শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

মামলা উঠিয়ে নিতে বাদী পরিবারকে হুমকি

প্রকাশের সময় : ১৬ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

দুই বোনকে গণধর্ষণ ও ভিডিও প্রকাশ
ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার চরশালেপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম ও নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া ২ বোনকে পালাক্রমে ধর্ষণ ও ভিডিও চিত্র প্রকাশের চাঞ্চচল্যকর মামলাটি উঠিয়ে নেওয়ার জন্য ধর্ষক গোষ্ঠীর অভিভাবকরা প্রতিনিয়ত মামলার বাদীকে হুমকি দিয়ে চলেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হুমকির প্রতিবাদে গত ১২ জুলাই মামলার বাদী আঃ ছামাদ মোল্যা ফরিদপুর ২ নং আমলী আদালতে আরেকটি মামলা করেছেন। জানা যায়, স্কুল পড়–য়া ২ বোন গত ১লা বৈশাখ সকাল ১০টায় পার্শ্ববতী চরশালেরপুর গ্রামের এক স্বজনের বাড়ী বেড়াতে যাচ্ছিল। এ সময় ৫ বখাটে ৩টি মোটরসাইকেলে এসে তাদের জোরপূর্বক ফসলী মাঠের ভুট্টা ক্ষেতের গহীন জঙ্গলে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করার সাথে মোবাইলে ভিডিও করতে থাকে। প্রায় দেড় মাস পরে এ ভিডিও চিত্র ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার পর ধর্ষিতার পরিবার চরভদ্রাসন থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পর ধর্ষকগোষ্ঠী গা ঢাকা দিয়েছে। ধর্ষকরা হলো- একই গ্রামের বাদশা খানের ছেলে উজ্জল খান (২৫), মুক্তার সিকদারের ছেলে শুকুর আলী (২৬), জাহাঙ্গীর সেকের ছেলে সিরাজ সেক (২৫), নুর ইসলাম বেপারীর ছেলে ইলিয়াছ বেপারী (২০) ও আয়নাল মোল্যার ছেলে শফি মোল্যা (২৫)। এদের মধ্যে ধর্ষক শুকুর আলীর পিতা মুক্তার সিকদার (৫০) ও মিরাজ সেকের পিতা জাহাঙ্গীর সেক গত ১০ জুলাই দুপুর ১২টায় মামলার বাদী ছামাদ মোল্যা বাড়ীর পিছনে পাট ক্ষেতে কাজ করার সময় সাত দিনের মধ্যে মামলা উঠিয়ে নেওয়ার কঠোর হুমকি দিয়ে যায়। তারা বলে যে, ‘মামলা উঠালে উঠাবি, না হলে গ্রাম ছেড়ে চলে যাবি তোদের কেউ বাঁচাতে পারবে না’। এতে মামলার বাদী ফরিদপুর কোর্টে আরেকটি মামলা করেছেন। গত বৃহস্পতিবার ধর্ষণ মামলার তদন্ত অফিসার চরভদ্রাসন থানার এস.আই. স্বপন কুমার জানান, হুমকির মামলাটি কোর্টে হয়েছে, একনো থানায় আসে নাই। এছাড়া বৃহস্পতিবার নির্যাতিত ২ বোনের এক চাচাতো ভাই একই গ্রামের দানেচ মোল্যার পুত্র হায়দার মোল্যা (৩৫) জানায়, সে এ মামলার শুরু থেকে দেনদরবার করছে বলে তাকেও বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জাড়ানোর হুমকি দিয়ে আসছে ধর্ষকগোষ্ঠী।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন