শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

হুমকির মুখে কলাপাড়া বেড়িবাঁধ আতঙ্কগ্রস্ত ৫৮ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ

প্রকাশের সময় : ১৮ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

এ এম মিজানুর রহমান বুলেট, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) থেকে

পটুখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের ৫৮ গ্রামের ৪০ হাজার মানুষের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। যে কোন সময় জলোচ্ছ্বাস নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ ভেঙে গোটা এলাকা প্লাবিত হওয়ার শঙ্কায় কৃষক পরিবারে মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। ইতোমধ্যে আন্ধারমানিক নদীর তীব্র ভাঙনে ইউনিয়নের জালালপুর গ্রাম সংলগ্ন দীর্ঘ বেড়িবাঁধটির টপসহ বাইরের সেøাপ বিলীন হয়ে গেছে। একইদশা গইয়াতলা গ্রামসহ তৎসংলগ্ন এলাকার। গ্রামবাসিরা সøুইসসহ বেড়িবাঁধ রক্ষায় স্ব-উদ্যোগে মেরামত করেন। অমাবস্যার প্রভাবে সোনাতলা নদীর জোয়ারের তা-বে ওই বাঁধ ধসে গেছে। এছাড়া পাউবোর উদ্যোগে জিওব্যাগ ফেলে একদফা বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছিল। কিন্তু তা এখন আর নেই। ফের এ দু’টি পয়েন্টের অন্তত পাঁচশ’ মিটার বেড়িবাঁধ সাগর মোহনা নদীর উত্তাল জোয়ারের তা-বে যে কোন সময় বিলীন হওয়ার শঙ্কায় গোটা ইউনিয়নবাসী চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে। সরজমিনে দেখা গেছে, সাগর মোহনার জালালপুর গ্রামের ইতোপূর্বে জিও ব্যাগ প্রতিস্থাপিত বেড়িবাঁধ আন্ধারমানিক নদীর করাল গ্রাসে দুই তৃতীয়াংশ ভেসে গেছে। এখন সম্পূর্ণভাবে বিলীনের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। একইদশা গইয়াতলা গ্রাম সংলগ্ন বেড়িবাঁধসহ সøুইস গেটের। সদরপুর গ্রামের সøুইসগেটসহ বাঁধটিও বিলীনের শঙ্কায় রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সোনতলা ও আন্ধানমানিক নদীর স্রোতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন ৪৬ ও ৪৭ নং পোল্ডারের এ বেড়িবাঁধে ব্যাপকভাবে ভাঙন দেখা দিয়েছে। অস্বাভাবিক জোয়ারের প্রবল চাপে বাঁধ সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হলে ইউনিয়নের ৫৮টি গ্রামের মানুষ প্লাবনের কবলে পড়ে আমনসহ সবকিছুর আবাদ বিপন্ন হয়ে পড়বে ওইসব গ্রামের লোকজন জানিয়েছেন। হাজীপুর গ্রামের স্কুল শিক্ষক আবদুল মজিদ জানান, চরম উৎকণ্ঠা আর অনিশ্চিত ভবিষ্যতের আশঙ্কায় দিন পার করছি। বাঁধ ভেঙে গেলে লবণ পানিতে বন্দী জীবন কাটাতে হবে। আবাদী জমি অনাবাদী জমিতে পরিণত হয়ে যাবে। একই এলাকার গৃহিণী ও নারী নেত্রী জুলিয়েট বাড়ৈ জানান, ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষের কৃষির উপর নির্ভরশীল। তাই কৃষকদের কথা বিবেচনা করে দ্রুত ভাঙন কবলিত এলাকা মেরামতের দাবি জানান। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এডভোকেট নাসির উদ্দিন মাহমুদ জানান, এ ঝুঁকিপুর্ণ বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ উপজেলা পরিষদে বহুবার বলা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে মেরামত করা না হলে নীলগঞ্জের মানুষের সর্বনাশ হয়ে যাবে। তবে বাঁধ সম্পূর্ণভাবে ভেঙে গেলে ফসলি জমি, মাছের ঘেরসহ জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে তিনি জানান। পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের জানান, নীলগঞ্জের আংশিক বিধ্বস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ শীঘ্রই মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। এ জন্য সকল উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন