রিক এনজিও সংস্থার কর্মচারী ওয়ালী ফায়সাল নামের এক যুবকের নিজ রুম থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে কুতুবদিয়া থানা পুলিশ। নিহত ওয়ালী ফায়সাল চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর থানাধীন উথুলী এলাকার মোহাম্মদ সোনা মিয়ার ছেলে বলে থানা সুত্রে জানা গেছে তবে তার চাকরির বায়োডাটা থেকে তার বর্তমান ঠিকানা মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদীখান থানাধীন পলাশপুর বলে জানা গেছে।
রিক এনজিওতে প্রকৌশলী পদে চাকরির সুবাধে তিনি কক্সবাজারের কুতুবদিয়া দ্বীপে গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বড়ঘোপ বায়তুশ শরফ সড়কের মির কাশেমের ভাড়া বাসায় এই ঘটনা ঘটে রিকের কর্মচারি সিরাজুল মোস্তফা জানান, একই বাসায় আমিও থাকতাম। আমি সাড়ে ৮টার দিকে অফিসে চলে যাই। এরপর আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করেন তিনি। তবে কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তিনি জানেন না।
তিনি আরো জানান, গত পাঁচ জুন থেকে ওয়ালী ফায়সাল কুতুবদিয়া উপজেলা রিক অফিসে প্রকৌশলী পদে যোগদান করেন এবং বায়তুশ শরফ সড়কের রুপিয়া নিবাসের এই রুমে ১০ জুন থেকে বসবাস করে আসছিলেন।
পাশের বাসার ভাড়াটিয়া আতিক তালুকদার জানান, ২৮ জুন রাতে তাকে বাসার বাইরে রাস্তায় কান্নারত অবস্থায় ফোনে কথা বলতে দেখা গেছে। তারপর তিনি ফয়সালের রুমম্যাট সিরাজুল মোস্তফাকে বিষয়টি অবগত করেন তবে কার সাথে তিনি কথা বলছিলেন সেটা জানা যায়নিএ
কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ওমর হায়দার জানান, প্রথমিক সুরতহাল অনুযায়ী মনে হচ্ছে এটি একটি আত্মহত্যা। পারিবারিক কোন দ্ব›েদ্বর জেরে কারো সাথে মনোমালিন্যের কারণে গলায় ফাঁস লাগিয়ে এই আত্মহত্যা করছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মুহাম্মদ জুয়েল ইসলাম জানান, মৃত ওয়ালী ফয়সালের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন পুলিশ জব্দ করেছে। তার কল লিস্ট ও ভয়েস অনুসন্ধান করে ঘটনার বিষয়টি উদ্ঘাটন করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন