শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

এখনও এনজিও’র কিস্তি আদায়

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ মার্চ, ২০২০, ১২:০৯ এএম

সারদেশে এনজিওর কিস্তি আদায় কার্যক্রম স্থগিত করা হলেও কিছু কিছু এলাকায় এখনও বন্ধ হয়নি। আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো তথ্যে এ প্রতিবেদনÑ
ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা : করোনাভাইরাস আতঙ্ক এখন বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে। এমন পরিস্থিতিতে দরিদ্র মানুষের অবস্থা বিবেচনা করে জেলায় সকল এনজিওর কিস্তি আদায় স্থগিত করা হয়েছে।
গত সোমবার দুপুরে এনজিও সমূহের জরুরি এক যৌথসভায় জনস্বার্থে গতকাল থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত জেলার সকল এনজিও সমূহের ঋণের কিস্তি আদায় স্থগিত করা হয়। এফডিএর নির্বাহী পরিচালক আজাহরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেনÑ ফজলুল হাদী ছাব্বির, কাজী আশরাফ হোসেন, সুরেশ হালদার প্রমুখ।
কিন্তু দেশের এই ক্রান্তি লগ্নে এই সিদ্ধান্ত মানছে না বেশ কিছু এনজিও। গতকালও তারা বিভিন্ন বাসায় গিয়ে ও ফোনে যোগাযোগ করে ঋণ আদায়ের চেষ্টা চালায়। এতে জনমনে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।
স্থগিত আদেশের পরেও ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি আদেশ অমান্য করছে গ্রামীন ব্যাংক। গ্রাহকরা অবিলম্বে জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এই ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে শ্রমজীবি মানুষের সমস্যা সমাধানের জন্য বিশেষ অনুরোধ করেছেন।
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা : করোনা আতঙ্কে সবকিছু বন্ধ ঘোষণা করা হলেও এখনও বন্ধ হয়নি পটুয়াখালীর কুয়াকাটার এনজিওর কার্যক্রম। গতকাল সকালে বেসরকারি এনজিও আশার কর্মকর্তারা কুয়াকাটা পৌরসভার ইসলামপুর মহল্লার বিভিন্ন বাড়িতে ঘুরে কিস্তির টাকা তোলেন। এ ঘটনায় স্থানীয় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক এনজিওর কিস্তি বন্ধ ঘোষণা করেছেন। আশাসহ কয়েকটি এনজিও এ নির্দেশনা না মেনে বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে টাকা তুলছেন। কিস্তির টাকা পরিশোধে অনেকে অনিহা প্রকাশ করলে এনজিও কর্মীরা তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেছেন। নতুন করে লোন নিতে ঝামেলা হবে বলে এ বিষয়ে নাম প্রকাশ করতে অনিহা প্রকাশ করেছেন অনেকে। আশার মাঠ কর্মী জাহিদ হোসেন বলেন, আমাদের উপরের নির্দেশে মাঠে এসে কিস্তি নিচ্ছি। যখন তারা নিষেধ করবে তখন আমরা আসবো না। আশা কুয়াকাটা শাখার ম্যানেজার জহির উদ্দিন বলেন, লোন নিছে কিস্তি দিবে এটাই তো নিয়ম। তবে সরকারিভাবে এখন পর্যন্ত কিস্তি না নেয়ার ব্যাপারে কোন নির্দেশ পাইনি।
কলাপাড়া উপজেলা র্নিবাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত সরকারিভাবে এনজিওর কিস্তি তোলা সম্পূর্ণ নিষেধ আছে। এ রকম অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন