করোনা মহামারী বৈশি^ক দুর্যোগ পরিস্থিতির মাঝেই চলতি এপ্রিল (চৈত্র-বৈশাখ) মাসজুড়ে বাংলাদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘনঘটার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। গতকাল (বুধবার) বিশেষজ্ঞ কমিটির সভায় সতর্ক করা হয়, এপ্রিলে বঙ্গোপসাগরে ১ বা ২টি নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাস সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। অতিবৃষ্টিতে ভারতীয় ঢলে সিলেটসহ হাওড় এলাকায় আকস্মিক বন্যার আভাসও দেয়া হয়।
এ মাসেই আবার দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিম এবং ঢাকা বিভাগসহ মধ্যাঞ্চলে ২ থেকে ৩ দিন ঝড়সহ বজ্রপাত, বজ্রবৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি এবং মাঝারি থেকে তীব্র কালবৈশাখী ঝড় আঘাত করতে পারে। দেশের অন্যত্র ৪ থেকে ৬ দিন বজ্রপাত, বজ্রবৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি, মাঝারি কালবৈশাখী ঝড় সংঘটিত হতে পারে।
এপ্রিলেই দেশের পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে তীব্র ও মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তীব্র তাপদাহে পারদ উঠে যেতে পারে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও এর সংলগø ভারতীয় অংশে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কয়েক স্থানে আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা আছে।
এ মাসে সারাদেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে গেল মার্চ মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে গড়ে ৬০ শতাংশ কম বৃষ্টি ঝরে। ফেব্রæয়ারি মাসে গড়ে বৃষ্টি ছিল ৮৩ ভাগ কম। অথচ জানুয়ারিতে ২২০ শতাংশ বেশি ঝরে।
দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়া পূর্বাভাস প্রদানের লক্ষ্যে গতকাল আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক ও কমিটির চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন আহমেদ।
এদিকে গতকালও দেশের অধিকাংশ অঞ্চলের উপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে চলে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল বিভাগ এবং রাজশাহী, পাবনা, নোয়াখালী, রাঙ্গামাটি, সীতাকুন্ড অঞ্চলে চলমান তাপদাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে স্থানভেদে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা মংলায় ছিল ৩৭.৮ ডিগ্রি সে.। ঢাকায় পারদ ৩৬ সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন ২১.৮ ডিগ্রি সে.। আগামী সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন