কক্সবাজারের টেকনাফ এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে চারজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৭ মার্চ) রাতে এ সব ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত তিন জন এবং পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন একজন।
টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান জানান, শুক্রবার রাতে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার একটি বড় চালান টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করছে- এমন খবরে বিজিবির একটি বিশেষ টিম টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেদার ছ্যুরিখালে নাফনদীর পাশে গিয়ে অবস্থান নেয়। এসময় একটি নৌকায় চার-পাঁচ জন লোক ওই এলাকা দিয়ে প্রবেশ করে।
এসময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে ইয়াবা পাচারকারীরা বিজিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে বিজিবির তিন সদস্য আহত হন। পরে বিজিবিও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে ইয়াবা পাচারকারীরা গুলি করতে করতে নৌকা থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ওই এলাকা থেকে ইয়াবা অস্ত্রসহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অজ্ঞাতনামা তিনজনকে উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠান। সেখানে ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে এক লাখ ৮০ হাজার ইয়াবা, দুটি দেশীয় তৈরি বন্দুক, দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ, একটি গুলির খালি খোসা, একটি ধারালো কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে।
অন্যদিকে শুক্রবার রাতে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মুছা আকবর (৩৬) নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। তার বাড়ি টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের তুলাতুলী এলাকায়।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক খানে আলম বলেন, ‘বিজিবি ও পুলিশ গুলিবিদ্ধ চার ব্যক্তিকে নিয়ে আসে। তাদের শরীরে গুলির আঘাত পাওয়া গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন