শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

হুমকির মুখে কুলুরচর বেপারিপাড়া গ্রা

ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধিতে দেখা দিয়েছে ভাঙন

প্রকাশের সময় : ১৯ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মো. মেরাজ উদ্দিন, শেরপুর থেকে

পুরনো ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শেরপুর সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী কুলুরচর বেপারিপাড়া গ্রামে ব্যাপক নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। গত তিন দিনে অর্ধশতাধিক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। একই সাথে গত একমাসে প্রায় দুই শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে চলে গেছে। পুরনো ব্রহ্মপুত্র নদী তীরবর্তী জামালপুর শহর ঘেঁষা এই গ্রামটি প্রতি বছরই কমবেশি নদী ভাঙনের কবলে পড়ে থাকে। নদী ভাঙনের কারণে এ গ্রামের পাকা প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ শত শত বাড়িঘর গত কয়েক বছরে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এবারও গত একমাস থেকে নদী ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এ গ্রামে বসবাসকারী মানুষজন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। এই নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গত তিন দিনেই কমপক্ষে ৫০টি ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। নদী তীরবর্তী এ গ্রামটিতে প্রায় ৫ হাজার মানুুষের বসবাস। এদের অধিকাংশই খেটে খাওয়া সান্দার। ঘনবসতিপূর্ণ এ গ্রামটিতে নদী ভাঙনের কারণে ভিটেমাটি ও গাছপালা প্রতিমুহূর্তেই বিলীন হচ্ছে। অবিলম্বে ভাঙন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে শেরপুরের মানচিত্র থেকে বেপারিপাড়া গ্রামটি মুছে যাবে বলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন। ভাঙন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগও। অর্থাভাবে চিকিৎসাও পাচ্ছে না তারা। শেরপুর সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইলিয়াছ উদ্দিন জানান, এ এলাকাটি অনেকদিন ধরে ভাঙছে। অথচ এখানকার এমপিসহ কেউ এদের খোঁজখবর নিচ্ছে না। পাচ্ছে না সাহায্যও। তিনি আরো বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের ভিজিএফ চাল দেয়ার কথা থাকলেও বিদায়ী ইউপি চেয়ারম্যান সাহেব তা দেয়নি। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, কবে ভাঙনের কবল থেকে রেহাই পাবে এ এলাকার মানুষ? এ বিষয়ে শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রফিকুল আলম চৌধুরী জানান, বেপারিপাড়ার নদী ভাঙন রোধে ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নদীতে ড্রেজিংয়ের কাজ চলছে। এই কাজ শেষ হলে নদী ভাঙন রোধ হবে বলে আশা করছি। জেলা প্রশাসক ডাঃ এ এম পারভেজ রহিম জানালেন, বেপারিপাড়া গ্রামে নদী ভাঙনে সঠিক বিবরণ পাওয়ার পর ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনসহ সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হবে। মানবিক দিক বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বেপারিপাড়া গ্রামটিকে নদী ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য অনতিবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন এমনটিই প্রত্যাশা করছেন বেপারিপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন