক শ্রেণির সরকারি নেতানেত্রী মাদ্রাসা শিক্ষার সঙ্গে জড়িত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যেভাবে দায়ী করে এসেছেন, তা যে ছিল ভুল, এবার তা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। গুলশানের সন্ত্রাসী অভিযানে নেতৃত্বদানকারী রোহান সম্পর্কে জানা গেছে তিনি একজন আওয়ামী লীগ নেতার সন্তান। আরো বিশেষ উল্লেখযোগ্য বিষয় এই যে, গুলশানের সন্ত্রাসী ঘটনায় অংশগ্রহণকারী তরুণরা সবাই আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত এবং ধনী পরিবারের সন্তান। সুতরাং সমাজ সম্পর্কে যারা চিন্তা করেন, তাদের এটিকে বিশেষভাবে মাথায় রাখার প্রয়োজন রয়েছে।
আইএস তথা ইসলামিক স্টেট নামক সন্ত্রাসী সংগঠনের মূলে ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হাত থাক বা না থাক, এ সংগঠনের বর্তমানে যারা সাধারণ সদস্য তারা যে প্রায় সবাই মুসলিম তরুণ, এ তো এক বাস্তব সত্য। সুতরাং এ সমস্যার সুচিন্তিত সমাধানে মুসলিম উম্মাহকেই এগিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশে গুলশানের সন্ত্রাসে যারা অংশগ্রহণ করে, তারা প্রায় সবাই আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত ধনী পরিবারের সন্তান। এতে বোঝা যায় আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় এমন কিছু গলদ সৃষ্টি হয়েছে, যার ফলে দেশকে আগামী দিনে যারা নেতৃত্ব দিতে পারত, তাদের অনেকেই এখন সন্ত্রাসী কর্মকা-ে নিয়োজিত।
সন্ত্রাসী দলে নাম লেখানোর পর সংশ্লিষ্ট তরুণদের কীভাবে মানবতাবিরোধী ও ইসলামবিরোধী বিবেকহীন কর্মকা-ে প্ররোচিত করা হয় তার চিত্র ফুটে উঠেছে জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাক-এর গত মঙ্গলবার সংখ্যায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে। ‘ট্যাবলেট খেলেই সুপার সোলজার হয়ে যাই’ শীর্ষক উক্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এতে এক জঙ্গিকে এক বড়ি সম্পর্কে বিবরণ দিতে দেখা যায়। বড়িটি সম্ভবত ক্যাপ্টাগন। ওই ভিডিওতে কারিম নামের এক জঙ্গিকে বলতে শোনা যায়, তারা আমাদেরকে ওষুধ দেয়। এটা খাওয়ার পরই আমরা আমাদের জীবনের পরোয়া না করে যুদ্ধের ময়দানে চলে যাই। এটা খেলে আমরা সুপার সোলজার হয়ে যাই। মধ্যপ্রাচ্যের আইএস এটা ব্যবহার করে।’ ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, “তুরস্ক থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার পর সেই জঙ্গি বলে, আমার বাবা নেই, আমার মা নেই। আমার কেউ নেই। আমার কেবল আছে আল্লাহ।”
একটি বিভ্রান্ত সন্ত্রাসী দলের পাল্লায় পড়ে যে তরুণ এ ধরনের উক্তি করতে পারে সে জানেই না, বাস্তবধর্মী ইসলামী আদর্শে মা-বাবার প্রতি সন্তানের করণীয়কে কত বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকা-ে যেসব অনভিজ্ঞ তরুণদের ব্যবহার করা হয়ে থাকে, তারা জানে না সন্ত্রাসী কর্মকা-ের মাধ্যমে নিরীহ মানুষ হত্যাকে ইসলাম কত কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছে।
সরকার প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাসী কর্মকা- দমনের ব্যাপারে কঠোর থেকে কঠোরতর ব্যবস্থা গ্রহণের যে সংকল্প প্রকাশ করেছেন, তাকে প্রাথমিকভাবে সাধুবাদ জানিয়েও আমরা বলতে চাই, শুধু কঠোরতম ব্যবস্থা গ্রহণের সংকল্প গ্রহণই এ সমস্যার সমাধানের নিশ্চয়তা দান করবে না। এ ব্যাপারে বাস্তব সমাধান নিশ্চিত করতে হলে যেমন সমস্যার মূল খুঁজে বের করতে হবে, তেমনি অতীতের মতো অন্যায়ভাবে বিরোধী দলের প্রতি দোষারোপের রাজনীতিও পরিত্যাগ করতে হবে। এ ব্যাপারে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া কর্তৃক সন্ত্রাস-বিরোধী ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ গ্রহণের যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তা প্রত্যাখ্যান করা সরকারি দলের জন্য কতটা সঠিক হয়েছে তাও নতুন করে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ভেবে দেখতে হবে।
আমরা বিশ্বাস করি, সম্প্রতি মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেসব সন্ত্রাসী কর্মকা- ঘটে চলেছে, তাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে ভাবার কোনো কারণ নেই। উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন মুসলিম দেশের মধ্যে সন্ত্রাস ছড়িয়ে দিয়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর এবং দক্ষিণ এশিয়ার পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত পাকিস্তানকে সন্ত্রাসী কর্মকা-ে কাবু করে ফেলার পর এখন যে বাংলাদেশকে পরবর্তী টার্গেট হিসেবে বেছে নিয়েছে সাম্রাজ্যবাদের বিশেষ প্রশ্রয়ে বেড়ে ওঠা ইসরাইলের সৃষ্ট আইএস তথা ইসলামী স্টেট তা বুঝতে আমাদের রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার জন্য জাতিকে কঠিন মূল্য দিতে হতে পারে।
সেই নিরিখেই আমাদের সুচিন্তিত অভিমত এই যে, অধিক বিলম্ব হওয়ার আগেই আমাদের সমস্যার ভয়াবহতা উপলব্ধি করতে হবে এবং সমস্যা সমাধানে সহযোগিতার নামে সা¤্রাজ্যবাদী-আধিপত্যবাদী অপশক্তিকে খাল কেটে কুমির আনার মতো আত্মঘাতী পরিকল্পনা পরিহার করে বাংলাদেশের জনগণকে নিয়ে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে সিসাঢালা জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। এটাই বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলার একমাত্র বাস্তব পথ এবং অবশ্যই এ লক্ষ্য সফল করতে দোষারোপের জাতি-ঘাতী রাজনীতি চিরতরে পরিত্যাগ করতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন