আমিনুল হক, মীরসরাই (চট্টগ্রাম) থেকে
মীরসরাই উপজেলার বেশকিছু সড়ক ইতিমধ্যে সংস্কার হলে ও অনেকগুলো রাস্তার বেহাল দশা কাটেনি আজো। বিশেষ করে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন জোন মহামায়া লেক সড়কটি সংস্কার হয়নি আজো। উপরন্তু সড়কের অনেক স্থানে গর্ত হওয়াসহ ধসে গিয়ে পতিত হয়েছে বেহাল দশায়। দর্শনার্থীরা বেড়াতে এসে ভোগান্তিরও শিকার হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছে। ঠাকুরদীঘি থেকে মহামায়া লেকের পাড় পর্যন্ত মাত্র দেড় কিলোমিটার এই সড়কের কর্তৃপক্ষ পাউবো। তাই সড়ক বিভাগ বা এলজিইডি মাথাই ঘামাচ্ছে না। ফেনী থেকে বেড়াতে আসা দর্শনার্থী শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, আমি তিন বছর আগে এই লেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছিলাম। তখনও দেখেছি মহাসড়ক থেকে বয়ে আসা এই রাস্তাটি ভাঙাচোরা। এখনও দেখছি একই চিত্র। ভেবেছিলাম এটি মন্ত্রীর এলাকা এবার মনে হয় ঝকঝকে রাস্তা দিয়ে গিয়েই লেকে বেড়াবো। কিন্তু এখন দেখছি একই চিত্র। উল্টো আরো দেখছি নতুন গেইট হয়েছে, কিন্তু ভেতরে ঢুকতেই দেখি রাস্তা ধসে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বিশাল গর্ত। যেন কেউ দেখার নেই এখানে। ঠিক এমনই বক্তব্য এলাকার ও বহিরাগত সকলেরই। আবার উপজেলার আবুতোরাব সড়কটির বড়তাকিয়া অংশের আধা কিলোমিটার জুড়ে গর্তে ভরে গেছে। যানবাহনগুলো চলছে যথেষ্ট ভোগান্তি নিয়ে। দুর্গাপুর ইউনিয়নের ঠাকুরদিঘী থেকে ছত্তরভূঞার হাট পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার সড়কের দুই কিলোমিটার কাজ চললেও অবশিষ্ট ২ কিলোমিটার ও সংস্কার জরুরি। করেরহাট অলিনগর সড়কটি বছরের পর বছর রয়েছে সংস্কার বিহীন। কয়েক বছর পূর্বে নামে মাত্র এক কিলোমিটার সংস্কার হলেও অবশিষ্ট অংশে দুর্দশা লাঘব হয়নি আজো। ঝুলনপুল ভাঙনি, টেকেরহাট, মুহুরী প্রজেক্ট ও সাহেবদীনগর এলাকায় মানুষের দুর্গতি কাটেনি আজো। কিন্তু এই দুর্ভোগের শেষ হবে কখন বলতে পারছে না কেউ। এই বিষয়ে মীরসরাই উপজেলা প্রকৌশলী এ এস এম রাশেদ রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক রাস্তার উন্নয়ন ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে, অবশিষ্ট সকল রাস্তা ও প্রক্রিয়াধীন। শীঘ্রই সকল রাস্তার উন্নয়ন আমরা সম্পন্ন করবো। কিন্তু ঠিক এমনই বক্তব্য গত দু’বছর ধরেই দিচ্ছেন তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন