শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা মোকাবেলার পর্যাপ্ত উপকরণ নেই

গৌরনদী (বরিশাল)উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৮ এপ্রিল, ২০২০, ৮:৫১ পিএম

৫০ শয্যা বিশিষ্ট বরিশালের গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় পর্যাপ্ত উপকরণ নেই। এতে প্রায় ২ লাখ উপজেলা বাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কর্তব্যরত ডাক্তার ও নার্সরা ভয়ে ভয়ে রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় পর্যাপ্ত উপকরণ না থাকায় যে কোন সময় কোন করোনা আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে ১৪ ডাক্তার, ২৬ নার্স, এইচ.আই ৩ জন, হেলথ এসিস্ট্যান্ট ৪০জন, অফিস ষ্টাফ ৫০জন ও সেবা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে ভাইরাসটি ছড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক ও স্থানীযরা।

জানাগেছে, এ উপজেলার উত্তরে ও পূর্বের একাংশে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা, পূর্বে বাবুগঞ্জ ও মুলাদী উপজেলা, দক্ষিণে উজিরপুর এবং পশ্চিমে আগৈলঝাড়া উপজেলার অবস্থান। ইতালী, সৌদি, কাতার, দুবাই, চীন, ওম্যান, বাহারাইসহ বিদিশ থেকে ৫৪১ প্রবাসী গৌরনদীতে এসেছে। এদের মধ্যে ১৭৯ প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। বাকি ৩৬২ প্রবাসীর অবস্থান নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। বিদেশ ফেরত কোন প্রবাসী এখন আর হোম কোয়ারেন্টাইনে নেই। এখন পর্যন্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা ভাইরাস শনাক্তের কিট না আসায় এলাকাবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রোগীদের সুরক্ষার জন্য ডাক্তারদের উদ্যোগে পানি ও সাবান দিয়ে হাত ধোঁয়া ও হাতের জীবাণুনাশক স্পে করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসিও বেড, নেই কোন ভেন্টিলেটর ও পরীক্ষাগার।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্তকর্তা ডাঃ সায়্যিদ আমরুল্লাহ্ বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ডাক্তার-নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মীদের সুরক্ষার জন্য মাত্র ১২টি পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্টে (পিপিই) এসেছে। এ স্বাস্থ্য ককমপ্লেক্সে করোনা মোকাবেলায় পর্যাপ্ত উপকরণ নেই। সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নামমাত্র ৩ শয্যা বিশিষ্ট একটি আইসোলেশন ইউনিট খোলা হয়েছে। আইসোলেশন ইউনিটে ৩টি বেড ছাড়া কিছুই নেই। ওই ইউনিটে পানি ও বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ নেই। সমস্যা সমাধানের জন্য চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। করোনার উপসর্গ নিয়ে গৌরনদীতে মারা যাওয়া এক ব্যক্তির রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল। ওই নমুনা পরীক্ষার প্রাপ্ত রিপোর্টে নেগেটিভ (করোনামুক্ত) এসেছে বলে ডাঃ সায়্যিদ আমরুল্লাহ্ জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন