কবির হোসেন, কাপ্তাই (রাঙ্গামাটি) থেকে
বর্ষা মৌসুম এলেই প্রশাসনের ঢাকঢোল শুরু হয় ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের পাদদেশ হতে বসবাসরত মানুষদের নিরাপদে সরে আসার জন্য। এর পূর্বে মানুষের খোঁজ-খবর আর নেয়া হয় না মানুষ কিভাবে পাহাড়ের পাদদেশে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে। কাপ্তাইয়ের মানুষের দীর্ঘ বছরের আশা-আকাঙ্খা ও প্রাণের দাবি ছিল মৌজা ঘোষণা করা হলে বানভাসা, ছিন্নমূল, অসহায় ও দুঃস্থদের একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই হলে মানুষজন পাহাড়ের পাদদেশ ও ঢালু হতে নিরাপাদে সরে আসবে। কিন্তু সে আশা চোরাবালিতে পরিণত হয়েছে। জাতীয় নির্বাচন, উপজেলা ও ইউপি নির্বাচন হয় এবং সাবাই প্রতিশ্রুতি দেয় কাপ্তাইকে মৌজা বাস্তবায়ন করা হবে এবং অসহায় পাহাড়ের পাদদেশ ও ঢালুতে বসবাসরত মানুষ মাথাগোঁজার ঠাঁই হবে। নির্বাচনের পর আর সে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হয় না। সে সকল অতিথি পাখিদের পরে আর দেখা মিলে না বলে অসহায় অনেই এ মন্তব্য করে ক্ষোভে প্রকাশ করে। কাপ্তাই উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে নতুনবাজার, ঢাকাইয়া কলোনী, নতুনবাজার কেপিএম টিলা, লগগেইট, কবরস্থান, ব্যাংঙছড়ি, চিৎমরম, বালুরচর, শীতারপাহাড়, শীলছড়ি, বারঘোনা, বড়ইছড়ি হতে রাঙ্গামাটি সড়কের দু’পাশ পাহাড় ও পাহাড়ের ঢালুতে অনেকেই ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করতে দেখা যায়। এলাকাবাসী বলেন, চলতি বর্ষা মৌসুমে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের পাদদেশ হতে লোকজনদের সরিয়ে আনার পূর্বে কাপ্তাইকে মৌজা বাস্তবায়ন এবং পূনর্বাসন করার দাবি উল্লেখ করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন