শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

প্রতিবন্ধী ২ সন্তান নিয়ে অসহায় পিতা-মাতার কান্না

প্রকাশের সময় : ১৬ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নাটোর জেলা সংবাদদাতা
নুপুর (১৩) আর ঝুমুর (৮)। ফুটফুটে সুন্দর চেহারার দুই বোন। দেখলেই মায়া হয়। জন্মের পর থেকেই তারা প্রতিবন্ধী। মাথা ছোট, কথা বলতে পারে না, এমনকি নিজের খাবারটাও নিজ হাতে খেতে পারে না, চলাফেরা করে অন্যের সাহায্য নিয়ে। তারা দুজনেই নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার মৌখাড়া গ্রামের দরিদ্র নরসুন্দর শ্রী নিরঞ্জন কুমার দাসের মেয়ে। আর্থিক দৈন্যদশার কারণে তাদের সঠিক চিকিৎসা হচ্ছে না। অথচ চিকিৎসা করাতে পারলে সুস্থ হয়ে ওরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারতো। নিরঞ্জন দাসের নিজের কোন জমি নেই। শ^শুরের দেয়া জমিতে ঘর তুলে পাশের চাপিলা বাজারে সেলুনে কাজ করেন। মেয়ে দুটিকে বর্তমানে ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের প্রফেসর ডা. মিজানুর রহমানের অধীনে চিকিৎসা করানো হচ্ছে। প্রতি মাসে দুজনকে ওষুধ খাওয়াতে প্রায় ৫-৬ হাজার টাকার ওষুধ লাগে। কিন্তু অর্থাভাবে কোন মাসে নুপুরকে আর কোন মাসে ঝুমুরকে ওষুধ খাওয়াতে হয়। এতে কোন মেয়েই পুরোপুরি সুস্থ হচ্ছে না। বর্তমানে চিকিৎসক চারটি চেকআপ করাতে বলেছেন যেগুলো করতে গেলে প্রায় ৭০ হাজার টাকা খরচ হবে। এতো টাকা এক সাথে কিভাবে জোগাড় করবেন এটা ভেবেই তাদের বাবা-মা এখন হতাশ হয়ে পড়ছেন। তাদের মা নীলা রাণী চোখ মুছতে মুছতে বলেন, নিজেরা খেয়ে না খেয়ে তাদেরকে যেটুকু পারি ওষুধ কিনে দেই। কিন্তু এতোগুলো টাকাতো এক সাথে কখনও চোখেও দেখিনি। এতো টাকা কোথায় পাবো। মেয়ে দুটি যদি সুস্থ না হয়, তাহলে আমরা মারা গেলে ওদেরকে কে দেখবে? মা হিসেবে তাদের এ অবস্থা সইতে পারি না। নিরঞ্জন দাস বলেন, তাদের উন্নত চিকিৎসা করানো সামর্থ্য আমাদের নেই। এই অবস্থায় আমি আমার সন্তানের সুচিকিৎসার জন্য সরকারসহ দেশের বিত্তবানদের কাছে সহায়তা চাচ্ছি। শিশু দুটিকে সহায়তা করার জন্য ০১৭৭৩-৬৬৫৯১৮ নম্বরে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন