হাসপাতাল থেকে দু’দিন আগে পালিয়ে যাওয়া করোনা সন্দেহে চিকিৎসাধীন দু’জনের মধ্যে একজনকে শনিবার দুপুরে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে টেষ্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অপরজনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। দু’জনেরই বাড়ি যশোরের মণিরামপুরে।
যশোর হাসপাতালে সর্দি, কাশি, জ্বর নিয়ে করোনা সন্দেহে চিকিৎসাধিন পরিবহন শ্রমিক পালিয়ে মনিরামপুরে মাছনা গ্রামে নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলো। খবর পেয়ে যশোরের সিভিল সার্জনের নির্দেশে মনিরামপুর থেকে এ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেয়া এবং টেষ্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অপরদিকে ঢাকা থেকে পালিয়ে আসা যুবক পেশায় গাড়িচালক। ঢাকায় একটি হজ গ্রুপের হয়ে বিমানবন্দরে যাত্রী আনা নেয়া করতেন। হঠাৎ কয়েকদিন আগে জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনা সন্দেহে বৃহস্পতিবার ওই যুবক পালিয়ে মনিরামপুর পৌরসভার বিজয়রামপুরে নানাবাড়ি আশ্রয় নেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে স্থানীয়দের চাপে ওই যুবক সেখান থেকে পালিয়ে উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে পিতার বাড়ি চলে যায়। অবশ্য সেখানে ছেলেকে ঘরে তালাবদ্ধ করেন তার পিতা। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ শরিফী, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শুভ্রা রানী দেবনাথ এবং ওসি রফিকুল ইসলাম সরেজমিন পরিদর্শনের পর তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করেন।
এদিকে, যশোর ২৫০ বেড হাসপাতাল প্রায় শূন্য হয়ে গেছে করোনা রোগী। এ পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে করোনা সন্দেহে হাসপাতাল কোয়ারেন্টাইনে থাকা ৯৭৯ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। যাদের নমুনা আইইডিসিআরে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। এ পর্যন্ত পাওয়া রিপোর্টে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি। আক্রান্তের ঘটনাও ঘটেনি। ফলে যশোর কার্যত করোনামুক্ত বলা যায়। একথা জানালেন যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন।
তিনি বললেন, আমরা এখনো পুরোপুরি মুক্ত, এটি অফিসিয়ালি বলছি না। আগে যেমন প্রতিদিন শ’ শ’ হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হতো, এখন ক্রমাগতভাবে কমছে। যেমন শনিবার ২৪ ঘন্টায় মাত্র ৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। সর্বশেষ হোম কোয়ােেরন্টাইনে থাকা ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়ে ২৪৫৪। তাদের সবাই বিদেশ ফেরত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন