শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

দুপচাঁচিয়ায় মাছ ধরার চাঁই বিক্রির ধুম

প্রকাশের সময় : ১৬ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মোঃ গোলাম ফারুক, দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) থেকে

দুপচাঁচিয়া উপজেলায় বর্ষার শুরুতেই বিভিন্ন হাটবাজারে মাছ ধরার উপকরন বাঁশের তৈরী চাঁই বা খলশানী বিক্রির ধুম পরেছে। এলাকার হাটবাজারগুলোতে প্রতিদিন শত শত চাঁই বিক্রি হচ্ছে। দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরের ঐতিহ্যবাহী ধাব সুলতানগঞ্জ মূল হাটবার প্রতি বৃহস্পতিবার হলেও রোবার হাটে গিয়ে দেখা যায়, হাটের পশ্চিম দিকে দক্ষিণ কোনায় মাছ বিক্রির এসব চাঁই স্থানীয় ভাষায় খলশানি বিক্রির জমজমাট আসর। বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেকেই তাদের নিপুণ হাতের তৈরী এসব খলশানি নিয়ে এসে তা বিক্রির জন্য পরসা সাজিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এ ব্যাপারে খলশানি বিক্রেতা উপজেলা সদরের মাঝিপাড়ার মানিক সরকারের পুত্রদ্বয় নিতাই সরকার (৫৫), নারায়ন সরকার (৫০) জানান, আষাঢ় শ্রাবন দুই মাস বর্ষাকাল। প্রতি বছর বর্ষা শুরু থেকে তাদের খলসানি বিক্রির এ ব্যবসা শুরু হয়। চলে পুরো বর্ষারই দু’মাস। এ দু’মাসের জন্য তারা সারা বছর অপেক্ষায় থাকে। অন্যান্য মাসে তারা খলশানি তৈরীর সামগ্রী ক্রয় করে তা খলশানি তৈরীর কাজের উপযোগী করে প্রস্তুত করে। বর্ষা শুরুর এক মাস আগে থেকেই শুরু করে খলশানি তৈরীর কাজ। এ কাজে বাড়ীর গৃহিণী থেকে শুরু করে ছেলেমেয়েরাও সহযোগিতা করে। এসব খলশানি তৈরীতে প্রকার ভেদে খরচ হয় ৫০ থেকে ৩০০ শত টাকা। আর তা বিক্রি হয় ১০০ শত থেকে ৫০০ শত টাকা পর্যন্ত। অপর খলশানী বিক্রেতা পার্শ্ববর্তী আদমদিঘী উপজেলার চাঁপাপুর এলাকার গোকেন এর পুত্র গোপাল (৪৩), সুধিন এর পুত্র বাসু (৪৮), কাহালু উপজেলার কালাই এলাকার বাহার আলী কাজীর পুত্র জালাল উদ্দিন কাজী (৪৩) জানান, তারা প্রতি হাটে ৩০ থেকে ৪০টি খলশানী বিক্রি করেন। তারা আরও জানান, খলশানী তৈরীর সামগ্রীর দাম আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। তাই আগের মত আর লাভ হয়না। দীর্ঘদিন থেকে এ ব্যবসায় জরিত, তাই এ ব্যবসা ছাড়তে পারছে না বলেই ধরে আছে। স্থানীয় এক খলশানী ক্রেতা উপজেলার তালুচ গ্রামের মোফাজ্জল হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, হাটবাজার থেকে দেশীয় মাছ প্রায় হারিয়েই গেছে। যে দু’একজন দেশীয় মাছ বিক্রির জন্য আনেন, তার দাম অনেক। যা তাদের মত মধ্যবিত্ত পরিবারের ক্রয় করে খাওয়া কষ্টকর। তাই হাট থেকে ৪টি খলশানী কিনেছেন। আষাঢ়ের গত কয়েক দিন টানা বৃষ্টি হওয়ায় মাঠে ঘাটে বেশ পানি জমেছে। এই পানিতে দেশী সিং, টেংরা, কই, পুঁটি, শাটি মাছ পাওয়া যায়। এসব মাছ ধরার জন্যই তিনি এ খলশানীগুলো কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আরও জানান, বর্ষা এবার আগাম শুরু হওয়ায় খলশানীর কদরও বেরেছে। হাট-বাজারে তাই বিক্রির ধুমও পড়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন